Risingbd:
2025-11-17@11:19:23 GMT

‘বাংলাদেশে সম্প্রীতিই আসল’

Published: 2nd, October 2025 GMT

‘বাংলাদেশে সম্প্রীতিই আসল’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, “বাংলাদেশে ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। এখানে সম্প্রীতিই আসল। মানবতাই বড় ধর্ম, সেবাই ধর্ম।”

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান-বনানী এলাকার একটি দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

আরো পড়ুন:

আজ দেবীর বিদায়, রংপুরের মণ্ডপে চলছে সিঁদুর খেলা

দশমীর সাজে সাবেকিয়ানার সঙ্গে একটু টুইস্ট আনতে পারেন

নূরজাহান বেগম বলেন, “আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা এক, কেউ তাকে আল্লাহ বলেন, কেউ ভগবান— নাম আলাদা হলেও তিনি একজনই।”

তিনি বলেন, “আমাদের ইসলাম ধর্মে বলা আছে, ‘লাকুম দ্বিনুকুম ওয়া লিয়া দ্বিন’। তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার। যদি আমরা সবাই এই চেতনাকে ধারণ করি, তবে সম্প্রীতির বন্ধন কেউ কোনোদিন ভাঙতে পারবে না।”

শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে তিনি সবার প্রতি শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, “এই কয়দিনের আনন্দ আজ বিষাদের সুর বয়ে এনেছে। এই আনন্দের মুহূর্তগুলো আমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও একতার বার্তা দিয়ে গেল।”

এসময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.

আবু জাফর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, গুলশান বনানী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জিতেন্দ্র নাথ ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক অসিম জোয়ারদার।

ঢাকা/এএএম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উৎসব উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ