নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২ নেতাকে অব্যাহতি
Published: 11th, April 2025 GMT
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ড ও জুলাই স্পিরিট পরিপন্থী কার্যক্রমে লিপ্ত থাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল শাখার দুই নেতাকে সংগঠন থেক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০এপ্রিল) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল জেলা শাখার আহ্বায়ক রাফায়েতুল হক তমাল ও সদস্য সচিব মো. শাফায়াত উল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১১এপ্রিল) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল জেলা শাখার সদস্য সচিব সাফায়েত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াই জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক তুহিন বিন আ.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ড এবং জুলাই স্পিরিট পরিপন্থী কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নড়াইল জেলার নিম্নোক্ত দাায়ত্বশীলদের অব্যাহতি প্রদান করা হলো। তাদের কোনো কার্যক্রমের দায়ভার সংগঠন গ্রহণ করবে না।
পাশাপশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নড়াইল জেলার সব স্তরের নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা ও জুলাই স্পিরিট পরিপন্থী কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সতর্ক করার সঙ্গে নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অব্যাহতি প্রাপ্তদের সঙ্গে সাংগঠনিক কোনো যোগাযোগ ও লেনদেন না করার পরামর্শ প্রদান করা হলো।’
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টক্সিক সম্পর্ক ও দুই দশক ধরে থেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া বিষয়ে যা বললেন মেলিন্ডা
যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রথম প্রেমে পড়েন মেলিন্ডা। সেই প্রেমিক মেলিন্ডার চেহারা ও শারীরিক কাঠামো নিয়ে প্রায়ই মন্তব্য করতেন। আর তা মেলিন্ডাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছিল। আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন মেলিন্ডা। সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সেই বিষাক্ত সম্পর্কের প্রভাব নিজের টোয়েন্টিজ আর থার্টিজ পর্যন্ত বয়ে বেড়িয়েছি। নিজের চেহারা ও শরীর নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগেছি। অনেক পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওজন কমিয়েছি। আবার বেড়ে গেছে। প্রায় দুই দশক থেরাপিস্টের সাহায্য নিয়েছি। তবে মা হওয়ার পরই মূলত আমি যেমন, তেমনভাবেই নিজেকে মেনে নিয়েছি। নিজেকে নিয়ে সুখী হতে শিখেছি। বয়স ৪০ পেরোলে সত্যিকার অর্থে অনুধাবন করেছি যে আমি দেখতে কেমন বা আমার ওজন কত, নির্দিষ্ট মাপের জামা বা প্যান্ট পরতে পারলাম কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমি আমার সন্তানদের জন্য, সমাজের জন্য, বিশ্বের জন্য কী করতে পারছি।’
মেলিন্ডা আরও বলেন, ‘গবেষণা জানাচ্ছে, যাঁরা অর্থপূর্ণ কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখেন, তাঁরা নিজেদের বডি ইমেজ নিয়ে খুব কমই ভাবেন। আমি নিজের চেহারা ও শরীর নিয়ে ভাবা বাদ দিয়ে অন্যের জন্য কী করতে পারি, সেখানে মনোযোগ দিলাম। আর ঠিক সে সময় থেকেই মূলত বাঁচতে শুরু করলাম।’
আরও পড়ুনযে ১০ পেশাজীবীর দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ বিষয়ে মেলিন্ডা বলেন, ‘বিচ্ছেদ মারাত্মক কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কিছু হয় না। আমাদের ২৭ বছরের সংসার, সন্তান। দুজন মিলে যেসব কাজ করছিলাম, সব মিলিয়ে বিচ্ছেদ ছিল জীবনের বড় বিপর্যয়। তবে এই বিচ্ছেদ জরুরি ছিল। অবশ্যম্ভাবী ছিল। আর এটাও সত্য, আগে যদি জানতাম যে আমাদের বিচ্ছেদ হবে, তারপরও তাঁকেই (বিল গেটস) বিয়ে করতাম আর জীবনে যা যা করেছি, তার সবই করতাম।’
১৯৮৭ সালে মাইক্রোসফট সেলস কনফারেন্সে মেলিন্ডা ও বিল গেটসের প্রথম দেখা। তখন মেলিন্ডা মাইক্রোসফটের প্রডাক্ট ম্যানেজার, আর বিল গেটস সিইও। ১৯৯৪ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। ২০২১ সালে বিচ্ছেদ হয় এই জুটির।
আরও পড়ুনবিয়ের অনেক বছর পরও কেন বিচ্ছেদ হয়১০ জুলাই ২০২৪মেলিন্ডা বলেন, ‘অবশ্যই এমন কারণ ছিল যে আমার পক্ষে এই বিয়ের সম্পর্কে থাকা আর সম্ভব হয়নি।’ ৬০ বছর বয়সী মেলিন্ডা এখন আরেক প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, ৪৮ বছর বয়সী ফিলিপ ভনের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কে আছেন। বেশ কয়েকবার তাঁরা দুজন ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন জনসম্মুখে। সঙ্গী কে, সেটি প্রকাশ না করলেও মেলিন্ডা বলেন, ‘অনেক ভালো আছি। অনেক অনেক ভালো আছি।’
মেলিন্ডার এই সাক্ষাৎকারের সঙ্গে বিল গেটসের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মিল আছে। সেখানে বিল গেটসও জানিয়েছেন যে তিনি আবার শুরু থেকে শুরু করার সুযোগ পেলে মেলিন্ডাকেই বিয়ে করতেন। আবার এ-ও জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর বর্তমান সঙ্গী পলা হার্ডের সঙ্গে খুব সুখে আছেন, চমৎকার সময় কাটাচ্ছেন।
মেলিন্ডার স্মৃতিকথা ‘দ্য নেক্সট ডোর’ প্রকাশিত হলে বিল গেটসের সঙ্গে বিচ্ছেদ ও বর্তমান রোমান্টিক সম্পর্ক নিয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
সূত্র: পিপল
আরও পড়ুনঢেউ নও, তুমি পানি: মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস২৩ জুন ২০২৪