আওয়ামী লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর: মির্জা ফখরুল
Published: 2nd, October 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে বারবার সাম্প্রদায়িক উসকানি, বিভিন্ন ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর দেবালয় আক্রমণ-ভাঙচুরসহ নানা অপ্রীতিকর সাজানো ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তাদের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর।
শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই বাণী দেওয়া হয়।
বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী। এ উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন। তাঁদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।’
শারদীয় দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর সব মানুষের জীবনে এক আলোকদীপ্ত বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, সুদীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশসহ বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর এই ধর্মীয় উৎসব এক ঐশ্বর্যময় ঐতিহ্য মহিমামণ্ডিত। দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক।
পৃথিবীতে অঞ্চলভেদে যেকোনো উৎসবই মানুষের মধ্যে স্বর্গীয় আনন্দ ও শুভেচ্ছার বার্তা নিয়ে আসে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, উৎসবের প্রাঙ্গণে কোনো বিধিনিষেধ নেই। সেটি প্রত্যেক মানুষেরই মিলনক্ষেত্র। বাংলাদেশের মৃত্তিকার গভীর থেকে যে ইতিহাস-ঐতিহ্য উৎসারিত হয়, সেটি ধর্মীয় স্বাধীনতা-মূল্যবোধকে অন্তর্ভুক্ত করে। দুর্গাপূজার মূল বাণী হচ্ছে, অশুভের ওপর শুভের জয়। দুর্গা তাঁর গৌরবময় লক্ষ্য অর্জনের জন্য মন্দকে উপলব্ধি করেন, তা প্রতিহত করেন।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তবে অশুভ চক্রের চক্রান্ত ঠেকাতে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে পূজামণ্ডপে পাহারা দিচ্ছে। যাতে শান্তি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হতে পারে। তাদের প্রতিহত করতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।
ধর্মীয় উৎসব সাম্প্রদায়িক কোনো বৃত্তে আবদ্ধ থাকে না বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, উৎসব বৃত্ত অতিক্রম করে সব মানুষকে নিয়ে উদ্যাপিত হয়। মানুষের আত্মাকে মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে।
অপশক্তির অশুভ তৎপরতা দুর্গাপূজার উৎসবে যাতে কোনোভাবেই বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ। আমরা সবাই বাংলাদেশি এটিই আমাদের গর্ব, এটিই আমাদের একমাত্র পরিচয়।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
জানা গেল রাজামৌলির ছবির নাম, থাকছেন মহেশ বাবু-প্রিয়াঙ্কা
অবশেষে প্রকাশ্যে এল এস এস রাজামৌলির বহুল প্রতীক্ষিত ছবির প্রথম ঝলক। গত শনিবার হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে ‘বাহুবলী’ নির্মাতা উন্মোচন করলেন তাঁর নতুন ছবির নাম, টিজার ও পোস্টার। বহুল প্রতীক্ষিত এ ছবির নাম ‘বারাণসী’। ছবিতে জুটি বাঁধছেন দক্ষিণি সুপারস্টার মহেশ বাবু ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। খল চরিত্রে থাকছেন দক্ষিণের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। পাশাপাশি দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হয় মহেশ বাবুর প্রথম লুক। পর্দায় বারাণসীর জমকালো পোস্টার ভেসে উঠতেই মুহূর্তে পুরো প্রেক্ষাগৃহে ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছ্বাস। জনসমুদ্র, আতশবাজির ঝলকানি, অগণিত মানুষের আবেগ-ভালোবাসা আর দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের উপস্থিতি—সব মিলিয়ে এটি হয়ে ওঠে উৎসবের রাত। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
প্রিয়াঙ্কার অভিষেক
‘বারাণসী’র মাধ্যমে তেলেগু ছবির জগতে পা রাখছেন প্রিয়াঙ্কা। এদিনের জমকালো আয়োজনে একরাশ উচ্ছ্বাস নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি একদম অন্য রকম। ভক্তদের ভালোবাসাই আমাদের এখানে নিয়ে এসেছে। ভারত থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের মিডিয়া—সবাইকে জানাই ধন্যবাদ। এই দেশে সিনেমা সত্যিই উৎসবের মতো উদ্যাপিত হয়।’