সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ড ও জুলাই স্পিরিট পরিপন্থী কার্যক্রমে লিপ্ত থাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল শাখার দুই নেতাকে সংগঠন থেক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০এপ্রিল) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল জেলা শাখার আহ্বায়ক রাফায়েতুল হক তমাল ও সদস্য সচিব মো. শাফায়াত উল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

শুক্রবার (১১এপ্রিল) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল জেলা শাখার সদস্য সচিব সাফায়েত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াই জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক তুহিন বিন আ.

রাজ্জাক ও হাসিব শাহাবাদ। 

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ড এবং জুলাই স্পিরিট পরিপন্থী কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নড়াইল জেলার নিম্নোক্ত দাায়ত্বশীলদের অব্যাহতি প্রদান করা হলো। তাদের কোনো কার্যক্রমের দায়ভার সংগঠন গ্রহণ করবে না। 

পাশাপশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নড়াইল জেলার সব স্তরের নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা ও জুলাই স্পিরিট পরিপন্থী কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সতর্ক করার সঙ্গে নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অব্যাহতি প্রাপ্তদের সঙ্গে সাংগঠনিক কোনো যোগাযোগ ও লেনদেন না করার পরামর্শ প্রদান করা হলো।’

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্রাবে ফেনা হওয়া কি খারাপ লক্ষণ

যেসব কারণে প্রস্রাবে ফেনা হয়

অনেক কারণেই প্রস্রাবে ফেনা হতে পারে—

লম্বা সময় প্রস্রাব চেপে রাখা হলে তারপর যখন প্রস্রাব করা হয়, তখন তাতে ফেনা দেখা যেতে পারে। কারণ, লম্বা সময় চেপে রাখার পর প্রস্রাব করার সময় স্বাভাবিক গতির চেয়ে বেশি গতিতে প্রস্রাব হতে পারে।

বেশি গতিতে যেকোনো তরল কোথাও পড়লে ফেনা হতেই পারে। প্রস্রাব করার ক্ষেত্রেও এটা স্বাভাবিক।

প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন বেরিয়ে গেলে সাদাটে ফেনা দেখা যায়।

বিভিন্ন রোগ, যেসবে কিডনির কার্যক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয়, সেসবের কারণে হতে পারে এমনটা।

পানিশূন্যতায় ভুগলেও কিছুটা ফেনা দেখা যেতে পারে।

আরও পড়ুনএক ঘণ্টা প্রস্রাব চেপে রাখার পরিণাম কী হতে পারে, জানেন?০৭ জুন ২০২৫কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে

প্রস্রাবে ফেনা হলেই যে আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, তা নয়। একজন সুস্থ ব্যক্তির মাঝেমধ্যে প্রস্রাবে কিছুটা ফেনা হতেই পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই।

যদি প্রস্রাবে অনেক বেশি ফেনা হয় কিংবা ফেনার মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। অনেক বেশি ফেনা হলে এমনটা হতে পারে যে একবার ফ্লাশ করার পরও ফেনা দূর হলো না।

টানা দীর্ঘদিন কম পরিমাণে ফেনা গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা ভালো। বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীর ক্ষেত্রে টানা বেশ কিছুদিন প্রস্রাবে অল্প পরিমাণ ফেনা দেখা দেওয়ার এই লক্ষণ অবহেলা করা উচিত নয়। গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে প্রোটিন যাওয়াও মারাত্মক। তাই এসব লক্ষণের ব্যাপারে সতর্ক থাকা ভালো।

আগে থেকেই যাঁদের কিডনির রোগ আছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও যদি এমন লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসককে জানান।

আরও পড়ুনকিডনি ভালো আছে কি না, বুঝবেন যেভাবে০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫যদি ভয়ের কিছু না হয়

খেয়াল রাখুন, প্রস্রাব যাতে চেপে রাখা না হয় লম্বা সময়ের জন্য। এভাবে প্রস্রাব চেপে রাখার জন্য ফেনা হওয়া ক্ষতিকর না হলেও এই অভ্যাসের কারণেই আপনি ভুগতে পারেন প্রস্রাবের সংক্রমণে। তা থেকেই সৃষ্টি হতে পারে অন্যান্য জটিলতা।

ফেনার সঙ্গে যদি প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়ে যাওয়া কিংবা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে তা পানিশূন্যতার লক্ষণ হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে পানি এবং তরল খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন, যদি কোনো কারণে অতিরিক্ত পানি খাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে।

আগে থেকে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরও পড়ুনদিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক২৬ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ