৬০ বছর পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক!

সেই খবরটি আবার জানা গেল ৬ দিন পর!

অবশ্য এমন হওয়াই তো স্বাভাবিক। কোস্টারিকার গুয়াসিমায় কোস্টারিকা-ফকল্যান্ড আইল্যান্ড ম্যাচের খোঁজখবর রাখার কী দরকার পড়েছে ক্রিকেট বিশ্বের। সেটিও আবার সাধারণ এক দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ম্যাচ। ১০ মার্চের যে ম্যাচটি দিয়েই আবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক আটলান্টিক মহাসাগরীয় ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ফকল্যান্ডের। সেই ফকল্যান্ড, যার দখল নিয়ে ১৯৮২ সালে যুদ্ধ বেধেছিল ব্রিটেন ও আর্জেন্টিনার। এমন ম্যাচের স্কোরকার্ড নিয়ে কে-ইবা গবেষণা করে।

১০৬তম দল হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ফকল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খেলেছে বুড়ো এক দল নিয়েই। একাদশের সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়টি বয়সও ছিল ৩১। নয়জনের বয়স ছিল ৪০–এর ওপরে। ওই নয়জনের তিনজনের বয়স আবার ৫৬ পেরিয়েছে। এই তিনের একজন অ্যান্ড্রু ব্রাউনলিই সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন। তাঁর বয়স যে ৬২! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি তো বটেই, তিন সংস্করণ মিলিয়েই সবচেয়ে বেশি বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার রেকর্ড এটি।

সবচেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট খেলার রেকর্ড ইংলিশ কিংদন্তি উইলফ্রেড রোডসের (৫২ বছর ১৫৬ দিন).

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ