গোপালগঞ্জে দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে নৌকার প্রতিকৃতি ভেঙে ফেললেন আ.লীগ নেতা
Published: 27th, April 2025 GMT
আওয়ামী লীগ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে নৌকার প্রতিকৃতি ভেঙে ফেলেছেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের সাবেক চেয়ারম্যান আবু ছাইদ শিকদার। আজ রোববার সকালে পিঞ্জরী ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামে তিনি বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে নির্মিত বসার ছাউনির উপরে নির্মিত নৌকার প্রতিকৃতিটি ভেঙে ফেলেন তিনি। এ ঘটনার পর উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবু ছাইদ শিকদার। তিনি কয়েক বছর আগে তার বাড়ির সামনের পুকুর পাড়ে বসার ছাউনির উপরে ইট, বালু, সিমেন্ট ও রড দিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন নৌকার প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন। হঠাৎ রোববার সকালে তিনি লোকজন দিয়ে ওই প্রতিকৃতিটি ভেঙে ফেলেন।
পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মুক্তা বলেন, ‘আবু সাইদ শিকদার দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার মামা প্রয়াত সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লার প্রভাব খাটিয়ে পিঞ্জুরী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি ব্যাপক দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন আওয়ামী লীগের এই দুর্দিনে এসে আবু সাইদ শিকদারের এমন কাণ্ডে আমরা হতভাক হয়েছে। আমরা এই নৌকার প্রতিকৃতিটি ভাঙার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে আবু ছাইদ শিকদার সমকালকে বলেন, ‘যার দল করি, সে (শেখ হাসিনা) দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পালিয়ে গেছে। আদর্শ বঞ্চিত হয়েছে তাই পালিয়েছে। ওই দল আর আমি করব না। সে আসলেও আওয়ামী লীগ আর করব না। তাই নৌকার প্রতিকৃতি ভেঙে ফেলেছি।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হতাহতের ছবি-ভিডিও সরাতে ও ছড়িয়ে পড়া বন্ধে পদক্ষেপ চেয়ে রিট, আদেশ ৩ আগস্ট
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত–আহতদের ছবি ও ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে। এ রিটের ওপর আদেশের জন্য ৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের এই দিন ধার্য করেন।
ওই ঘটনায় নিহত–আহতদের ছবি–ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ ২৯ জুলাই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া।
উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ২১ জুলাই বিধ্বস্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩০ জুলাই পর্যন্ত হিসাবে, ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩৪।
পরে আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুর্ঘটনায় আহত–নিহতদের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ও ডিজিটাল মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোতে শিশুদের প্রায় পোশাকহীন, অগ্নিদগ্ধ ও আহত অবস্থায় দেখা যায়। এসব ছবি–ভিডিও শিশুদের পরিবারের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের ট্রমাটাইজ (মানসিকভাবে আঘাত) করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুযায়ী এ ধরনের দুর্ঘটনায় আহত–নিহতদের ছবি–ভিডিও প্রকাশে সংবেদনশীল হওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব ছবি ব্যবহারে আরও সতর্কতা প্রয়োজন। তাই হতাহতদের ছবি–ভিডিও সরাতে এবং সেগুলো আর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।