টি–টোয়েন্টিতেও হার দিয়েই শুরু বাংলাদেশের
Published: 10th, July 2025 GMT
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫। শ্রীলঙ্কা: ১৯ ওভারে ১৫৯/৩। ফল: শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে জয়ী।
ক্যারিবীয় ক্রিকেটের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের এক দারুণ মিল—টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে তারা রীতিমতো উৎসব বানিয়ে ফেলে। দুই দেশই পেয়েছে টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা হওয়ার স্বাদ। সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএল আর শ্রীলঙ্কার এলপিএলেরও অবদান আছে বিশ্বের দুই প্রান্তের এই দুই দেশে টি-টোয়েন্টির জনপ্রিয়তা বাড়াতে।
এসালা পূর্ণিমা পোয়া দিবসের সাধারণ ছুটি আজ সেই উৎসবে মেতে ওঠার সুযোগ আরও বাড়িয়ে দিল ক্যান্ডির দর্শকদের। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সকাল সকালই ঘোষণা দিয়েছে, প্রথম টি-টোয়েন্টির আর কোনো টিকিট নেই, সব বিক্রি হয়ে গেছে। তারপরও সন্ধ্যার ম্যাচটি দেখতে দুপুর থেকে পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের আশপাশে টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড়। এর আগে গত দুই দিন ক্যান্ডির হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মচারী আর টুকটুক-উবার ড্রাইভারদের অসংখ্য অনুরোধ শুনতে হয়েছে টিকিট চেয়ে।
আজ সন্ধ্যায় যখন খেলা শুরু হলো, পাল্লেকেলের ভরা গ্যালারিতে উৎসব থামতেই চাচ্ছিল না। বলা বাহুল্য, তাতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ‘অবদান’ও কম নয়। ছুটির দিনের সন্ধ্যাটা আনন্দ-ফুর্তিতে কাটানোর মেজাজেই ঢোল-বাদ্য-পতাকা নিয়ে মাঠে এসেছিলেন দর্শক। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেন তাতে ‘সংগত’ দিতেই একে একে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসতে লাগলেন।
অবশ্য ১৫৪ রানে ইনিংস শেষ করা বাংলাদেশকে হারাতে শেষ দিকে শ্রীলঙ্কাকেও একটু সময় নিতে হয়েছে। পাতুম নিশাঙ্কা আর কুশল মেন্ডিসের ঝোড়ো ব্যাটিং ৪.
সেখান থেকে জয় পেতে শ্রীলঙ্কাকে ১৯তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে। কারণ, তিন ছক্কা আর পাঁচ বাউন্ডারিতে মাত্র ১৬ বলে ৪২ করা নিশাঙ্কার বিদায়ের পর আক্রমণের ধারও কিছুটা কমে আসে শ্রীলঙ্কার। ১৪৮ রানের মধ্যে পড়ে ৩ উইকেট, যার তৃতীয়টি আসে শর্ট এক্সট্রা কাভারে শামীম হোসেনের শূন্যে ভেসে নেওয়া দুর্দান্ত ক্যাচে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে কুশলের ৫১ বলে ৭৩ রানের ইনিংস শেষ হয় ওখানেই।
শ্রীলঙ্কার জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস।উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএআরএফের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএআরএফ) প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ফল উৎসব পালন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বিএআরএফের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজমের সঞ্চালনায় উৎসবে বক্তব্য দেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মাসউদুল হক, বিএআরএফের সহসভাপতি চপল মাহমুদ, যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুসাইন, অর্থ সম্পাদক আয়নাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফারুক আহমাদ আরিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, সংবাদমাধ্যম কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কোনো কোনো সময় নেতিবাচক সংবাদ কৃষিপণ্যের গ্রাহকদের মধ্যে এমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যা উৎপাদন এবং এর সঙ্গে জড়িত কৃষকদের জন্য ক্ষতিকর হয়। একজন সংবাদকর্মী তার দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই এসব বিষয়ে সতর্ক থেকে সংবাদ পরিবেশন করবে বলে প্রত্যাশা করি।
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের সবসময় সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে হবে। সাংবাদিকদের ডাকে সাড়া দিতে হবে। অনেককে দিনের পর দিন ফোন করলে বা সাক্ষাৎ চাইলে দিতে চায় না। আবার অনেকেই তথ্য দিতে চায় না। এতে করে সাংবাদিকরা সঠিক তথ্য না পেয়ে বি়ভ্রান্ত হতে পারে। পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে সেটার ক্ষতি পোষাতে যোগাযোগ করে। এসব না করে শুরু থেকেই তথ্য দিতে হবে। সাংবাদিকদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।