পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শুরু হতে মাসখানেকও বাকি নেই। পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে দল পেয়েছেন তিন বাংলাদেশি। তবে এই বিষয়ে জানা নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। 

১১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে পিএসএলের এবারের আসর। বাংলাদেশিদের মধ্যে নাহিদ রানাকে নিয়েছে পেশওয়ার জালমি, লিটন দাসকে করাচি কিংস আর রিশাদ হোসেনকে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। 

পিএসএলে এই তিন ক্রিকেটারকে কি খেলার জন্য অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে? শুক্রবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) ইফতার মাহফিলে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম এনওসি নিয়ে জিজ্ঞেষ করা হলে তিনি জানান, “এই সম্পর্কে বিসিবি কিছু জানে না।”

ফাহিম বলেন,  “কে পেয়েছে, কে পায়নি এই ব্যাপারে কোনো আইডিয়া নেই। ক্রিকেট বোর্ড এই ব্যাপারে জানে না।”

এই তিন ক্রিকেটার যদি এনওসির আবেদন করেন তাহলে দেওয়া হবে কি না? এমন প্রশ্নে ফাহিম বলেন, “ক্রিকেট বোর্ড জানেই না এই সম্পর্কে।”

এদিকে জানা গেছে এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটার এনওসির আবেদন করেননি। কয়েকদিনের মধ্যে বিসিবিতে আবেদন করতে পারেন তারা। আবার একই সময়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হওয়ায় বিসিবি তাদের আবেদনে সাড়া দেয় কি না এখন সেটাই দেখার। 

ঢাকা/রিয়াদ 


 

ঢাকা/রিয়াদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসএল

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ