এএফপি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছোটদের সাফেও জয়ের আশা

এই কয়েক দিন আগে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরেছিলেন আফঈদা খন্দকার। তাঁর নেতৃত্বে মিয়ানমারে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ নারী দল। প্রথমবার উঠে যায় এএফসি এশিয়ান কাপে; যে আসরটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায়। আবারও নেতৃত্বের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। এবার ছোটদের সাফে বাংলাদেশের অধিনায়ক আফঈদা। সিনিয়রদের দলের অধিনায়ক হলেও শুধু বয়সসীমার কারণে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফে অনায়াসে খেলতে পারছেন এ ডিফেন্ডার। 

জাতীয় দলের মতো আগামীকাল বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু হতে যাওয়া ছোটদের সাফেও জয়ের আশা আফঈদার। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী দল হবে চ্যাম্পিয়ন। ভারত না থাকায় টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট স্বাগতিক বাংলাদেশ। উদ্বোধনী দিনে বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার মেয়েদের বিপক্ষে।

মিয়ানমারে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে খেলা দলের ১১ ফুটবলার বয়সের কারণে অনূর্ধ্ব-২০ সাফে খেলার সুযোগ পাবেন। তবে কোচ পিটার বাটলার জাতীয় দল থেকে নিয়েছেন আট ফুটবলার– আফঈদা খন্দকার, মোসাম্মৎ সাগরিকা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, স্বর্ণা রানী মণ্ডল, জয়নব বিবি রিতা, মিলি আক্তার ও উমহেলা মারমা। নবিরন খাতুন, সুরমা জান্নাত, কানান রানী বাহাদুর, অয়ন্ত বালা মাহাতো, পূজা দাসের মতো নতুন কিছু প্রতিভাবান আছেন, যারা কিনা নজর কাড়তে পারেন। 

একসঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ খুব একটা না পেলেও এই দল নিয়ে আশাবাদী অধিনায়ক আফঈদা। গতকাল বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাসের সুর, ‘এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাই করার পর আমরা যদিও এই দলের সঙ্গে অনুশীলন করার বেশি সময় পাইনি। যে কদিন অনুশীলন করেছি, কোচ আমাদের যেভাবে বলেছেন, সেভাবে অনুশীলনের চেষ্টা করেছি। ২০২৩ সালে এই টুর্নামেন্টে আমরা চ্যাম্পিয়ন। এখানে ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা কাউকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। ওরাও ভালো খেলে। তবে আমরাও ম্যাচ বাই ম্যাচ জিতে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেতে চাই। যেন চ্যাম্পিয়ন হতে পারি আমরা।’

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের নারী ফুটবলে পরিবর্তন এনেছেন কোচ পিটার বাটলার। গত বছর নেপালে সাফ,  মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রুপ সেরা হওয়ার পর বাটলার আশাবাদী অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে, ‘এই মেয়েরা সবাই দায়িত্ববান। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে দুর্দান্ত খেলেছে। তাদেরই বেশির ভাগ এখানে খেলবে। সাত ফুটবলার এই দলে খেলার যোগ্য। মেয়েরা প্রস্তুত। গত কিছুদিন ওরা দারুণ অনুশীলন করেছেন। আশা করি, এখানে আমরা ভালো কিছুই উপহার দেব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছোটদের সাফেও জয়ের আশা
  • ইতিহাস গড়া আফঈদাদের শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ