দল বেঁধে সাগরে নেমে গেল ১২০টি কাছিমছানা
Published: 22nd, March 2025 GMT
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের সড়কের পশ্চিম পাশে নির্জন প্যাঁচারদ্বীপ সৈকত। তিন মাস আগে এই সৈকতে অলিভ রিডলে (জলপাই রঙের) প্রজাতির দুটি সামুদ্রিক কাছিম পেড়েছিল ১২৯টি ডিম। ডিমগুলো বালুচর থেকে সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টে (নেকম) স্বেচ্ছাসেবীরা। গত বুধবার ডিম থেকে জন্ম নেয় ১২০টি কাছিমছানা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে দুই দিন বয়সী ছানাগুলো সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
মাত্র ১৫ মিনিটের মাথায় কাছিমছানাগুলো দল বেঁধে নেমে যায় সাগরে। হিমছড়ি সহব্যবস্থাপনা কমিটির সহযোগিতায় কাছিমছানা অবমুক্তকরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.
গত চার বছরে নেকমের স্বেচ্ছাসেবীরা সৈকত থেকে ৪০ হাজার ৪৫০টি ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করেন বলে জানা যায়। যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে, যা পরে সাগরে অবমুক্ত করা হয়। নেকমের কর্মীরা জানান, গত ১ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংস্থার কর্মীরা সৈকত থেকে ৭৫টির বেশি কাছিমের ৮ হাজারের বেশি ডিম সংগ্রহ করেছেন। সব কটি অলিভ রিডলে প্রজাতির। এর মধ্যে প্রথম দফায় হ্যাচারিতে ২টি কাছিমের ডিম থেকে ১২০টি ছানা জন্ম নিয়েছে। আগামী কয়েক দিনে আরও কয়েক শ ছানার জন্ম হতে পারে। ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে কক্সবাজার সৈকতে মা কাছিমের ডিম পাড়া শুরু হয়।
নেকমের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাইয়ুম প্রথম আলোকে বলেন, সমুদ্রের ময়লা-আবর্জনা ও আগাছা পরিষ্কার এবং জেলিফিশ খেয়ে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনন্য ভূমিকা রাখে কাছিম। গভীর সমুদ্রের হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মা কাছিম ডিম পাড়তে ছুটে আসে কক্সবাজার উপকূলে। এ সময় সাগরে পুঁতে রাখা নিষিদ্ধ জালে আটকা পড়ে অনেক কাছিম মারা যায়। এখন মা কাছিম সৈকতের ৩৪টি পয়েন্টে ডিম পাড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এক দশক আগে এমন পয়েন্ট ছিল ৫২টি।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ২৩০টির বেশি মরা কাছিম ভেসে আসে। কাছিমগুলোর মৃত্যু না হলে আরও ৩০ হাজার ডিম পাওয়া যেত।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৪ জুলাই এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর এস এম মঈনুল করিম।
তিনি বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করছি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারব।
এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিন সকালে প্রিজনভ্যানে করে সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গত ৯ এপ্রিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ১৫ জুনের মধ্যে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।