ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “সরকার কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত সনদ বাস্তবায়নের  বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। তবে একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখার মাধ্যমে এ বিষয়ে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।”

সোমবার (৫ মে) সচিবালয়ে উপদেষ্টার সাথে আল-হাইয়াতুল উলিয়ার একটি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিনিধিদল কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টার সহায়তা কামনা করেন।সনদ বাস্তবায়নে তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উপ‌দেষ্টা ব‌লেন, “কওমি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও কর্মদক্ষতা জাতিকে সমৃদ্ধ করবে। তাদের নৈতিক শিক্ষা ও সৃজনশীলতাকে পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হলে দেশ এগিয়ে যাবে।”

আল-হাইয়াতুল উলিয়ার কো-চেয়ারম্যান আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য হলেন বসুন্ধরা রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মাওলানা মুফতি আরশাদ রাহমানী, বেফাকুল মাদারিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুছলেহ উদ্দিন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা মুফতি মোহাম্মাদ আলী ও মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আল ফরীদী প্রমুখ।

আল-হাইয়াতুল উলিয়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডসমূহের সর্বোচ্চ পরিষদ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির কাছে নিজ দলের কর্মীরাও নিরাপদ নন

অভ্যন্তরীণ কোন্দলে গত ১০ মাসে বিএনপির ১২৭ জন নিহতের তথ্য উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম বলেছেন, দলটির কাছে নিজের নেতাকর্মীও নিরাপদ নন। তাহলে কীভাবে নাগরিকরা নিরাপত্তা পাবেন? শুক্রবার বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সমাবেশে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীরের দলের এ নেতা।

ইসলামী আন্দোলন রংপুর মহানগর কমিটির সমাবেশে ফজলুল করীম বলেন, ‘যারা নিজেরা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেন, তাদের কাছে আইন নিরাপদ নয়। যারা জোর করে পক্ষে রায় নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসেন, তাদের কাছে মানুষের সম্মান বলে কিছু থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভাবছেন আগামীতে অমুক দল আসবে, সে আশায় গুড়েবালি। বাংলাদেশের ৩৮ ভাগ নতুন ভোটার ধানের শীষ কী জানেই না। তারা জিয়াউর রহমানকেও চেনে না।’

ফজলুল করীম আরও বলেন, ‘আবু সাঈদ কতবার জন্ম নেবেন? আপনারা কতবার রক্ত দেবেন? আমরা বলতে চাই, অবৈধ কোনো সরকার বা ব্যক্তিকে ক্ষমতায় আনতে, চাঁদাবাজকে ক্ষমতায় আনতে আর একবিন্দু রক্তও আমরা দিতে চাই না। আমরা ক্ষমতায় এলে এমন পরিবেশ তৈরি হবে, যেখানে কেউ অবৈধ কিছু চিন্তাই করবে না।’

ইসলামী আন্দোলন রংপুর মহানগর সভাপতি আমিরুজ্জামান পিয়ালের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ। পরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১ আসনে এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু, রংপুর-২ মাওলানা আশরাফ আলী, রংপুর-৩ আমিরুজ্জামান পিয়াল, রংপুর-৪ জাহিদ হোসেন ও রংপুর-৫ আসনে অধ্যক্ষ গোলজার হোসেনকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন সৈয়দ ফজলুল করীম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ