এটা কোন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড?

ইউরোপের ফুটবল পরাশক্তির নাম নিলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নাম আপনা–আপনিই চলে আসে। সমর্থকসংখ্যা বিবেচনায়ও পৃথিবীর বিপুলসংখ্যক ফুটবলপ্রেমীর পছন্দের ক্লাবও এটি। ওল্ড ট্রাফোর্ডের ক্লাবটি ভক্তদের উজাড় করে দিয়েছেও অনেক। কিন্তু সেসব এখন যেন রূপকথার কোনো গল্প, অতীতের ফসিল।

এখনকার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিছক সাদামাটা কোনো দল নয়; বরং রাজ্য হারিয়ে হতশ্রী হয়ে পড়া একটি ক্লাব। অতীতের গৌরবময় অর্জনের বিপুল ভান্ডারও আড়াল করতে পারছে না তাদের মলিনতা। শুধু এটুকুই নয়, যত দ্রুতগতিতে ইউনাইটেড তলানির দিকে এগোচ্ছে, নিকট ভবিষ্যতে দলটি অবনমিতও হয়ে যেতে পারে। তেমন কিছু হলে অবশ্য খুব কম মানুষ অবাক হবে।

সর্বশেষ গতকাল রাতে প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসলের বিপক্ষে ৪–১ গোলে হেরেছে ইউনাইটেড। এসব হার অবশ্য নতুন কিছু নয়। চলতি মৌসুমে লিগে এখন পর্যন্ত ৩২ ম্যাচের ১৪টিতে ম্যাচ হেরেছে তারা, বিপরীতে জিতেছে মাত্র ১০ ম্যাচ।

আরও পড়ুনইউনাইটেডের ‘বাতিলরা’ মাঠ মাতাচ্ছেন অন্য ক্লাবের হয়ে২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হারের অতীত রেকর্ডও ভেঙে গেছে আরও আগে। ইপসউইচ, লেস্টার সিটি ও সাউদাম্পটন যাচ্ছেতাই ফুটবল না খেললে হয়তো অবনমন অঞ্চলেও চলে যেতে পারত ইউনাইটেড। ১৭ নম্বরে থাকা ওয়েস্ট হাম থেকে মাত্র ৩ পয়েন্ট বেশি নিয়ে বর্তমানে ১৪ নম্বরে আছে রুবেন আমোরিমের দল।

হতাশ আমোরিম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সচিবালয়মুখী শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের মিছিলে পুলিশের বাধা, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ

নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) আওতায় দ্রুত নিয়োগের দাবিতে প্রেস ক্লাব থেকে সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে সচিবালয় এলাকায় আগে থেকে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল বলে জানায় পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মিছিলকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করে সচিবালয়ের ফটকের কাছাকাছি চলে গেলে পুলিশ তাদের থামার অনুরোধ করে। আন্দোলনকারীরা সেই অনুরোধ না মানলে পুলিশ প্রথমে পাঁচটি ও পরে আরও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর বিক্ষোভকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে ফিরে অবস্থান নেন।

শাহবাগ থানার পেট্রোল অফিসার জয়নাল আবেদিন সমকালকে বলেন, সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। সচিবালয়ের দিকে এগোতে চাইলে মিছিলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ কর হয়। এছাড়াও পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া এক নিবন্ধনধারী জানান, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। অথচ সরকার বারবার তা উপেক্ষা করছে। এনটিআরসিএ ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে অথচ আমাদের ১৭তম ব্যাচের সমস্যার সমাধান করছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিতে চাই।

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—

১. ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।

২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।

৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এখনও আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব মোড়ে অবস্থান করছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ