ফেনীতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে ৩ জন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের দাগনভূঞার সিলোনিয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন দাগনভূঞা উপজেলার খুঁশিপুর গ্রামের শহীদুল্লাহর স্ত্রী শামীম আরা বেগম (৫০), একই উপজেলার দক্ষিণ জায়লস্কর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো.

শ্রাবণ (২০) এবং আরেকজন অজ্ঞাত তরুণ (২০)। পুলিশ জানায়, তিনি নোয়াখালীর সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যক্তিদের বরাতে জানা যায়, ফেনী থেকে নোয়াখালীগামী সুগন্ধা পরিবহনের একটি বাস সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলোনিয়া ব্রিজ এলাকায় অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারায়। বাসটি একাধিক ছোট পরিবহনকে ধাক্কা দিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ের পাশে উল্টে যায়। এ সময় একই গন্তব্যে যাওয়া একটি পিকআপ পেছন থেকে বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের যাত্রী ও পথচারীসহ অন্তত ১৩ জন আহত হন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সাহাব উদ্দিনকে (৫৫) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মহিপাল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন উর রশিদ বলেন, ‘সিলোনিয়া ব্রিজের ইউটার্ন এলাকায় চালকের বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি উদ্ধার করেছে। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার ভোরে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখা ভবনের বারান্দায় পেট্রল আগুন দেওয়া হয়। এতে ব্যাংকের বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া বারান্দায় একটি ব্যানার, ক্যারম বোর্ড ও আসবাব আগুনে পুড়ে যায়।

ধুনট থানা-পুলিশ ও গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আজ ভোরে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার কার্যালয়ের বারান্দায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বালু ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন ও ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ব্যাংকের নৈশপ্রহরী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বারান্দায় সতর্ক অবস্থায় ছিলাম। রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বারান্দায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’

শাখাটির ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, রাতে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা নৈশপ্রহরী সামান্য সময়ের জন্য বারান্দা থেকে একটি কক্ষের ভেতরে যান। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বারান্দায় অগ্নিসংযোগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বড় রকমের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আগে থেকেই বালু ও পানি মজুত ছিল। আজ সকাল থেকে যথারীতি ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধুনট থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ