প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে ব্যাট-বলে উজ্জ্বল সাকিব
Published: 10th, July 2025 GMT
গায়ানায় গ্লোবাল সুপার লিগে প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে দুবাই ক্যাপিটালস। তাদের জয়ের নায়ক বাংলাদেশের সুপারস্টার সাকিব আল হাসান।
প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে ব্যাট-বল হাতে সমানতালে জ্বলে উঠেছেন সাকিব। ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন। ৭ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। পরবর্তীতে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেনে ১৩ রানে তার শিকার ৪ উইকেট।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সাকিব বুঝিয়ে দিয়েছেন ৩৮ পেরিয়ে গেলেও এখনও ধার কমেনি তার।
আরো পড়ুন:
গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুরের বিপক্ষে খেলবেন সাকিব
সিপিএলে সাকিব
পিএসএলে গত ২৩ মে নিজের শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। লম্বা সময় পর তার সুযোগ হয় গ্লোবাল সুপার লিগে খেলার। শেষ মুহূর্তের ডাকে জিএসএলে দুবাই ক্যাপিটালসে যোগ দেন।
প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করলেন। সাকিব যখন ব্যাটিংয়ে আসেন তখন দলের রান ৩ উইকেটে ৫৮। থিতু হওয়ার সময়ও পাননি স্কোরবোর্ডের চিত্রটা হয়ে যায় এরকম, ৫ উইকেটে ৭৭। সেখান থেকে সাকিবের বীরত্বে দুবাই ক্যাপিটালসের রান ৭ উইকেটে ১৬৫। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের রানকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যান।
এরপর বোলিংয়েও শুরুতে মুগ্ধতা ছড়ান। নিজের প্রথম ওভারে কোনো রান দেননি। উইল ইয়ং এবং ডিন ফক্সক্রফটের উইকেট নেন। পরের স্পেলে ফিরে তার শিকার হন জন ক্লার্কসন। সরাসরি বোল্ড করেন ১২ রান করা ক্লার্কসনকে। শেষ ওভার করতে এসে উইলিয়াম ক্লার্ককে বোল্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার। ৪ ওভারে মাত্র ১টি বাউন্ডারি হজম করেন। ১৪ বলই ছিল ডট।
জবাব দিতে নেমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্স ১৪৩ রানে থেমে যায়। সাকিবদের দল ম্যাচ জেতে ২২ রানে। ব্যাট বল হাতে দারুণ সময় কাটিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান সাকিব।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বলেছেন, ‘‘শেষ মুহূর্তে আমাকে ডাকা হয়েছে এই দলে। দলের কেউ হয়তো নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে বা ইনজুরিতে পড়েছে। আমি ভাগ্যবান সুযোগ পেয়েছি দুবাই ক্যাপিটালসে খেলার।’’
নিজের বোলিং নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘‘ক্যারিবীয়ানে আমি আসছি ২০০৭ সাল থেকে। দীর্ঘ সময়। এটা আমার সেকেন্ড হোম। আমি এখনকার কন্ডিশন সম্পর্কে অবগত এবং জানি কিভাবে বোলিং করতে হয়। এছাড়া আমাজন ওয়ারিয়র্সে খেলার কারণে আমার সাহায্য হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই আমার ভালো সময় কেটেছে। দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে খুশি।’’
‘‘ব্যাটিং-বোলিং দুটোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ব্যাটিংয়ে আমার টিকে থাকা দরকার ছিল। কারণ আমরা উইকেট হারাচ্ছিলাম। আমাদের জুটি গড়ার দরকার ছিল। ভাগ্য ভালো, আমরা ১৬০ রানের মতো করতে পেরেছি। গায়ানার উইকেটে ১৬০ রানের বেশি হলে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা থাকবে।’’ - যোগ করেন সাকিব।
নিজের দল নিয়ে সাকিব বেশ আত্মবিশ্বাসী, ‘‘আমরা ভালো শুরু পেয়েছি। এটা অল্প দিনের টুর্নামেন্ট। যেখানে প্রথম ম্যাচ জয় পাওয়ায় পরবর্তীতে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আশা করছি এখান থেকে ছন্দ নিতে পারবো।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ব আল হ স ন দ ব ই ক য প ট লস উইক ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
১২১ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে বারকিনের ৯ বছর ব্যবহার হওয়া ব্যাগ
ফ্যাশন ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়ল ফরাসি লাক্সারি ফ্যাশন হাউস হারমেসের আইকনিক বারকিন ব্যাগ। ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও গায়িকা জেন বারকিনের জন্য তৈরি করা মূল ব্যাগটি প্যারিসে নিলামে বিক্রি হয়েছে ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি দামে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২১ কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান সথবিজ।
সোথেবি’স জানিয়েছে, ব্যাগটি কিনেছেন এক জাপানি সংগ্রাহক। আর এটি এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাগ সর্বোচ্চ দামে বিক্রির ঘটনা।
হারমেসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালে প্যারিস থেকে লন্ডনগামী একটি বিমানে জন্ম নেয় এই ব্যাগের ধারণা। ফ্লাইটে ব্রিটিশ অভিনেত্রী জেন বারকিনের পাশে বসেছিলেন হারমেসের তৎকালীন নির্বাহী জঁ-লুই দ্যুমার। সেদিন বারকিন তাঁকে বলেছিলেন, তিনি এমন একটি ব্যাগ খুঁজছেন, যা একই সঙ্গে স্টাইলিস্ট ও ব্যবহারযোগ্য—একজন তরুণী মা হিসেবে প্রয়োজনীয় সবকিছু বহন করা যাবে। সেখানেই দ্যুমার একটি কাগজে ব্যাগটির স্কেচ করেন। পরে হারমেস তা তৈরি করে বারকিনের জন্য, যার ডিজাইনে ছিল শিশুদের দুধের বোতল রাখার বিশেষ জায়গাও। ১৯৮৫ সালে হারমেস তাঁকে ব্যাগটি উপহার দেয় এবং পরে তার জন্য আরও চারটি ব্যাগ তৈরি করে।
প্রথম সেই ব্যাগটি ছিল তুলনামূলক বড়, বারকিনের নামের আদ্যক্ষর ‘জে.বি.’ খোদাই করা ছিল ফ্ল্যাপে (ঢাকনায়)—যা পরবর্তী মডেলগুলো থেকে ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। পরবর্তী সময়ে সেই ডিজাইনের ছোট সংস্করণ বাজারে ছাড়া হয়, যা বিশ্বজুড়ে ফ্যাশনপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।