ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে যাওয়া সেই বাসের চালক শহীদুল শেখকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

মঙ্গলবার (৬ মে) দিনগত রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলার গয়লাকান্দি গ্রামের ফজলু শেখের ছেলে।

র‌্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ১৭ এপ্রিল দিনগত রাতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর এলাকার এক্সপ্রেসওয়েতে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে বরিশাল এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী একটি বাসের ছাদ উড়ে যায়। এরপরও ওই অবস্থায় অন্তত পাঁচ কিলোমিটার পথ চালিয়ে নিয়ে যান চালক। পরে যাত্রীদের চিৎকার ও জনরোষে পড়ে গাড়ি থামিয়ে পালিয়ে যান চালক। 

এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল শ্রীনগর উপজেলার হাষাড়া হাইওয়ে থানায় বাসটির অজ্ঞাত পরিচয়ের মালিক, চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে এসআই আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/রতন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরের মাহমুদনগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) মো. ফরহাদ আলীর বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

এর প্রতিবাদে গত ১২ আগস্ট স্থানীয় ২৮ জন বাসিন্দার স্বাক্ষর সংযোজন করে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন মো. আলমাছ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।

লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভূমি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ আলীর কাছে জমির নামজারী করতে গেলে লাখ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। এক জনের জমির খাজনার পরিমাণ দুইশ’ টাকা হলে মো. ফরহাদ আলী পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভূমি সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করে আসছেন ফরহাদ আলী। নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তোলাসহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকার নির্ধারিত অর্থের বাইরেও বাড়তি টাকা নেওয়া হয়। তার সাথে চুক্তি ছাড়া কোনো কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে না। চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন সেবা পাচ্ছেন না সেবা গ্রহীতারা। 

এছাড়া বাড়তি টাকা আদায়ের বাইরেও গ্রাহকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হয়রানির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সব জেনেও সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি কমাতে কোন ধরনের কার্যকরি পদক্ষেপ নেই বলে জানিয়েছেন সেবাগ্রহীতারা।

সেবা নিতে আসা নুরুল ইসলাম, আবুসাইদ, মো. ফজলুল হকসহ একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, “এই অফিসের কর্মকর্তা ফরহাদ আলীর কাছে সেবা নিতে গেলে তার চাহিদামতো টাকার বিনিময়ে চুক্তির বাইরে কোন সেবা মিলছে না। এসব অনিয়ম দেখার কেউ নেই। ফরহাদ আলীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।”

অভিযোগের বিষয়ে ভূমি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ আলী বলেন, “আলমাছ নামে যে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি একজন দলিল লেখক। আমার দুই বছর চাকরি সুবাধে সে তার পারিবারিক বা আত্মীয় স্বজনের কাজ নিয়ে আসেনি আমার কাছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন তিনি।”

ঢাকা/কাওছার/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ