নিজের টাকায় সোহানকে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার দেন আশিক
Published: 6th, May 2025 GMT
দারুণ উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসিত হচ্ছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ফিল্ডিং কোচ আশিকুর রহমান। সিলেটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে ম্যাচের সেরা ফিল্ডারকে মেডেল দেয়ার রীতি চালু করেন দেশি এই কোচ।
গতকাল কিউইদের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর সেরা ফিল্ডারের মেডেল পান অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। একটি স্ট্যাম্পিং ও চারটি ক্যাচ ধরে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার বাগিয়ে নেন এ দলের অধিনায়ক।
আশিক সেই মেডেল বানিয়েছেন নিজের টাকায়। এমন তথ্য দিলেন ‘এ’ দলের হেড কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। মঙ্গলবার (০৬ মে) সংবাদমাধ্যমে বাবুল বলেন, “এখানে আসার আগে দেখলাম সে একটা পয়সা দিয়ে মেডেল বানিয়ে এনেছে। তো এটা একটা সুন্দর মুহূর্ত, সেরা ফিল্ডার হলে তাদের মধ্যে একটা কম্পিটিশন থাকে।’’
আরো পড়ুন:
নতুন মুখ ও পুরনোদের নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল ঘোষণা
দ.
“একটা ছোট মেডেল যাই হোক না কেন। এটা একটা জিনিস এটা তো পুরস্কার। এই পুরস্কারটা নেয়ার জন্য সবাই উদগ্রীব হয়ে থাকে। এটা দলের মধ্যে খুব ভালো একটা পজেটিভ দিক। এটা নেয়ার জন্য সবাই ভালো ফিল করতে থাকে।’’ -আরও যোগ করেন বাবুল।
বিভিন্ন দেশের ম্যাচের সেরা ফিল্ডার কিংবা সেরা খেলোয়াড়কে ড্রেসিংরুমে পুরস্কৃত করার বিষয়টি হারহামেশা দেখা যায়। বাংলাদেশে এমন উদ্যোগ নিশ্চিতভাবে ক্রিকেটারদের আরও উৎসাহ দেবে বলে মনে করেন ‘এ’ দলের কোচ।
আশিকের প্রশংসা করে বাবুল বলেন, “আশিক আমাদের দেশের খুবই একজন... সেই ফিল্ডিংটা দেখে। সে খুবই উন্নতমানের একজন কোচ। তার এরকম অনেক চিন্তাভাবনা নিজে থেকেই আসে। এতদিন সে বিভিন্নভাবে উজ্জীবিত করত দলকে। চকলেট দিয়ে, বিস্কিট দিয়ে, টাকা দিয়ে। সেরা ফিল্ডারকে পুরস্কৃত করা যেটা ছেলেদের মোটিভেটেড করে।“
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে দলের র্যাংকিংয়ে অবনমন হওয়ায় মন খারাপ বাবুলের। বাংলাদেশের অবস্থান এখন দশে। ষষ্ঠ স্থানে থাকা আফগানিস্তানের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ৭৪! আর নয়ে থাকা উইন্ডিজের সঙ্গে ব্যবধান ৪১।
“অবশ্যই হতাশাজনক যে শুধু কোচ হিসেবে না। এটা একজন বাংলাদেশি হিসেবে খারাপ লাগে। অনেক উন্নতির কথা বলি হয়তো, কিন্তু মাঠে যদি সেই খেলাটা খেলতে না পারি র্যাঙ্কিংয়ে যদি উন্নতি করতে না পারি অবশ্যই খারাপ লাগে।’’ —বলেছেন বাবুল।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বদলে যেতে পারে শিক্ষার্থীর জীবন
লেখাপড়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এক বছর লেখাপড়া শেষে একটা পরিপূর্ণ মূল্যায়ন পেতে চায়। পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর সঠিক মূল্যায়ন পাওয়া সম্ভব। তাই জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। একজন শিক্ষার্থীর জীবন এ বৃত্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই বদলে যেতে পারে।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুধু একটি পরীক্ষাই নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গঠনের একটি শক্তিশালী ভিত্তি। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী ধীরে ধীরে এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকে। এতে করে তার মধ্যে লক্ষ্য নির্ধারণ, পড়ার প্রতি আগ্রহ এবং নিয়মিত অধ্যবসায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে, তখন তার মানসিক বিকাশের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। এই আত্মবিশ্বাস একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক দরকার। ভবিষ্যৎ লেখাপড়ার প্রতিযোগিতামূলক সড়কে একমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আবার শুরু হতে যাচ্ছে। অবশ্য এ উদ্যোগ ঘিরে বিভক্ত মত রয়েছে শিক্ষাবিদদের মধ্যে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের অভিমত ছাপা হচ্ছে শিক্ষায়আর এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে একটি স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ পায়। একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়, তখন সে শুধু নিজেই গর্বিত হয় না, তার পরিবার, বিদ্যালয় এবং সমাজও তার ওপর গর্ববোধ করে। এতে তার মধ্যে আরও ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। পড়াশোনায় সে আরও মনোযোগী হয়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতে ভালো ফলাফলের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। এই সাফল্য পরবর্তীকালে তার শিক্ষা ও কর্মজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুনঅষ্টম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, আছে প্রশ্নও২৮ জুলাই ২০২৫রাবেয়া সুলতানা, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা