গায়ানায় গ্লোবাল সুপার লিগে প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে দুবাই ক্যাপিটালস। তাদের জয়ের নায়ক বাংলাদেশের সুপারস্টার সাকিব আল হাসান। 

প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে ব্যাট-বল হাতে সমানতালে জ্বলে উঠেছেন সাকিব। ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন। ৭ চার ও ১ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। পরবর্তীতে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেনে ১৩ রানে তার শিকার ৪ উইকেট। 

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সাকিব বুঝিয়ে দিয়েছেন ৩৮ পেরিয়ে গেলেও এখনও ধার কমেনি তার। 

আরো পড়ুন:

গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুরের বিপক্ষে খেলবেন সাকিব

সিপিএলে সাকিব

পিএসএলে গত ২৩ মে নিজের শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। লম্বা সময় পর তার সুযোগ হয় গ্লোবাল সুপার লিগে খেলার। শেষ মুহূর্তের ডাকে জিএসএলে দুবাই ক্যাপিটালসে যোগ দেন। 

প্রথম সুযোগেই বাজিমাত করলেন। সাকিব যখন ব্যাটিংয়ে আসেন তখন দলের রান ৩ উইকেটে ৫৮। থিতু হওয়ার সময়ও পাননি স্কোরবোর্ডের চিত্রটা হয়ে যায় এরকম, ৫ উইকেটে ৭৭। সেখান থেকে সাকিবের বীরত্বে দুবাই ক্যাপিটালসের রান ৭ উইকেটে ১৬৫। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের রানকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যান। 

এরপর বোলিংয়েও শুরুতে মুগ্ধতা ছড়ান। নিজের প্রথম ওভারে কোনো রান দেননি। উইল ইয়ং এবং ডিন ফক্সক্রফটের উইকেট নেন। পরের স্পেলে ফিরে তার শিকার হন জন ক্লার্কসন। সরাসরি বোল্ড করেন ১২ রান করা ক্লার্কসনকে। শেষ ওভার করতে এসে উইলিয়াম ক্লার্ককে বোল্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার। ৪ ওভারে মাত্র ১টি বাউন্ডারি হজম করেন। ১৪ বলই ছিল ডট। 

জবাব দিতে নেমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্স ১৪৩ রানে থেমে যায়। সাকিবদের দল ম্যাচ জেতে ২২ রানে।  ব্যাট বল হাতে দারুণ সময় কাটিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান সাকিব।

পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বলেছেন, ‘‘শেষ মুহূর্তে আমাকে ডাকা হয়েছে এই দলে। দলের কেউ হয়তো নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে বা ইনজুরিতে পড়েছে। আমি ভাগ্যবান সুযোগ পেয়েছি দুবাই ক্যাপিটালসে খেলার।’’

নিজের বোলিং নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘‘ক্যারিবীয়ানে আমি আসছি ২০০৭ সাল থেকে। দীর্ঘ সময়। এটা আমার সেকেন্ড হোম। আমি এখনকার কন্ডিশন সম্পর্কে অবগত এবং জানি কিভাবে বোলিং করতে হয়। এছাড়া আমাজন ওয়ারিয়র্সে খেলার কারণে আমার সাহায্য হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই আমার ভালো সময় কেটেছে। দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে খুশি।’’

‘‘ব্যাটিং-বোলিং দুটোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ব্যাটিংয়ে আমার টিকে থাকা দরকার ছিল। কারণ আমরা উইকেট হারাচ্ছিলাম। আমাদের জুটি গড়ার দরকার ছিল। ভাগ্য ভালো, আমরা ১৬০ রানের মতো করতে পেরেছি। গায়ানার উইকেটে ১৬০ রানের বেশি হলে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা থাকবে।’’ - যোগ করেন সাকিব। 

নিজের দল নিয়ে সাকিব বেশ আত্মবিশ্বাসী, ‘‘আমরা ভালো শুরু পেয়েছি। এটা অল্প দিনের টুর্নামেন্ট। যেখানে প্রথম ম্যাচ জয় পাওয়ায় পরবর্তীতে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আশা করছি এখান থেকে ছন্দ নিতে পারবো।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ব আল হ স ন দ ব ই ক য প ট লস উইক ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন এম এন লারমা

মানবেন্দ্র নারায়ণ (এম এন) লারমাই দেশে প্রথম আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে বৈজ্ঞানিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি প্রথম দেশে কাঠামোগতভাবে আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে স্পষ্ট করেন। একটি বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এন লারমার ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

‘বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৮৬ম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটি’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

আলোচনা সভায় লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, ১৯৫৫-৬৫ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া ‘বাইনারি বিভাজন’ পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশে সরকার। ‘বাইনারি’ মনস্তত্ত্বকে এখনো এই দেশে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এম এন লারমা ‘বাঙালি হেজিমনি’র বিরুদ্ধে আত্মপরিচয়ের বয়ান বাঁচিয়ে রাখতে তৎকালে জোরালো প্রতিবাদ করেছিলেন।

জেএসএসের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, কাপ্তাই বাঁধ না করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই ছাত্র এম এন লারমার প্রতিবাদী জীবন শুরু হয়। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর যে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে, এম এন লারমা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নকালেই এসব বিষয় নিয়ে জোরালো বক্তব্য দিয়েছিলেন।

দীপায়ন খীসা বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন বা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কখনো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের সঙ্গে সংলাপ করেনি। আমরাও এই দেশের অংশ। তাহলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের কেন কোনো সংলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হলো না?’ তিনি বলেন, চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদেরও অংশীদারত্ব আছে। কিন্তু অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে তাদেরই ভুলে গেল এই সরকার।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন বলেন, ‘বাঙালি হয়ে যাও’ কথাটার পেছনে বাঙালি মুসলিমদের জাত্যভিমানের ব্যাপারটি রয়েছে। এম এন লারমা বাংলাদেশের মধ্যে থেকে নিজেদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তিময় চাকমার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের অর্থ সম্পাদক মেইনথিন প্রমীলা, সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অং শোয়ে সিং মারমা।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এম এন লারমাকে সম্মান জানিয়ে কবিতা পাঠের মাধ্যমে। কবিতা পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেই চাকমা ও লাল নিকিম বম। কবিতা আবৃত্তির পর এম এন লারমার জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়া চাকমা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হিরণ মিত্র চাকমা, জেএসএসের কেন্দ্রীয় স্টাফ সদস্য অনন্ত বিকাশ ধামাই, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, পিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জগদীশ চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতিআগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির
  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • ডাকসুর ব্যালট পেপারে ২ ভোট নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন
  • নরসিংদীতে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি স্থগিত
  • দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা: দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • গাজায় পাগলের মতো বোমা ফেলছে ইসরায়েল
  • ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
  • দেশে বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন এম এন লারমা
  • ফতুল্লায় প্রতারণা করে ১৫ লাখ টাকার রড নিলো প্রতারক চক্র, কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ৩