লাইপজিগের বিপক্ষে ড্র, শিরোপা উদযাপনের অপেক্ষায় কেইন
Published: 3rd, May 2025 GMT
জয় পেলেই বুন্দেসলিগা শিরোপা নিশ্চিত— এমন সমীকরণে লাইপজিগের মাঠে গিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। কিন্তু রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ৩-৩ গোলে ড্র করে বাভারিয়ানরা। ফলে শিরোপা উৎসবের দিনটা আরও একটু পেছাল হ্যারি কেইন ও তার দলের।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই গোল খেয়ে চাপে পড়ে যায় বায়ার্ন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষ প্রান্তে ছিল জয়ের সুবাস। সমর্থকরা উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, বেঞ্চে বসে থাকা নিষিদ্ধ হ্যারি কেইনও অপেক্ষায় ছিলেন প্রথম শিরোপার। কিন্তু ঠিক তখনই লাইপজিগের ইউসুফ পুলসেনের গোল সব হিসেব ওলটপালট করে দেয়।
এই ড্রয়ের ফলে ৩২ ম্যাচ শেষে বায়ার্নের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৭৬। এক ম্যাচ কম খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেভারকুজেনের পয়েন্ট ৬৭। তাতেই পয়েন্ট ব্যবধান ৯-এর। বাকি থাকা তিন ম্যাচে যদি লেভারকুজেন সবগুলো জেতে এবং বায়ার্ন তাদের শেষ দুই ম্যাচে হেরে যায়, তবে পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে।
সেক্ষেত্রে নির্ধারক হবে গোল ব্যবধান। যেখানে বায়ার্ন এখনো লেভারকুজেনের চেয়ে এগিয়ে আছে ৩০ গোলে। বাস্তবতা বলছে, শিরোপা একপ্রকার নিশ্চিতই। কিন্তু বুন্দেসলিগার নিয়ম অনুযায়ী গোল ব্যবধানের সম্ভাব্য ঘাটতির আশঙ্কায় আনুষ্ঠানিক উদযাপনটা অপেক্ষায় রেখেছে বায়ার্নকে।
এই ম্যাচে হলুদ কার্ডজনিত নিষেধাজ্ঞায় খেলতে পারেননি ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। যিনি ক্যারিয়ারে এখনো কোনো শিরোপা জেতেননি। বায়ার্ন লিগ জিতলেই প্রথমবারের মতো শিরোপা উঠবে তার হাতেই। তাই শিরোপা প্রায় পেয়ে গিয়েও, উদযাপন করতে না পারার হতাশা তার চোখে-মুখে স্পষ্ট।
তবে অপেক্ষার পালা হয়তো আর বেশি দীর্ঘ হবে না। আগামী রবিবার লেভারকুজেন যদি ফ্রেইবুর্গের বিপক্ষে জয় না পায়, তাহলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বায়ার্নের শিরোপা। আর তা না হলেও ১০ মে বায়ার্ন তাদের ঘরের মাঠে মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে খেলবে। সেই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেলেই আর কোনো জটিল হিসেবের দরকার থাকবে না। বলা যায়, কেইন ও বায়ার্নের শিরোপা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব য় র ন ম উন খ ব যবধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল উৎসব ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে টক-মিষ্টি ফলের স্বাদ ভাগাভাগি করতে ‘মৌসুমি ফল উৎসব’ এর আয়োজন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে এসব কর্মসূচি পালন করে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)।
গবিসাস কার্যালয়ে আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, লটকন, আমলকী, ড্রাগনফল সহ বাহারি রঙ এবং নানা স্বাদের ফলের সমারোহে আয়োজিত হয় মৌসুমি ফল উৎসব।
আরো পড়ুন:
যবিপ্রবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
জবিতে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং গবিসাসের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে মৌসুমে ফলের স্বাদ ভাগাভাগি করে নেয়।
এছাড়া মৌসুমি ফলের স্বাদ ভাগাভাগি করতে গবিসাসের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী, নৈশপ্রহরী এবং মাঠ কর্মীদের মাঝে ফল বিতরণ করেন।
এ সময় কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিলুফার সুলতানা বলেন, “নিঃসন্দেহে গবিসাস একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও সৃজনশীল সংগঠন, যা সবসময়ই নতুনত্বের ধারায় পথ চলেছে। প্রতি বছরের মতো এবারো গবিসাস মৌসুমি ফল উৎসবের আয়োজন করেছে, যা সংগঠনের একটি গর্বিত ঐতিহ্য।”
তিনি বলেন, “আমাদের ইচ্ছা ছিল ফল নিয়ে এসে আপনাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার, ভবিষ্যতে অবশ্যই সেটা বাস্তবায়ন করবো। আমরা বিশ্বাস করি, গবিসাস তার এ উৎসবমুখর ধারাবাহিকতা আগামীতেও সুন্দরভাবে ধরে রাখবে।”
ফল উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন ফুল ও ফল গাছ রোপণ করা হয়।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, “গবিসাস প্রতি বছর বৃক্ষরোপণ করে থাকে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমাদের সবার উচিত বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহযোগিতা করা এবং পৃথিবীকে সুন্দর সবুজ ভাবে গড়ে তোলা। গবিসাস তাদের এই কাজ ভবিষ্যতে অব্যহত রাখবে বলে আশা করি।”
কর্মসূচির ব্যাপারে গবিসাসের সভাপতি সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, “গবিসাস সবসময়ই শুধু সাংবাদিকতার চর্চা নয়, বরং সমাজ, পরিবেশ ও মূল্যবোধের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা প্রতি বছরের মতো এবারো আয়োজন করেছি ‘মৌসুমি ফল উৎসব’ ও ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি’। এই আয়োজনের মাধ্যমে যেমন আমরা দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ এবং সচেতনতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, তেমনি বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি।”
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী