বাংলাদেশ ক্রিকেট ম‌্যাচ-আপ তত্ত্বে গভীরভাবে আক্রান্ত। বোলিংয়ে ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যানের বিরুদ্ধে ডানহাতি স্পিনার বল করতে পারবে না। ঠিক আবার বাঁহাতি ব‌্যাটসম‌্যানের বিরুদ্ধে বাঁহাতি স্পিনার বল করতে পারবে না। ব‌্যাটিংয়ে আবার উল্টো।

এমন কোনো নিয়ম এমসিসি লিখে রাখেনি। কিন্তু এমন অলিখিত নিয়ম জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যা ২২ গজে দেখা যায় হরহামেশা। বাংলাদেশ ক্রিকেট যে তত্ত্বকে একেবারে লিখিত নিময়ই বানিয়ে রেখেছে। যদি না-ই বানাতো তাহলে গতকাল সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনারের বিপক্ষে কেন দুজন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যানকে ব‌্যাটিংয়ে পাঠাল না টিম ম‌্যানেজমেন্ট। 

আরো পড়ুন:

ডিএসইতে সূচকের পতন, সিএসইতে উত্থান

৯ মাসে ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের মুনাফা বেড়েছে

মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওয়ানডে টাই হয়। ম‌্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের বিপক্ষে ১০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমবারের মতো সুপার ওভারের অভিজ্ঞতা পাওয়া বাংলাদেশের জয়ের জন‌্য প্রয়োজন ১১ রান। 

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ব‌্যাটসম‌্যানদের মধ‌্যে রিশাদ হোসেন ও সাইফ হাসান রয়েছেন ফর্মে। বাকিরা আসা-যাওয়ার ভেতরেই আছেন। রিশাদ হোসেন মূল ম‌্যাচে ১৪ বলে ৩৯ রান করেন ৩টি করে চার ও ছক্কায়। তার ঝড়ো ব‌্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দুইশর বেশি পুঁজি পায়। কিন্তু সুপার ওভারে তাকে ব‌্যাটিংয়ে দেখতে না পেয়ে অবাক হয়েছে অনেকেই। সাইফ আসলেও দলের দাবি মেটাতে পারেননি। 

বাংলাদেশ ব‌্যাটিংয়ে পাঠায় সৌম‌্য সরকারকে। তিনে শান্তকে। কারণ প্রতিপক্ষ শিবির বোলিং দিচ্ছে বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে। ম‌্যাচ আপ তত্ত্ব অনুযায়ী, এখানে সফলতার হার বেশি থাকবে। 

ব‌্যাটিংয়ে নামার আগে দলের ডাগ আউটে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে লম্বা সময় কথা বলতে দেখা যায়। দুজনের আলাপচারিতায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল ব‌্যাটসম‌্যান নির্বাচন করছিলেন তারা। এ সময়টায় প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ছিলেন নিরব ভূমিকায়। তাকে ডাগআউটে কেবল বসে থাকতেই দেখা যায়। ম‌্যাচের পরও ঠিক একই জায়গায় ছিলেন তিনি। কেন রিশাদ হোসেনকে ব‌্যাটিংয়ে নামানো হলো না সেই প্রশ্ন বারবার উঠে ম‌্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে।

উত্তরে কোচ ও অধিনায়কের পরিকল্পনার কথা বলেন বাঁহাতি ওপেনার, “হ্যাঁ, এটা (রিশাদকে সুপার ওভারে না পাঠানো) কোচ আর অধিনায়ক পরিকল্পনা করেছেন। এটা তাদের পরিকল্পনার একটা অংশ ছিল। তারা চিন্তা করেছে যে, মূল ব্যাটারদের পাঠাবে এই সময়ে।”

আরেক প্রশ্নে কোচ-অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে কারণটাও বোঝানোর চেষ্টা করেন সৌম্য, “দেখুন এখানে বাঁহাতি স্পিনার বল করছিল। তাই বাঁহাতি ব্যাটার উইকেটে যাওয়ার চিন্তা করাই সবচেয়ে ভালো। তো এটাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাঁহাতি ব্যাটার গেলে দলের জন্য ভালো হবে। তাই এটি ভেবেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
অথচ রিশাদ মূল ম‌্যাচে যে ৩টি ছক্কা মেরেছেন ২টি ছিল ছোট সীমানা দিয়ে। মেরেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার গুদাকেশ মোতিকে। ওই প্রান্ত দিয়েই সুপার ওভারে ব‌্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ। ফলে তার কাজটা আরো সহজ হয়ে যেত। কিন্তু বাংলাদেশের অধিনায়ক ও কোচের ম‌্যাচ-আপ তত্ত্বই বাংলাদেশকে ম‌্যাচ হারিয়েছে। 

এমন ম্যাচ আপের পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারত কিনা বাংলাদেশ। উত্তরে আবারও কোচ-অধিনায়কের সিদ্ধান্তের পক্ষে কথা বলেন সৌম‌্য, ‘‘এটা নিয়ে তো দলের সবাই আমরা চিন্তা করিনি। এটা কোচ-অধিনায়ক চিন্তা করেছে। ওইখানে আমরা জানতাম না আকিল বল করবে। যদি আমরা দুইটা বাঁহাতি ব্যাটার নেমে যেতাম, ওই সময় যদি কোনো অফ-স্পিনার আসত, তখন কিন্তু দুজন বিপদে পড়তাম। তাই ডানহাতি-বাহাতি ছিল। ওদের ক্ষেত্রেও দেখবেন, ওরাও বাঁহাতি-ডানহাতি ব্যাটিং করেছে।”

ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য টসম

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিআইসিএমের বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম

তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এনএসইউ-এর অডিটোরিয়ামে এ বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

ডিএসইতে সূচকের পতন, সিএসইতে উত্থান

ইউসিবির রাইট ইস্যুর আবেদনে অসঙ্গতি, বিএসইসির ব্যাখ্যা তলব

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটির জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল ওয়ারিশ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ।

এনএসইউ-এর স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকনোমিকসের ডিন অধ্যাপক ড. একেএম ওয়ারেসুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রোগ্রামে একাউন্টিং অ্যান্ড ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পরিচালক (ভর্তি কার্যক্রম) ড. নূরুল কবির, বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক কাশফীয়া শারমিনসহ বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এনএসইউ ফাইন্যান্স ক্লাবের সদস্য তাশফিয়া ও রিজভী।

বিআইসিএম-এর সহকারী অধ্যাপক কাশফীয়া শারমিন, প্রভাষক ফাইমা আক্তার, প্রভাষক মো. আদনান আহমেদ বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামটির বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন।

তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপনের নিমিত্ত ‘গ্রাহক সেবা পক্ষ' উপলক্ষে বিআইসিএম পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগ্রহ সৃষ্টি ও বিনিয়োগে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে তাদের পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এনএসইউ'র শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিআইসিএমের এ আয়োজন।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএমআরই ও কোম্পানি অধিগ্রহণ করবে স্কয়ার টেক্সটাইলস
  • পাঁচ মাস আগের অবস্থানে ডিএসইর লেনদেন
  • ‘কর্পোরেট গভর্ন্যান্স টেকসই পুঁজিবাজার গড়ার অন্যতম পূর্শবর্ত’
  • শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিআইসিএমের বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম
  • ডিএসইতে সূচকের পতন, সিএসইতে উত্থান
  • পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান