দুইজনের সম্পর্কের সূত্রপাত হয়েছিল বেশ অস্বাভাবিকভাবে। তাদের বয়সের ব্যবধান ২৫ বছর। মাত্র ষোল বছরের এক কিশোর প্রেমে পড়েন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর। যে নারী তিন সন্তানের জননী। বলা হচ্ছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর কথা। যিনি তার স্কুল শিক্ষিকাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন।

তিন সন্তানের জননীর সঙ্গে প্রেম হলে মাঁখোর পরিবার এই প্রেম থামাতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ব্রিজিত মাখোঁ এক সময় স্কুলের নাটকের শিক্ষিকা ছিলেন।

মাঁখো কখনোই রাজনীতিবিদ হতে চাননি। তিনি চেয়েছিলেন একজন ঔপন্যাসিক হতে। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন খুবই মেধাবী। মাঁখোর স্কুল শিক্ষিকা এবং বর্তমানে তার স্ত্রী ব্রিজিত তোনিয়ো ছোট বেলা থেকেই তাকে চেনেন। ব্রিজিত মনে করেন, এমানুয়েল মাঁখো স্কুল জীবনে অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রমী ছিল। 

আরো পড়ুন:

চমক রেখে নেশনস লিগের সেমিফাইনালের দল ঘোষণা ফ্রান্সের

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্য-কানাডা-ফ্রান্সের

এক সময় মাঁখো তার স্কুল ছেড়ে যান, ফলে ছেড়ে যেতে হয়েছিল শিক্ষিকা ব্রিজিত মাঁখোকেও। কিন্তু এতে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে  ওঠে। স্কুল ছেড়ে যাবার পর তাদের দুইজনের মধ্যে টেলিফোনে দীর্ঘ কথোপকথন হতো। এই কথপোকথন থেকেই দুজনেই মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তখন ব্রিজিত মাঁখো ছিলেন বিবাহিতা এবং তিন সন্তানের জননী।

মাঁখোর প্রেমের পড়ে আগের স্বামীকে ছেড়ে ২০০৭ সালে এমানুয়েল মাখোঁকে বিয়ে করেন।  দুজনই প্রচারণা থেকে দূরে ছিলেন। মাঁখো যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনস্থির করেন, তখন তারা অনেক বেশি জনসম্মুখে আসেন। তাদের দুইজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছে মাঁখো এবং ব্রিজিতকে। মাঝেমধ্যে এসব সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন মাঁখো।  তিনি একবার বলেছিলেন, ‘‘বয়সের ব্যবধানটা যদি উল্টো হতো তাহলে বিষয়টি নিয়ে কেউ এতো কথা বলতো না। মানুষ ভিন্ন কিছু দেখে অভ্যস্ত নয়।’’

এই যে ভিন্ন কিছুতে বিশ্বাসী হয়ে ওঠা, অনেকে মনে করেন এই অভিজ্ঞতা মাঁখোকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। একবার এক ফরাসি সাংবাদিক বলেছিলেন,  এমানুয়েল মাখোঁ যদি নিজের চেয়ে ২৪ বছরের বড় তিন সন্তানের এক জননীকে আকর্ষণ করতে পারেন, তাহলে একই উপায়ে তিনি ফ্রান্সকেও জয় করতে পারবেন।’’

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এম ন য় ল ম খ

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: মহিলা পরিষদ

নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে এক অবরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। নারীরা সহিংসতা ও বৈষম্যেরও শিকার হচ্ছেন। এটি নারীর অগ্রগতিসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক নয়।

‘নারীর প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য ও নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে’ এক মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের নেতারা এ কথাগুলো বলেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে মহিলা পরিষদ। পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, রাষ্ট্রে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি চরমে। নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করে অবরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার কথা উল্লেখ করে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, সংখ্যালঘুদের নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সব পরিবর্তন যে কল্যাণকর নয়, তা আজ নারী সমাজ বুঝতে পারছে বলে মানববন্ধনে মন্তব্য করেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি বলেন, নারীকে জনপরিসরে ক্রমাগত হেনস্তা করা হচ্ছে।

নারীকে অবরুদ্ধ করতে একটি গোষ্ঠীর তৎপরতা বৃদ্ধি নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় ভূমিকার পশ্চাৎপদতাকে তুলে ধরছে। রাষ্ট্রের এই পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) প্রতিনিধি ফারজানা আখতার এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশের (এডাব) প্রতিনিধি সমাপিকা হালদার।

এ ছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ