ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত উপত্যকা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর গাজায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন। 

চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার (১৪) মে আল জাজিরার লাইভ খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজার জাবালিয়া শহর এবং জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আবাসিক ঘরবাড়িতে রাতভর বোমাবর্ষণ করেছে। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত এবং আরো কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। 

ইসরায়েলের আশকেলন এবং সদেরোতে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের রকেট হামলার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই অঞ্চলের জন্য জোরপূর্বক স্থানচ্যুতির নির্দেশ জারি করার পর এই হামলাগুলো করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

গাজায় আরো ১ সাংবাদিককে হত্যা, নিহত বেড়ে ২১৫

যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় মার্কিন–ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে হামাস

জাবালিয়ায় হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসে ইউরোপীয় হাসপাতালের উঠোন এবং আশেপাশের এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

ইউরোপীয় হাসপাতাল গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতালগুলোর মধ্যে একটি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হাসপাতালের উঠোন এবং আশেপাশে নয়টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

ইউরোপীয় হাসপাতালে হামলায় কমপক্ষে ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলোর মতে, এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। 

ইউরোপীয় হাসপাতালের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ইসরায়েলের একটি কোয়াডকপ্টার ড্রোন দুই বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাকে আহত করেছে বলে জানা গেছে।

একই হামলায়, ইউরোপীয় হাসপাতালের খুব কাছের একটি বাড়িও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, নিহত এবং আহতদের খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। মেডিকেল দল হতাহতদের চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছে।

চিকিৎসা সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মঙ্গলবার নাসের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আরেকটি হামলা চালানো হয়েছে। বিখ্যাত স্থানীয় সাংবাদিক হাসান এসলাইহ সেই হামলায় নিহত হয়েছেন।

গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় ৫২ হাজার ৮২৯ জন নিহত হয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল ন ন হত ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজায় হাসপাতালে চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন। আর উত্তর গাজায় হামলায় মধ্যরাতের পর থেকে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫১ জন। মূলত হাসপাতালে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরই উত্তর গাজায় ওই হামলা চালায় ইসরায়েল।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে এবং মধ্যরাত থেকে কমপক্ষে ৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে চিকিৎসকরা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৫ জন উত্তর গাজায় নিহত হয়েছেন।

আল জাজিরা বলছে, দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় এবং নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩০ জনকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই সর্বশেষ হামলাগুলো শুরু হয়েছে। হাসপাতালে হওয়া ওই হামলায় নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসা নিতে আসা একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

এদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭৮০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও প্রায় ৭ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালাল ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১
  • গাজায় হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, একরাতে নিহত ৮১
  • এক প্রজন্মের ওপর দুর্ভিক্ষের স্থায়ী প্রভাব পড়ার শঙ্কা