ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) অসুস্থ আসামিদের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থ করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) ঢাকার সিএমএম কোর্টের হাজতখানায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান তিনটি হুইল চেয়ার প্রদান করেন। 

এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (প্রসিকিউশন) মো. তারেক জুবায়ের, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.

সাইফুজ্জামান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাত উল্লাহ, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান, ডিএমপির এডিসি (অ্যাডমিন-প্রসিকিউশন) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, এসি (প্রসিকিউশন) মো. মালিক নাজমুল হায়দার, এসি (অ্যাডমিন-প্রসিকিউশন) সৈয়দ মো. শহীদুল ইসলামসহ প্রসিকিউশন বিভাগের সব পুলিশ সদস্য, বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

আনিস-সালমান রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ৯

শাহবাগে সমাবেশে যোগ দিলেন কারামুক্ত আজহারুল ইসলাম

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‍“আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে হাজতে থাকা অসুস্থ আসামিদের আদালতে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া সহজীকরণে এসব হুইল চেয়ার বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।” 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (প্রসিকিউশন) মো. তারেক জুবায়ের বলেন, “আদালতে পুলিশিং সেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে অচল ও অসুস্থ আসামিদের জন্য হুইল চেয়ার সেবা একটি মাইলফলক।” 

ঢাকা/এম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন তিন বছর ধরে আয়নাঘরে ছিলেন, দাবি আইনজীবীর

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছেন, ২০২২ সালের পর থেকে সুব্রত বাইন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ছিলেন। ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে নারায়ণগঞ্জের ভূলতায় ফেলে চলে যান।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ বুধবার বিকেলে সুব্রত বাইনের রিমান্ড শুনানিতে এসব কথা বলেন তাঁর আইনজীবী মোহাম্মদ বাদল মিয়া।

আইনজীবী বাদল মিয়া আরও বলেন, সুব্রত বাইনকে গত বছরের ৫ আগস্ট ভূলতায় ফেলে যাওয়ার পর তাঁর মক্কেল ভয় পেয়ে যান। তিন বছর ধরে আয়নাঘরে নির্যাতিত হওয়ার তথ্য জানাতে সংবাদ সম্মেলন করার কথাও ভেবেছিলেন; কিন্তু জীবন বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত সুব্রত বাইন ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

সুব্রত বাইনকে ২০২২ সালে ভারত সরকার বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেন তাঁর এই আইনজীবী।

২০০১ সালে তৎকালীন সরকার ২৩ জনকে শীর্ষ সন্ত্রাসী উল্লেখ করে একটি তালিকা প্রকাশ করে ছিল। সেই তালিকায় সুব্রত বাইনের নাম ছিল।

সুব্রত বাইনে ‘মিডিয়ার সৃষ্টি’ দাবি করে আদালতে আইনজীবী মোহাম্মদ বাদল মিয়া বলেন, তাঁর মক্কেল নিরপরাধ। তিনি অসুস্থ।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ গুরুতর ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং ১টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত সুব্রত বাইনকে আট দিন এবং আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। রিমান্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন মোল্লা মাসুদের সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফ।

এর আগে সুব্রত বাইনসহ চারজনকে কড়া পুলিশ পাহারায় বিকেল সাড়ে তিনটার পর হাজতখানা থেকে আদালত কক্ষে তোলা হয়। কাঠগড়ায় তোলার পর সুব্রত বাইনসহ অন্যদের পরানো হেলমেট খুলে দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের দেখার পর সুব্রত বাইন বলতে থাকেন, সংবাদকর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে মনগড়া কাহিনি লিখে যাচ্ছেন বহু বছর ধরে। তিনি এর কোনো প্রতিবাদ করেননি। বাস্তব কাহিনি সাংবাদিকেরা জানেন না বলেও দাবি করেন সুব্রত বাইন।

মোল্লা মাসুদেরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকার সিএমএম আদালতে অসুস্থ আসামিদের জন্য হাজতখানায় হুইলচেয়ার প্রদান
  • শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন তিন বছর ধরে আয়নাঘরে ছিলেন, দাবি আইনজীবীর
  • আনিসুল-সালমানের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
  • জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের মামলায় এবার খালাস পেলেন শফিক রেহমান