বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫। শ্রীলঙ্কা: ১৯ ওভারে ১৫৯/৩। ফল: শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে জয়ী।

ক্যারিবীয় ক্রিকেটের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের এক দারুণ মিল—টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে তারা রীতিমতো উৎসব বানিয়ে ফেলে। দুই দেশই পেয়েছে টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা হওয়ার স্বাদ। সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএল আর শ্রীলঙ্কার এলপিএলেরও অবদান আছে বিশ্বের দুই প্রান্তের এই দুই দেশে টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা বাড়াতে।

এসালা পূর্ণিমা পোয়া দিবসের সাধারণ ছুটি আজ সেই উৎসবে মেতে ওঠার সুযোগ আরও বাড়িয়ে দিল ক্যান্ডির দর্শকদের। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সকাল সকালই ঘোষণা দিয়েছে, প্রথম টি-টোয়েন্টির আর কোনো টিকিট নেই, সব বিক্রি হয়ে গেছে। তারপরও সন্ধ্যার ম্যাচটি দেখতে দুপুর থেকে পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের আশপাশে টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড়। এর আগে গত দুই দিন ক্যান্ডির হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মচারী আর টুকটুক-উবার ড্রাইভারদের অসংখ্য অনুরোধ শুনতে হয়েছে টিকিট চেয়ে।

আজ সন্ধ্যায় যখন খেলা শুরু হলো, পাল্লেকেলের ভরা গ্যালারিতে উৎসব থামতেই চাচ্ছিল না। বলা বাহুল্য, তাতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ‘অবদান’ও কম নয়। ছুটির দিনের সন্ধ্যাটা আনন্দ-ফুর্তিতে কাটানোর মেজাজেই ঢোল-বাদ্য-পতাকা নিয়ে মাঠে এসেছিলেন দর্শক। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেন তাতে ‘সংগত’ দিতেই একে একে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসতে লাগলেন।

অবশ্য ১৫৪ রানে ইনিংস শেষ করা বাংলাদেশকে হারাতে শেষ দিকে শ্রীলঙ্কাকেও একটু সময় নিতে হয়েছে। পাতুম নিশাঙ্কা আর কুশল মেন্ডিসের ঝোড়ো ব্যাটিং ৪.

৪ ওভারে ওপেনিং জুটিতেই শ্রীলঙ্কাকে এনে দেয় ৭৮ রান।

সেখান থেকে জয় পেতে শ্রীলঙ্কাকে ১৯তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে। কারণ, তিন ছক্কা আর পাঁচ বাউন্ডারিতে মাত্র ১৬ বলে ৪২ করা নিশাঙ্কার বিদায়ের পর আক্রমণের ধারও কিছুটা কমে আসে শ্রীলঙ্কার। ১৪৮ রানের মধ্যে পড়ে ৩ উইকেট, যার তৃতীয়টি আসে শর্ট এক্সট্রা কাভারে শামীম হোসেনের শূন্যে ভেসে নেওয়া দুর্দান্ত ক্যাচে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে কুশলের ৫১ বলে ৭৩ রানের ইনিংস শেষ হয় ওখানেই।

শ্রীলঙ্কার জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন, কলেজ কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত জেলার প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। এদিকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

আজ মানববন্ধনে সুনামগঞ্জের লেখক-গবেষক সুখেন্দু সেন, সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল হক, পঙ্কজ কান্তি দে, মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মুজাহিদুল ইসলাম, সালেহীন চৌধুরী, মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, নাসিম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য কোনো জায়গায় নির্মাণ এবং শহীদ মিনারের ভাঙা অংশ সংস্কারের দাবি জানান। পরে অধ্যক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন বলেন, ‘এটি জেলার প্রথম শহীদ মিনার, ইতিহাসের অংশ। এটি ভাঙা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কথা বলার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য জায়গায় নির্মাণ ও শহীদ মিনার যেভাবে ছিল, সেভাবে আবার সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন।’

জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সাবেক ছাত্রনেতারা আমাদের কাছে এসে তাঁদের দাবির বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি এখানে নতুন। আমি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশলীর সঙ্গে দ্রুত কথা বলে সমস্যার সমাধান করব।’

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে ১৯৬৬ সালে এই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি সুনামগঞ্জে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার। প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো এই শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে কলেজের ৭৫ বছর পূর্তির একটি স্মারকস্তম্ভ।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর এলাকায় ১৯৪৪ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। সরকারীকরণ করা হয় ১৯৮০ সালে। কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২০ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব হয়। এই উৎসবের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তখন ক্যাম্পাসে একটি স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। মাসখানেক আগে ওই স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ কোথায় এটি নির্মাণ করা হবে, সেই স্থানটি নির্ধারণ করেছে। স্থান নির্ধারণে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোনো ভূমিকা নেই।

আরও পড়ুনসুনামগঞ্জের প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণ, সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ-প্রতিবাদ৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিকট প্রতিবেশী উত্তর-পূর্ব ভারত ভ্রমণ
  • বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে খুলনায় বিজ্ঞান উৎসব
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় শরৎ উৎসব উদ্‌যাপন
  • আওয়ামী দোসররা দাবি আদায়ের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে: শিক্ষক–কর্মচারী ঐক্যজোট
  • রাকসুর ভোটে ক্যাম্পাসে আনন্দ–উৎসব
  • রাকসু নির্বাচন: ভোটের আগের রাতে গান–স্লোগানে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা
  • সুনামগঞ্জে শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন, কলেজ কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ
  • ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচনে উৎসব
  • চাকসু নির্বাচনে উৎসবের আমেজ
  • ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলায় কেন মুসলিমদের ওপর দমন–পীড়ন চলছে