কানে উপস্থিতি নিয়ে ট্রলকারীদের পাল্টা জবাব দিলেন উর্বশী
Published: 28th, May 2025 GMT
পরিকল্পনা করে নিজের ভিডিও ফাঁসসহ কয়েক মাসে নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনা হজম করতে হয়েছে উর্বশী রাউতেলাকে। অভিনব পোশাকে ধরা দিতে গিয়ে কখন আবার হয়েছেন ঠাট্টার পাত্রীও। সদ্য শেষ হওয়া কান চলচ্চিত্র উৎসবে উর্বশীর উপস্থিতি নিয়েও আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। তবে উর্বশীর দাবি, টাকা দিয়ে তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হচ্ছে।
কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শুরুর দিনে ৪০ কোটির রুপির পোশাক পরে লাল গালিচায় পোজ দিয়ে রীতিমতো পশ্চিমী বিনোদুনিয়ার পাপারাজ্জিদের বিরক্ত কারণ হয়ে উঠেছিলে উর্বশী। কটাক্ষের মুখে পড়েও শিক্ষা নেননি। সেই ঘটনার দিন দুয়েক বাদেই আবারও সেই একই ভুল করেন। সোনা-হিরা খচিত ‘বিকিনি’ ব্যাগ হাতে রেড কার্পেটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ফলে দীর্ঘক্ষণ পিছনে দাঁড়ানো অপেক্ষারত হলিউড তারকারাও রীতিমতো বিরক্ত হন। ‘ডায়েট সব্য’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও।
উর্বশী বলেন, ‘ডায়েট সব্য নামে এক বেনামী ইনস্টা পেজ দাবি করেছে, আমি নাকি রাস্তা আটকে ফটোশুট করছিলাম। কিন্তু সকলের জ্ঞাতার্থে জানাই, আমার টিম আগে থেকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছিল বাকি সকলের মতো। আর আমি কান-এর সমস্ত নিয়ম মেনেই চলেছি।'
উর্বশীর ভাষ্য, ‘ডায়েট সব্য একেবারে সস্তার একটা পেজ। ইন্ডাস্ট্রির বহিরাগত শিল্পী যারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করছে, আমার মতো, তাদের উদ্দেশে শুধু বিষোদগার করে। আর শুধু ডায়েট সব্য কেন, এরকম ভুয়া কোনও পেজই টাকা খেয়ে আমাকে ট্রল করে আমার প্রতিভা দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
গত বৃহস্পতিবার কালার্স অফ টাইম স্ক্রিনিংয়ে গিয়েছিলেন উর্বশী রাউতেলা। সেখানেই থিয়েটারের সিঁড়িতে বিছানো লাল কার্পেটে দাঁড়িয়ে বিকিনি ক্লাচ ব্যাগ হাতে একের পর এক পোজ দিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যামেরায়। পেছনে যে একাধিক তারকা দাঁড়িয়ে অপেক্ষমান, সেদিকে ভ্রুক্ষেপই ছিল না উর্বশীর। তাকে দেখে বিরক্ত হয়ে যান পশ্চিমী বিনোদুনিয়ার তারকারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড য় ট সব য
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
দেশের প্রতি চারজনের একজন মানুষ এখনো বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) বিষয়ক এক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা কমিশনে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশের জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন জিইডির সদস্য (সচিব) মনজুর হোসেন। আলোচক ছিলেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক এ কে এনামুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আখতার এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিবিএসের ২০১৯ সালের মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের (এমআইসিএস) তথ্য ব্যবহার করে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) নিরূপণ করা হয়েছে। বহুমাত্রিক দারিদ্র্য হলো দারিদ্র্য পরিমাপের একটি বিস্তৃত পদ্ধতি, যা শুধু আয় বা ভোগের মতো একক মাত্রার বাইরে গিয়ে দারিদ্র্যকে তার বিভিন্ন দিক থেকে বুঝতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের এ সূচকে তিনটি মাত্রা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যাতে জীবনযাত্রার মান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই মাত্রাগুলোকে ১১টি আলাদা সূচকে ভাগ করা হয়েছে। যেমন জীবনযাত্রার মানের মধ্যে রয়েছে—বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন, খাওয়ার পানি, বাসস্থান, রান্নার জ্বালানি, সম্পদ এবং ইন্টারনেট সংযোগ।
এমপিআই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে ২৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যে রয়েছে, যা সংখ্যায় প্রায় ৩ কোটি ৯৮ লাখ। গ্রামীণ এলাকায় এই হার ২৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, আর শহরে ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সিলেট বিভাগে এই দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ, ৩৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর পাঁচটি জেলায় ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার। জেলাগুলো হলো—বান্দরবান, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি ও ভোলা। শিশুদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এ হার ২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
প্রধান অতিথি আনিসুজ্জামান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে এমপিআই-কে দারিদ্র্য দূরীকরণের একটি নতুন ও উদ্ভাবনী কৌশল হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই পদ্ধতি সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে। তিনি এ সূচককে নীতিনির্ধারণ ও পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। এ ছাড়া কিছু জেলায় দারিদ্র্যের হার বেশি হওয়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে আরও গবেষণা করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এমপিআই ব্যবস্থাটি আয়ভিত্তিক দারিদ্র্য মাপকাঠিকে সম্পূরকভাবে সহায়তা করবে এবং এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেবে। সভাপতির বক্তব্যে মনজুর হোসেন জানান, জিইডি ভবিষ্যতেও নিয়মিত এই সূচক প্রকাশ করবে এবং নীতিনির্ধারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হবে।