জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে যাওয়া কোনো শিক্ষক এবং কর্মকর্তাকে বিধিবহির্ভূতভাবে আর্থিক সুবিধা বা উপঢৌকন প্রদান করলে বা তারা গ্রহণ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে প্রজ্ঞাপনটি জারি করেছেন রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা পরিদর্শন, নিরীক্ষা, তদন্ত, নিয়োগ বা পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজে অধিভুক্ত কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গমন করলে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদলকে আর্থিক সুবিধা বা উপঢৌকন প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে শিক্ষক, কর্মকর্তাগণ অধিভুক্ত কোনো কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গমন করলে, বিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে তাদেরকে টিএ, ডিএ বা সম্মানী প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুনজুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা: শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বিশেষ পরামর্শ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তাকে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো আর্থিক সুবিধা বা উপঢৌকন প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে কোনো আর্থিক সুবিধা বা উপঢৌকন গ্রহণ করলে তাঁর বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট

আরও পড়ুনজুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, পরীক্ষার্থীদের প্রতি মাউশির একগুচ্ছ নির্দেশনা২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর থ ক স ব ধ গ রহণ কর কর মকর ত ব যবস থ পর ক ষ কল জ ব ন করল

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ