বাংলাদেশ না ভারত ফুটবল দল, বাজারমূল্যে কে এগিয়ে
Published: 23rd, March 2025 GMT
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের ব্যবধান খুবই পরিষ্কার। ভারত ১২৬তম, বাংলাদেশ ১৮৫তম। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের চেয়ে ৫০ ধাপের বেশি এগিয়ে থাকা ভারত আগামী মঙ্গলবার এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে। তবে একটি দলের শক্তি সামর্থ্য ফুটে ওঠে আরও যেসব মানদণ্ডে, তাতে ভারতের দাপট কিন্তু একচ্ছত্র নয়।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা, তারুণ্যের সমাহারে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। এমনকি ট্রান্সফার মার্কেটে খেলোয়াড়দের বাজারমূল্যের যে হিসাব, তাতেও এগিয়ে বাংলাদেশই। যদিও এক হামজা চৌধুরীই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন।
একটি ফুটবল ম্যাচের স্কোয়াড ২৩ জনের হলেও বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেররা ভারতে নিয়ে গেছেন ২৪ জন। একইভাবে ভারত কোচ মানোলো মার্কেজও দলে রেখেছেন ২৫ জন। দুই দলের বাড়তি খেলোয়াড়দের নিয়ে হিসাব করলে ট্রান্সফারমার্কেটে যে বাজারমূল্য দাঁড়ায়, তাতে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
কাবরেরার দলের ২৪ খেলোয়াড়ের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৮৬ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা হামজার একাই প্রায় ৪৯ লাখ ডলার।
এক হামজা চৌধুরীর বাজারমূল্য বাংলাদেশ দলের বাকি সবার মূল্যের চেয়ে বেশি।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হতাহতের ছবি-ভিডিও সরাতে ও ছড়িয়ে পড়া বন্ধে পদক্ষেপ চেয়ে রিট, আদেশ ৩ আগস্ট
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত–আহতদের ছবি ও ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। এ রিটের ওপর আদেশের জন্য ৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এই দিন ধার্য করেন।
ওই ঘটনায় নিহত–আহতদের ছবি–ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ ২৯ জুলাই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া।
উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ২১ জুলাই বিধ্বস্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩০ জুলাই পর্যন্ত হিসাবে, ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩৪।
পরে আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুর্ঘটনায় আহত–নিহতদের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ও ডিজিটাল মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোতে শিশুদের প্রায় পোশাকহীন, অগ্নিদগ্ধ ও আহত অবস্থায় দেখা যায়। এসব ছবি–ভিডিও শিশুদের পরিবারের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের ট্রমাটাইজ (মানসিকভাবে আঘাত) করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী এ ধরনের দুর্ঘটনায় আহত–নিহতদের ছবি–ভিডিও প্রকাশে সংবেদনশীল হওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব ছবি ব্যবহারে আরও সতর্কতা প্রয়োজন। তাই হতাহতদের ছবি–ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো আর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।