পাল্টা শুল্ক রপ্তানিতে হুমকি কি না, তা পর্যালোচনা করব
Published: 3rd, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ প্রতিযোগীসক্ষম থাকবে। এতে রপ্তানিতে কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা বিশ্লেষণ করা হবে। পাল্টা শুল্ক আরোপ আমাদের রপ্তানিতে হুমকি কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখব। ছুটির পর অফিস খুললে এ নিয়ে কাজ শুরু করবে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। তবে পাল্টা শুল্ক আরোপে বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মাত্র। এখনো বাংলাদেশের দর-কষাকষির সুযোগ আছে। টিকফা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা কথা বলতে পারব। দর-কষাকষি করে আমরা এই পাল্টা শুল্ক হার কমিয়ে আনতে পারি।
মনে রাখতে হবে, এই ধরনের পাল্টা শুল্ক শুধু বাংলাদেশকে দেওয়া হয়নি। সব দেশকে লক্ষ্য করেই পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো দেশ সুবিধা পাচ্ছে, তা নয়। পাল্টা শুল্ক আরোপে বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়বে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্রেতা-বিক্রেতা’ সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী। প্রতিদ্বন্দ্বী সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও ভিয়েতনামের ওপরও উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ থেকে পোশাকসহ যেসব পণ্য নেয় যুক্তরাষ্ট্র, তা বাংলাদেশ থেকেই নেবে তারা। পাল্টা শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের দেশে আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়বে। ৪০ ডলারের পণ্যের দাম ৪৫ থেকে ৫০ ডলার হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাকে বেশি খরচ করে পণ্য কিনতে হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। ফলে তাদের অর্থনীতি সংকুচিত হবে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা ও ব্যবসায়ী সমাজ ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এতে বাংলাদেশ সুবিধা পাবে।
ঈদের ছুটির সময় যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা এল। ছুটির পর অফিস খুললে ট্যারিফ কমিশন এ বিষয়ে প্রভাব কতটা গভীর, তা নিয়ে পর্যালোচনা করবে। ট্যারিফ কমিশনের কাছে এ–সংক্রান্ত কয়েকটি সমীক্ষা প্রতিবেদন আছে। পাল্টা শুল্ক আরোপ আমাদের রপ্তানিতে সত্যিকার অর্থে হুমকি কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখব। এর আগে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে কোটাপ্রথা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ সহজেই সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছিল।
বাংলাদেশে পণ্য প্রবেশের শুল্ক ভার ৭৪ শতাংশ বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে, বিষয়টি বোঝার আছে। এ হিসাব কীভাবে করা হলো, কোথাও কোনো অসংগতি আছে কি না, তা বাস্তবসম্মত উপায়ে দেখতে হবে। এ নিয়েও আলোচনা করার সুযোগ আছে।
মইনুল খান, চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প র
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ