বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ১৮ জন বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের অবসরে পাঠানোর তথ্য জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব মো. আজিজুল হকের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের নিম্নবর্ণিত সদস্যদের চাকরির মেয়াদ ২৫ বৎসর পূর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জনস্বার্থে তাদের সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮–এর ৪৫ ধারার বিধানমতে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।’

এই বিচারকেরা হলেন ঢাকায় আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা (জেলা ও দায়রা জজ) বিকাশ কুমার সাহা, রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ মফিজুর রহমান, কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো.

মাহবুবার রহমান সরকার, কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ গোলাম মাহবুব, গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মজিবুর রহমান, ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. এহসানুল হক, খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. জুয়েল রানা।

তালিকায় আরও রয়েছেন সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. মনির কামাল, পটুয়াখালীর বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) সহিদুল ইসলাম, দিনাজপুরের বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর, টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদ্দৌলা, ঠাকুরগাঁওয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) ফজলে এলাহী ভূঁইয়া, ঢাকায় আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা (জেলা ও দায়রা জজ) আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান, বরিশালের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য (জেলা ও দায়রা জজ) মো. রুস্তম আলী, ঢাকায় আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মো. নুরুল ইসলাম, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম এনামুল করিম, ঢাকায় আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ হোসেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই বিচারকেরা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধা পাবেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঢ ক য় আইন ও ব চ র ব ভ গ স য ক ত কর মকর ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শতবর্ষের মাইলফলক পেরোলেন মাহাথির

শতবর্ষের মাইলফলক পেরোলেন আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার হিসেবে পরিচিত মাহাথির মোহাম্মদ। আজ বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর শততম জন্মদিন। দীর্ঘ এই জীবনে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তিনি সাফল্যের এক অনুপ্রেরণা। শততম জন্মদিনেও তাই থামতে নারাজ মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে—‘অবসর মানে আপনি কিছুই করছেন না।’

মাহাথির ২৪ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রথমে ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত—টানা ২২ বছর। পরের দুই বছর ছিল ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত। মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন তিনি। অবকাঠামোগত নজিরবিহীন পরিবর্তন এসেছিল তাঁর হাত ধরে। তবে মাহাথিরের বিরোধী মত দমন, মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে সীমিত অঙ্গীকার নিয়েও কম আলোচনা হয়নি।

মাহাথিরের জন্ম ১৯২৫ সালের ১০ জুলাই, মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যের প্রধান শহর আলোর সেতারে। তাঁর দাদা ভারতের কেরালা থেকে সেখানে অভিবাসী হন। বাবা মোহাম্মদ ইস্কান্দার ছিলেন একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মাহাথির চল্লিশের দশকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় সিতি হাসমাহর। পরিচয় থেকে পরিণয়। এরপর বিয়ে।

গাইনোকোলজিতে এমবিবিএস শেষ করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন মাহাথির। শুরু করেন চিকিৎসাসেবা। একসময় তাঁর মধ্যে ধারণা আসে, বিপুল মানুষের সেবা করতে হলে রাজনীতির বিকল্প নেই। সেই চিন্তা থেকে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। ১৯৮১ সালে ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও) থেকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মাহথির মোহাম্মদ।

আশির দশকে ‘লুক ইস্ট পলিসি’ বা পূর্বকে অনুসরণ করার নীতি গ্রহণ করেন মাহাথির। অর্থনীতির পশ্চিমা মডেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাহাথিরের প্রথম ২২ বছরে মালয়েশিয়ায় পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, এক্সপ্রেসওয়ে, বিমানবন্দরসহ নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। ১৯৯৭ সালের অর্থনৈতিক সংকটও দক্ষতার সঙ্গে সামাল দেন তিনি।

শততম জন্মদিনেও শারীরিক ও মানসিকভাবে এখনো সক্রিয় মাহাথির। আজ মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া শহরে নিজ অফিসে পরিচিত সাফারি স্যুট পরে সকাল সকাল হাজির হন তিনি। জন্মদিন উপলক্ষে এক পডকাস্টে মাহাথির বলেন, ‘আমি সব সময় কাজকর্মের মধ্যে থাকি। মানুষ কেন বিশ্রাম নিতে চায়, তা আমি বুঝি না। বলতে চাচ্ছি যে আপনি অবকাশের জন্য ছুটি নিতে চান, তার মানে আপনি কিছু করছেন। অবকাশযাপনও একটি কাজ। তবে কিছু মানুষ অবসর নিতে চান এবং বিশ্রাম করতে চান। বিশ্রামের অর্থ কী? আপনি কিছুই করছেন না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই দেশের হয়ে টেস্ট খেলা পিটার মুরের অবসর
  • আরএসএসের প্রধান তবে কি ৭৫ বছরে মোদিকেও অবসরে যাওয়ার কথা বললেন
  • দুর্নীতির অভিযোগে ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
  • ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার
  • শতবর্ষের মাইলফলক পেরোলেন মাহাথির
  • ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মুখে হঠাৎ অবসরের কথা
  • দুদকের মামলায় সিলেট কারাগারে কাশিমপুরের সাবেক জেলসুপার
  • আমাদের সুযোগ দিলে একদিন ভালো হবে: মিরাজ