রাজধানীর ধানমন্ডি-২৭ নম্বর মোড় থেকে আসাদগেট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এলাকায় প্রধান সড়কে (মিরপুর রোড) অভিযান চালিয়ে শতাধিক অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয়েছে। পরে এসব রিকশা গাবতলী এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটির আমিনবাজার কাঁচাবাজারের জায়গায় ডাম্পিং করা হয়েছে।

প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল নিয়ন্ত্রণে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যৌথভাবে এ অভিযান চালিয়েছে।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশার তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং পয়েন্ট বন্ধ করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রশাসক এজাজ বলেন, ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলাচল করতে পারবে না। রিকশা চলবে অলিগলি রাস্তায়। ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। ডেসকোর (ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি) সহায়তায় রিকশা যেখানে চার্জ দেওয়া হয় এবং যেখানে রিকশা তৈরি করা হয়, সেসব ওয়ার্কশপগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

প্রশাসক বলেন, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে সড়কে ২০ শতাংশ দুর্ঘটনা এই ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শহরের নারী ও শিশুরা। এগুলো কোনো নীতিমালা বা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়নি। প্রায়ই দেখা যায় রিকশা পথচারীদের ওপর উঠে যাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।

নতুন মডেলের ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে প্রশাসক বলেন, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও সড়কে গণপরিবহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। বুয়েটের (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) সহায়তায় ইতিমধ্যে নিরাপদ ব্যাটারিচালিত রিকশার প্রস্তুত করে কিছু কোম্পানিকে প্রস্তুতের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া এ মাস থেকে ঢাকা উত্তর সিটি রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণরাই কেবল বৈধ লাইসেন্স পাবে এবং অনুমোদিত কোম্পানির তৈরি রিকশা শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় চালাতে পারবে। এক এলাকার বৈধ রিকশাও অন্য এলাকায় যেতে পারবে না। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ভাড়াও নির্ধারিত থাকবে। রিকশা নিয়ে চলমান বাণিজ্য বন্ধে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে শুধু একটি রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অভিযানে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা, ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলমসহ ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

ইনিংস হারে গলের অর্জন কলম্বোয় বিসর্জন 

গল টেস্টে ড্র করলেও ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। তিন সেঞ্চুরি ও এক ফাইফারে অর্জনের পাল্লা ভারি ছিল শান্তদের। ওই টেস্টের আত্মবিশ্বাস নিয়ে কলম্বো টেস্ট শুরু করলেও ইনিংস ও ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবেছে বাংলাদেশ। গল টেস্টের অর্জন কলম্বোর ঠিক পরের টেস্টেই বিসর্জন দিয়েছে। টেস্টে বাংলাদেশ দলের ধারাবাহিকতা নিয়ে পুরনো প্রশ্নও থেকেই গেছে।  

শ্রীলঙ্কার ২১১ রানের লিডে চাপা পড়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন ৩৮.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করে শেষ করেছিল সফরকারীরা। ইনিংস হার থেকে ৯৬ রান পিছিয়ে ছিল। চতুর্থ দিন সকালে ৫.৪ ওভার স্থায়ী হয় লিটন দাসদের ইনিংস। ফিল সিমন্সের দল ৪৪.২ ওভারে অলঅউট হয় মাত্র ১৩৩ রান করে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ