ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “সরকার কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত সনদ বাস্তবায়নের  বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। তবে একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখার মাধ্যমে এ বিষয়ে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।”

সোমবার (৫ মে) সচিবালয়ে উপদেষ্টার সাথে আল-হাইয়াতুল উলিয়ার একটি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিনিধিদল কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টার সহায়তা কামনা করেন।সনদ বাস্তবায়নে তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উপ‌দেষ্টা ব‌লেন, “কওমি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও কর্মদক্ষতা জাতিকে সমৃদ্ধ করবে। তাদের নৈতিক শিক্ষা ও সৃজনশীলতাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হলে দেশ এগিয়ে যাবে।”

আল-হাইয়াতুল উলিয়ার কো-চেয়ারম্যান আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য হলেন বসুন্ধরা রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মাওলানা মুফতি আরশাদ রাহমানী, বেফাকুল মাদারিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুছলেহ উদ্দিন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা মুফতি মোহাম্মাদ আলী ও মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আল ফরীদী প্রমুখ।

আল-হাইয়াতুল উলিয়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডসমূহের সর্বোচ্চ পরিষদ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়া হোমিওপ্যাথিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মারধর করে পুলিশে দিলেন এনসিপির নেতাকর্মীরা

বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম মিল্লাত হোসেনকে মারধর করা হয়েছে। সোমবার রাত আটটার দিকে বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মার্কেটে নিজ চেম্বারে রোগী দেখছিলেন তিনি। এ সময় তাঁকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। এরপর তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। এস এম মিল্লাত স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বিকেল থেকে ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মার্কেটের নিজ চেম্বারে রোগী দেখছিলেন এস এম মিল্লাত হোসেন। রাত আটটার দিকে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী চেম্বারে গিয়ে তাঁকে ধরে বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর তাঁকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়সংলগ্ন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে সোপর্দ করা হয়। শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, কালিবাড়ী মোড় ও পৌরসভা লেন হয়ে ডিবি কার্যালয় পর্যন্ত নেওয়ার সময় এস এম মিল্লাতকে থেমে থেমে মারধর করা হয় এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানীকে বলতে শোনা যায়, ‘অ্যাক (এস এম মিল্লাত) ছয় মাস আগে আলটেমেটাম দিয়েছিলাম, আমাকে দুর্বল মনে করেছে। আমি স্পষ্ট কথা বলে দিতে চাই। বেশি কথার মানুষ আমি না, এক কথার মানুষ। একবার বলেছি মানে ওইটা ওয়ার্নিং হয়ে গেছে। সময়মতো ধরে ফেলে দিয়েছি। তুই আমার ভাইগরক ২০-২৫ বছর ধরে মারচু। দীলিপ রায়ের (স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি) কোনো সিন্ডিকেট রাখব না, আমরা আসতেছি। হাসনাতের ওপর হামলা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে আবদুল্লাহ আল সানী বলেন, ৫ আগস্টের পর এস এম মিল্লাত ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে নানাভাবে সহায়তা করছে। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগকে অর্থ সহায়তা করছেন। 

বগুড়া ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার বলেন, রাত সোয়া আটটার দিকে এনসিপির নেতাকর্মীরা এম এস মিল্লাতকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে সোপর্দ করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ