ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম এ কে এম মোজাম্মেল হক (৫৯)। কারাগার ও হাসপাতাল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কারাগার সূত্র জানায়, অসুস্থ অবস্থায় মোজাম্মেলকে আজ ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মোজাম্মেল দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি মামলার আসামি ছিলেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো.

ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইবির সেই শিক্ষককে অপসারণ 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সমকামীতার সমর্থনকারী শিক্ষক হাফিজকে চাকরি থেকে অপসারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪(১)(চ) ধারা মোতাবেক তাকে গত ৩১ মে থেকে এ অপসারণ (ডিসমিসাল ফ্রম সার্ভিস) করা হয়। 

সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

কথা অস্পষ্ট, পারেন না লিখতে তবুও দিচ্ছেন এইচএসসি পরীক্ষা

শাবিপ্রবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৭ জুলাই

অফিসে আদেশে বলা হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিত করা হয়। কমিটির রিপোর্ট ও সুপারিশ পর্যালোচনা করে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৬তম সভার ৪৪ নং প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির (৪) জ(খ) ও (৫) ধারা মোতাবেক তাকে বাৎসরিক একটি ইনক্রিমেন্ট/ধাপ বাতিল করা হয় এবং তাকে সিন্ডিকেট সভার তারিখ থেকে ১ বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।

অফিস সূত্রে আরো বলা হয়েছে, উক্ত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি পুনরায় ব্যাপক তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়।

ওই তদন্ত কমিটির সুপারিশ গত ৩১ মে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮তম সভার ৭ নম্বর সিদ্ধান্ত মোতাবেক পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী তদন্তের আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে তার এমন কর্মকাণ্ড ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির চরম পরিপন্থি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪(১) (চ) ধারা মোতাবেক তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো, যা ৩১ মে থেকে কার্যকর হবে।

বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দীন বলেন, “প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিভাগের আমরা এত খুশি যে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমাদের দাবি হাফিজের মত ক্যাম্পাসে এমন দুশ্চরিত্রের যারা আছে, প্রশাসন যেন তদন্ত করে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে।”

এ বিষয়ে হাফিজুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর  হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, কথা না শুনলে মার্ক কম দেওয়া ও ছাত্রদের জোরপূর্বক সমকামীতায় বাধ্য করাসহ নানা অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে বারবার আন্দোলনে নামেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া উপাচার্যের কাছে তারা লিখিতভাবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পায়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৬তম সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার বার্ষিক একটি ইনক্রিমেন্ট বাতিলসহ এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।

তবে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা হাফিজের এই শাস্তিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাফিজকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চতর তদন্তের জন্য এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। পরে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ