সহজ লক্ষ্য কঠিন করে হারল যুবারা, বাড়ল অপেক্ষা
Published: 5th, May 2025 GMT
এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ পকেটে। লক্ষ্যও ছিল দুইশর কম। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটারদের ফর্ম বিবেচনায় পথটা সহজই ছিল। তবে পথ হারিয়ে ফেলে আজিজুল হাকিমের দল। ছয় ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ২৭ রানে হেরেছে যুবারা।
সোমবার (৫ মে) কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪২.
রান তাড়া করতে নামা বাংলাদেশের শুরুর তিন ব্যাটসম্যানই ফিরে যান দুই অঙ্কের আগেই। ঘরে নেওয়ার আগে। এরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন রিজান হোসেন (৫০ বলে ২৫), মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৫৯ বলে ৪২) ও দেবশিষ দেবা (৪৭ বলে ২৪)।
আরো পড়ুন:
ধামরাইয়ে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে শুরু জব্বারের বলী খেলা
এই তিনজনের বিদায়ের পর ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশের আশা হয়ে ওঠেছিলেন ফরিদ ও সামিউন। কিন্তু ২৬ বলে ৩৭ রান করা সামিউন বোল্ড হতেই বাংলাদেশের আশার বেলুন চুপসে যায়। ১ রানের ব্যবধানে হারাতে হয় ৩ উইকেট। স্কোর ৬ উইকেটে ১৫৬ থেকে ৯ উইকেটে ১৫৭ রান হয়ে যায়। পরে সাদ ইসলাম রান আউট হলে ১৬৯ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ৫২ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থেকে যান ফরিদ।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন ভিরান চামুদিথা ও কুগাথাস মাথুলান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের এলোমেলো বোলিংয়ে ভালো শুরু পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে ছন্দ ফিরতে সময় লাগেনি। চামুদিথাকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রিজান। চামিকা হিনাটিগালাকে ফেরান সাদ।
ভালো শুরু করা সুহাস ফার্নান্দোকেও বেশি দূর যেতে দেননি রিজান। ৪ চারে ৪৪ বলে ২৮ রান করেন অভিষিক্ত ওপেনার। এরপর পাঁচ নম্বরে নেমে একপ্রান্তে একাই রান করতে থাকেন অধিনায়ক ভিমাথ দিনসারা। তাকে সঙ্গ দেন অভিষিক্ত আদাম হিলমি। দুজন মিলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রানের জুটি গড়েন। দিনসারা আউট হন ৪৭ বলে ৪২ রান করে। হিলমি করেন ৫৯ বলে ৫১ রান।
বল হাতে বাংলাদেশের পক্ষে ৩৫ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সামিউন। রিজান হোসেন, সাদ ইসলাম ও ফারহান শাহরিয়ারের শিকার দুটি করে।
ছয় ম্যাচের সিরিজে আজিজুল হাকিমের দল এখন ৩–২ ব্যবধানে এগিয়ে। সিরিজ নিজেদের করে নিতে চাইলে বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে জিততেই হবে।
ঢাকা/রিয়াদ/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইডেনে স্পিন বিষ, ১৫ উইকেটের দিনে উড়ছে ভারত
ভারতকে প্রথমে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা। স্পিনাররা ইডেনের ২২ গজকে স্রেফ রণক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছিল। বল সারাদিন ছোবল দিল।
অসমান বাউন্সে প্রতিকূল উইকেট। যেখানে সারাদিন ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল লেগেছিল। কলকাতার নন্দনকাননে ১৫ উইকেটের দিন দেখল সমর্থকরা। যার ১২টিই নিয়েছেন স্পিনাররা।
দিন শেষে হাসিটা ফুটেছে ভারতের মুখে। ভারত ১ উইকেটে ৩৭ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল। শনিবার দ্বিতীয় দিনে তাদের ইনিংস আটকে যায় ১৮৯ রানে। এতে ৩০ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে নেমেই এলোমেলো হয়ে যায় কুলদীপ যাদব ও রাভীন্দ্র জাদেজার বোলিংয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের স্কোরবোর্ডের চিত্র এরকম, ৯৭/৭। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে তাদের লিড কেবল ৬৩ রান।
জাদেজা ৪ ও কুলদীপ পেয়েছেন ২ উইকেট। অক্ষরের শিকার ১টি। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া জসপ্রিম বুমরাহ এখন পর্যন্ত উইকেটশূন্য।
প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ২৯ ও করবিন বোস ১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। আউট হওয়া ৭ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল রায়ান রিকেলটন ও উইয়ান মুল্ডার দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন। দুজনই ১১ রান করে করেন।
এর আগে, দিনের শুরুতে ভারত হোঁচট খায় গিলকে হারিয়ে। ঘাড়ের চোটে মাঠ ছেড়ে গিল উঠে যান ৪ রানে। এরপর যারা এসেছেন কেউ ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি। রিশাভ পান্ত ও জাদেজা ২৭ রানের দুটি ইনিংস খেলে। সুন্দরের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। এছাড়া ধ্রুব জুরেল ১৪ ও অক্ষর পাটেল ১৬ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেন সাইমন হারমার। ৩ উইকেট পেয়েছেন মার্কো জানসেন।
ইডেনের ফাটল ধরা ২২ গজে প্রথম দুদিনেই ২৬ উইকেট নেই। সামনে কী অপেক্ষা করছে বোঝাই যাচ্ছে।
ঢাকা/ইয়াসিন