ফেনীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস দোকানে, নিহত ৩
Published: 2nd, October 2025 GMT
ফেনীর দাগনভূঞায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস উল্টে সড়কের পাশের দোকানে ঢুকে পড়েছে। এ ঘটনায় দুই নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আটজন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সিলোনিয়া বাজার সংলগ্ন লাকি রোডের মুখে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৪
ডেঙ্গুতে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ
নিহতরা হলেন- দাগনভূঞা উপজেলার খুশিপুর এলাকার শহিদুল্লাহর স্ত্রী শামীম আরা বেগম (৫০) ও একই উপজেলার দক্ষিণ জয়লস্কর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো.
আহতরা হলেন- দক্ষিণ জায়লস্করা এলাকার বাসিন্দা জান্নাত আক্তার বৃষ্টি (১৪), তামিম (১৩), আফিয়া (১০), মিষ্টি (১৪), দক্ষিণ মাতিয়ারার খোদেজা (৩০), শিশু আব্দুল্লাহ (১৮ মাস), উত্তর জায়লস্করা এলাকার সাহাব উদ্দিন (৫৫) এবং খুশিপুর গ্রামের নাফসি (২৬)। গুরুতর আহত সাহাব উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফেনীর মহিপাল থেকে নোয়াখালীগামী সুগন্ধা পরিবহনের বাসটি সিলোনিয়া বাজার সংলগ্ন লাকি রোডের মুখে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। পরে বাসটি উল্টে একটি দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, “হাসপাতালে আনার আগেই তিনজন মারা যান। আহতদের মধ্যে সাতজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
মহিপাল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, “তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বেপরোয়া গতি ও বৃষ্টির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দ্রুত আইনি ভিত্তি দিতে হবে: মাওলানা ইমতিয়াজ
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দ্রুত দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম।
তিনি বলেছেন, “আইনী ভিত্তি না থাকলে অচিরেই কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই অভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের ভিত্তি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমতিয়াজ আলম বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এবং কতিপয় নামধারী বুদ্ধিজীবীর কথাবার্তা দিনদিন অবনতি হচ্ছে। জুলাই সনদের আইনি কোনো ভিত্তি না থাকায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই, দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে।”
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেতনার ব্যবসা করে দেশকে গোল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব নিয়ে কোনো ধরনের চেতনা ব্যবসা এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস লেখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা বলেন, “জুলাইয়ে শহীদ এবং আহতরা হলো এই আন্দোলনের মূল মাস্টারমাইন্ড। তাদেরকে দেখেই সাধারণ জনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে সহস্রাধিক শহীদ এবং লক্ষাধিক আহতদের কোনো একসময় দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও কিছু করার থাকবে না। আহতদের পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।” আহতদের পরিপূর্ণ পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ