পরিকল্পনা করে নিজের ভিডিও ফাঁসসহ কয়েক মাসে নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনা হজম করতে হয়েছে উর্বশী রাউতেলাকে। অভিনব পোশাকে ধরা দিতে গিয়ে কখন আবার হয়েছেন ঠাট্টার পাত্রীও। সদ্য শেষ হওয়া কান চলচ্চিত্র উৎসবে উর্বশীর উপস্থিতি নিয়েও আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। তবে উর্বশীর দাবি, টাকা দিয়ে তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হচ্ছে।

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শুরুর দিনে ৪০ কোটির রুপির পোশাক পরে লাল গালিচায় পোজ দিয়ে রীতিমতো পশ্চিমী বিনোদুনিয়ার পাপারাজ্জিদের বিরক্ত কারণ হয়ে উঠেছিলে উর্বশী। কটাক্ষের মুখে পড়েও শিক্ষা নেননি। সেই ঘটনার দিন দুয়েক বাদেই আবারও সেই একই ভুল করেন। সোনা-হিরা খচিত ‘বিকিনি’ ব্যাগ হাতে রেড কার্পেটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ফলে দীর্ঘক্ষণ পিছনে দাঁড়ানো অপেক্ষারত হলিউড তারকারাও রীতিমতো বিরক্ত হন। ‘ডায়েট সব্য’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও।

উর্বশী বলেন, ‘ডায়েট সব্য নামে এক বেনামী ইনস্টা পেজ দাবি করেছে, আমি নাকি রাস্তা আটকে ফটোশুট করছিলাম। কিন্তু সকলের জ্ঞাতার্থে জানাই, আমার টিম আগে থেকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছিল বাকি সকলের মতো। আর আমি কান-এর সমস্ত নিয়ম মেনেই চলেছি।'

উর্বশীর ভাষ্য, ‘ডায়েট সব্য একেবারে সস্তার একটা পেজ। ইন্ডাস্ট্রির বহিরাগত শিল্পী যারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করছে, আমার মতো, তাদের উদ্দেশে শুধু বিষোদগার করে। আর শুধু ডায়েট সব্য কেন, এরকম ভুয়া কোনও পেজই টাকা খেয়ে আমাকে ট্রল করে আমার প্রতিভা দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

গত বৃহস্পতিবার কালার্স অফ টাইম স্ক্রিনিংয়ে গিয়েছিলেন উর্বশী রাউতেলা। সেখানেই থিয়েটারের সিঁড়িতে বিছানো লাল কার্পেটে দাঁড়িয়ে বিকিনি ক্লাচ ব্যাগ হাতে একের পর এক পোজ দিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যামেরায়। পেছনে যে একাধিক তারকা দাঁড়িয়ে অপেক্ষমান, সেদিকে ভ্রুক্ষেপই ছিল না উর্বশীর। তাকে দেখে বিরক্ত হয়ে যান পশ্চিমী বিনোদুনিয়ার তারকারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড য় ট সব য

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় গ্রেপ্তার ৩ ছিনতাইকারী

রাজধানীর মগবাজারে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে ব্যাগ ছিনতাইয়ের আলোচিত ঘটনায় জড়িতদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলো মো. শামিম, জীবন ওরফে হৃদয়, সোহেল রানা ও মকবুল হোসেন। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা মহানগর ও আশপাশ এলাকায় ধারাবাহিকভাবে এ অভিযান চালানো হয়। 

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ছিনতাইয়ে জড়িত তিনজন হেলমেট ও মাস্ক পরা ছিল। তাদের শনাক্ত করা সহজ ছিল না। এ জন্য নিয়মিত পদ্ধতিতে তথ্যানুসন্ধানের পাশাপাশি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। তাদের সম্ভাব্য চেহারার অনেক আঙ্গিক তৈরি করে খোঁজ করা হয়। লোকজনকে দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয়, এমন কোনো লোককে দেখেছেন কিনা। এক পর্যায়ে সফলতা আসে। সরাসরি ছিনতাইয়ে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে ছিনতাই করা মালপত্রের ক্রেতা মকবুল হোসেনকেও আইনের আওতায় আনা হয়। সে এই চক্রকে নানাভাবে সহায়তা করে। গ্রেপ্তার হলে জামিনের ব্যবস্থা করে বলেও জানা গেছে।

ডিবির এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ব্যাগ, ৯ হাজার ৬০০ টাকা, একটি মোবাইল ফোন, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি, সুইচ গিয়ার চাকু ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। তারা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় তারা ছিনতাই করত। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে ঢাকার কেরানীগঞ্জ, বছিলা, ঢাকা উদ্যান, চাঁন মিয়া হাউজিং এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

গত ১৮ মে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মগবাজারের গ্রিনওয়ে গলিতে কুপিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযানে নামে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ও ডিবি। এরই ধারাবাহিকতায় ছিনতাইয়ে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার ও ছিনতাই হওয়া মালপত্র উদ্ধার করে ডিবি। 

এদিকে ২৪ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পল্লবী মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে ধারাল অস্ত্রের মুখে আল-আমিন রানা নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলম জানান, ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোড়ল নামে একজনকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে লুণ্ঠিত মোবাইল ফোনটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ