কদিন আগেই ৮ কোটি টাকা মূল্যের পোরশে ৯১১ জিটি৩ আরএস গাড়ি কিনে আলোচনায় এসেছিলেন নেইমার। সেই গাড়ি কেনার খবর পুরোনো হওয়ার আগেই নেইমারের গ্যারেজে প্রবেশ করল নতুন আরেকটি গাড়ি। ব্রাজিলিয়ান তারকা এবার কিনলেন ফেরারি পুরোসাঙ্গু মডেলের বিলাসবহুল আরেকটি গাড়ি। একের পর এক গাড়ি কিনে নেইমার যেন গাড়ি কেনাকে এখন নেশায় পরিণত করেছেন!

নেইমারের বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি আগ্রহ অবশ্য অনেক আগে থেকেই। বিভিন্ন সময় গাড়ির কারণে সংবাদের শিরোনামেও এসেছেন সান্তোস ফরোয়ার্ড। তবে এবার অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি নতুন গাড়ি কিনে যেন চমকে দিলেন তিনি। এবারের ফেরারির দাম কদিন আগে কেনা পোরশের প্রায় দ্বিগুণ।

ব্রাজিলের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কালো রঙের এই ফেরারি কিনতে নেইমারের খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ কোটি টাকার বেশি। বিলাসবহুল এই গাড়িটি এসইউভি (স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেইকেল) মডেলের, যার অতিরিক্ত কিছু ফিচার এর মূল্য আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুননেইমারের বিলাসবহুল গাড়ির সংগ্রহে নতুন সদস্য, জেনে নিন দামসহ অন্যান্য তথ্য১১ মে ২০২৫

ফেরারি কেনার জন্য শুধু টাকা থাকলেই অবশ্য হবে না, ইতালিয়ান এই অটোমোবাইল ব্র্যান্ডের কিছু নির্দিষ্ট শর্তও পূরণ করতে হবে। পাশাপাশি ৭২৫ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিনের এই গাড়িটি কেনার জন্য দুই বছর অপেক্ষাও করতে হয়েছে নেইমারকে।

এর আগে পোরশের এমন একটা গাড়ি কিনেছিলেন নেইমার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ব ল সবহ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঝালকাঠিতে রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পোস্টার

ঝালকাঠিতে ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলা শাখার সদস্যরা শহরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে বরিশাল-ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কের নলছিটি থানার বিসিক, প্রতাপ, বরইতলা, ভৈরবপাশা, ষাটপাকিয়া, শ্রীরামপুর, আমিরাবাদসহ সড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন মাইলফলকে এসব পোস্টার লাগানো হয়।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে বিষয়টি সকলে নজরে আসে।

একাধিক সূত্র জানায়, রাতের আঁধারেই এসব পোস্টার লাগানো হয়। ঘটনার পরপরই ঝালকাঠি-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি পেট্রোল পাম্প মোড়সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়। পাশাপাশি টহলে রয়েছে জেলা পুলিশের বিভিন্ন টিম। পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও চলছে।

জেলা বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান মুবিন বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ রাতের আঁধারে পোস্টারিং করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গণঅভ্যুত্থানের পর তাদের সাহস নেই প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি করার, তাই চোরের মতো রাতের আঁধারে পোস্টার লাগিয়েছে।’’

এদিকে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মধু তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্টারের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ঝালকাঠির বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো হয়েছে। যারা পোস্টার লাগিয়েছে, তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’’

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস ছালাম বলেন, “পোস্টারগুলো কারা লাগিয়েছে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি অনুসন্ধান করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘মহাসড়কে টহল পুলিশ কর্তব্য পালন করছে। হয়তো রাতের আঁধারে কেউ চোখ ফাঁকি দিয়ে পোস্টার লাগিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে যারা এ কাজ করেছে, তাদের শনাক্তেরও চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/অলোক/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ