আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার কাছে ফোয়ারার সামনে জমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিতে  অনেকেই  আসছেন৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন৷

আজ শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় ফোয়ারার সামনে স্থাপিত মঞ্চ থেকে নানা স্লোগান দেওয়া হচ্ছে৷ স্লোগানের এক ফাঁকে মঞ্চ থেকে মাইকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, 'আমাদের লড়াই মাত্র শুরু হয়েছে৷ এই কর্মসূচির ব্যাপ্তি একদিনও হতে পারে, এক মাসও হতে পারে৷ যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা আসছে, ততক্ষণ আমাদের রাজপথে থাকতে হবে৷'

জুমার পর তীব্র গরমের মধ্যেই মুসল্লি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন৷ জুমার নামাজের পর মঞ্চ থেকে যাঁদের উপস্থিত হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ প্রমুখ৷

এই প্রতিবেদন লেখার সময় মঞ্চ থেকে 'একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর', 'লীগ ধর, জেলে ভর', 'ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ', 'কণ্ঠে আবার লাগা জোর, আওয়ামী লীগের কবর খোঁড়', 'ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ চাই’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই' প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল৷ স্লোগানের ফাঁকে ফাঁকে কেউ কেউ মাইকে কথা বলছেন৷ প্রতিবাদী কবিতাও আবৃত্তি করা হচ্ছে মঞ্চ থেকে৷

ফোয়ারা থেকে পরীবাগ অভিমুখী সড়কের ওপর কিছু আন্দোলনকারীকে রং দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান লিখতে দেখা গেল৷  এসব স্লোগানের মধ্যে আছে 'চেয়ারের লোভ করে যে, আস্তাকুঁড়ে মরে সে', 'ক্ষমতা না জনতা?', 'জুলাই ঘোষণা?' ইত্যাদি৷

পরীবাগ অভিমুখী সড়কে রং দিয়ে স্লোগান লেখা হচ্ছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সমাবেশে ‘পানি স্প্রে’ নিয়ে যা বললেন ডিএনসিসি প্রশাসক

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আয়োজিত সমাবেশে আজ শুক্রবার স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এটিকে সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণ বলে সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচারণাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ঢাকায় গত কয়েকদিন ধরে হিট ওয়েভ চলছে; ফলে যেখানেই অতিরিক্ত মানুষের সমাগম ঘটছে, সেখানেই ওয়াটার স্প্রের ব্যবস্থা করছে ডিএনসিসি। গরমের তীব্রতা কমাতে শুধু সমাবেশস্থল নয়, বিভিন্ন বাজার এলাকা ও টার্মিনাল এলাকাতেও এই স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি যখন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরেছেন। তখনও অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের ওপর এই স্প্রে ভেহিকেল ব্যবহার করে পানি ছিটানো হয়েছিল।

প্রশাসক জানান, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ ইস্যুতে আয়োজিত সমাবেশগুলোতেও একই ভেহিকেলটি ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত হিট ওয়েভ থাকা অবস্থায় নাগরিকদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই ভেহিকেলটি ব্যবহার হয়, ওই জমায়েত রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক তা সিটি কর্পোরেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ