চট্টগ্রামে খেলার মাঠ নিশ্চিহ্ন করে ভবন!
Published: 29th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সেন্ট প্লাসিডস স্কুলের মাঠে নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে। পত্রিকায় এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় অধিবাসী, ক্রীড়ামোদী ও সচেতন মানুষ উদ্বিগ্ন ও হতাশ হয়েছেন।
১৮৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামের প্রথম ইংরেজি মাধ্যমের এ স্কুলটি এখন কলেজে উন্নীত হয়েছে। এর জন্য নতুন ভবনের প্রয়োজন। কিন্তু মাঠ নিশ্চিহ্ন করে ভবন তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণযোগ্য নয় বলে চট্টগ্রামের প্রবীণ ক্রীড়াবিদ ও বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তাদের অভিমত।
এলাকার তরুণেরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ভবন নির্মাণের প্রাথমিক কাজকর্ম সেরে ফেলছেন তাঁরা।
প্রায় দুই শ বছর ধরে মাঠটি জমজমাট থাকত প্রতিদিন তরুণ খেলোয়াড়দের খেলাধুলায়। এই মাঠ থেকে উঠে এসেছে আবু তাহের পুতুর মতো দেশসেরা অনেক ফুটবলার। একটা সময় ফিরিঙ্গিবাজার ইয়ং স্টার ক্লাব, ইয়ং স্টার ব্লুজসহ পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গিবাজার ও আশপাশের অনেক ক্লাবের বিপুলসংখ্যক ফুটবলার এ মাঠেই অনুশীলন করত। আয়োজিত হতো নানা টুর্নামেন্ট। সকাল কিংবা বিকেল ফুটবলার, ক্রিকেটার, অ্যাথলেটরা এখানে প্র্যাকটিস করত। সেই সব মুখর দিনগুলো এখন শুধু ইতিহাস হয়ে থাকবে। এই ধূলিধূসর, ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন, ইটপাথরের শহরে নিশ্বাস ফেলার জন্য একটু খোলা জায়গার জন্য হাহাকার চলছে, সেখানে একটি ঐতিহ্যবাহী মাঠকে এভাবে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা কীভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের! সেটা ভেবে অবাক হই।
চট্টগ্রাম শহরে একসময় লালদীঘি মাঠ, কলেজিয়েট স্কুল মাঠ, পলোগ্রাউন্ড, জাম্বুরি মাঠ, আউটার স্টেডিয়াম মাঠ, চট্টগ্রাম সরকারি স্কুলের মাঠ, প্যারেড মাঠ, শহীদ শাহজাহান মাঠ, সেন্ট প্লাসিডস স্কুলের মাঠ, নাসিরাবাদ স্কুল মাঠ, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠ, হালিশহর আবাহনী মাঠ খেলাধুলা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাঠ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। তা ছাড়া ছোট–বড় আরও অনেক খেলার মাঠ ছিল, যা কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। জাম্বুরি মাঠ হারিয়ে গেছে পার্কের নিচে। অথচ পার্কের চেয়ে মাঠের প্রয়োজনীয়তা কোনো অংশেই কম নয়। সেন্ট প্লাসিডস স্কুলের মাঠ চলে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার পূর্ব সময়ে আউটার স্টেডিয়ামে অন্তত ৪টি ফুটবল ম্যাচ খেলার পরিসর ছিল। অর্থাৎ আটটি দলে ৮৮ জন খেলোয়াড় একত্রে অনুশীলন করতে পারত। পাশাপাশি ক্রিকেটও খেলা হতো। চট্টগ্রাম থেকে অনেক জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের জন্ম হয়েছিল এই আউটার স্টেডিয়ামে। অথচ এই আউটার স্টেডিয়ামকে বারবার ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। একবার করেছে পিডিবি, তাদের পাওয়ার স্টেশন তৈরি করে। এরপর করেছে স্বয়ং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস)। তারা প্রথমে দক্ষিণ–পূর্ব কোণে বিশাল এক মার্কেট নির্মাণ করে, এরপর পূর্ব দিকে মার্কেটের কাজ শুরু করে আউটার স্টেডিয়ামকে অবরুদ্ধ করে দেয়। সর্বশেষ এক-তৃতীয়াংশ জায়গায় নির্মিত হয়েছে সুইমিংপুল। চট্টগ্রামবাসীর বিরোধিতার মুখেও সুইমিংপুল নির্মাণ করে আউটার স্টেডিয়ামটি সংকুচিত করা হয়েছে। খেলাধুলার মাঠ ধ্বংস করার এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতা পৃথিবীর আর কোনো দেশে আছে কি না জানি না।
আমরা লক্ষ করেছি যে, খেলার মাঠগুলোর কোনো কোনোটিতে বাণিজ্য মেলা, বৃক্ষমেলা, শিল্পমেলা, আমমেলা, বিজয় মেলা, স্বাধীনতা মেলা, বৈশাখী মেলা, তাঁতবস্ত্র মেলা, খাদ্য মেলা ইত্যাদি বিভিন্ন মৌসুমি মেলার কারণে খেলাধুলা বন্ধ প্রায়। মাঠে যখন মেলা হয়, তখন ইট–বালির কারণে ঘাস নষ্ট হয়। তখন আর খেলার পরিবেশ থাকে না। অথচ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথে রাখতে, মাদকসহ বিভিন্ন খারাপ অভ্যাস হতে মুক্ত রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নাই। কিন্তু মাঠ নিশ্চিহ্ন হতে থাকলে খেলবে কোথায়! এই চিন্তা কারও মাথায় আছে বলে মনে হয় না।
পুকুর/দিঘি আর খেলার মাঠ আমাদের পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া অমূল্য সম্পদ, আর নগরবাসীর জন্য প্রকৃতির আশীর্বাদ। আমরা অর্বাচীনের মতো এমন মূল্যবান সম্পদকে ধ্বংস করছি অবলীলায়।
নগরে এখন মাত্র দুটি খেলার মাঠ আছে। একটি চকবাজারের প্যারেড মাঠ, অন্যটি কাজীর দেউড়ির সংকুচিত আউটার স্টেডিয়াম। আউটার স্টেডিয়ামে একসময় অনুশীলন করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, নুরুল আবেদীন নোবেল, আফতাব আহমেদ, তামিম ইকবাল। এখানেই খেলতেন ফুটবলার আশীষ ভদ্র, ইকবাল খান, দিলীপ বড়ুয়া, সুহাস বড়ুয়াসহ আরও অনেকে। দেশের দ্রুততম মানব অ্যাথলেট মোশাররফ হোসেন শামীমও অনুশীলন করতেন আউটার স্টেডিয়ামে। এদিকে আগ্রাবাদের জাম্বুরি মাঠ, লালদীঘি মাঠ, হালিশহরের চট্টগ্রাম আবাহনী মাঠ ও পলোগ্রাউন্ড, জমিয়তুল ফালাহ মাঠ, সিআরবি মাঠ সংরক্ষণ করার ফলে সেখানেও কমেছে খেলাধুলার সুযোগ।
১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিকল্পনায় শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশকে মাথায় রেখে পুরো নগরের ১০ শতাংশ জায়গা উন্মুক্ত রাখার বিধান রাখা হয়েছিল। কিন্তু তখন যতগুলো মাঠ ছিল, এখন তা–ও নেই। গত কয়েক দশকে নগরে জনসংখ্যা বাড়লেও খেলার স্থানগুলো এভাবে হারিয়ে যেতে বসায় চট্টগ্রাম থেকে আগের মতো খেলোয়াড় উঠে আসছে না। কিন্তু আমরা সবাই কেমন করে জানি মাঠবিমুখ হয়ে পড়েছি। এই মাঠবিমুখতা মানে আসলে জীবনবিমুখতা।
শিশু খেলবে, মাঠে দৌড়াবে, ঘুড়ি ওড়াবে, খোলা হাওয়ায় ঘুরে বেড়াবে—এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু এই নগরের শিশুদের আমরা সেই স্বাভাবিক জীবনটা দিতে পারছি না। এ কারণেই সে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে না। তাদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম দুই–তিন ইঞ্চির মুঠোফোনের রঙিন মনিটর। সেখানেই সে সারা দিন ঝুঁকে ঝুঁকে খেলছে, মগ্ন থাকছে, কারও সঙ্গে কথা বলছে না, কারও দিকে তাকাচ্ছে না। দুনিয়ার কোথায় কী হচ্ছে, কারও দিকে তার খেয়াল নেই। ক্রমে অসামাজিক ও একধরনের অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। এই সব শিশুর কাঁধে আসুন একবার হাত রাখি, বলি, চলো, আকাশটা একটু দেখি, নাটাইটা হাতে নিয়ে ঘুড়িটা ওড়াতে শিখি।
ওমর কায়সার প্রথম আলোর চট্টগ্রাম অফিসের বার্তা সম্পাদক
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আউট র স ট ড য় ম ফ টবল র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ওই বৈঠক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠা মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেনাবাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার সেনা সদরের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। তাতে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কে বি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা মিলে ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন। তাঁরা সেখানে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। বৈঠকে পরিকল্পনা করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন এসে ঢাকায় সমবেত হবেন। তাঁরা ঢাকার শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দেশে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন। তাঁরা সেখানে এসব ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ওই মামলার তদন্ত করছে। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।
এই মামলা তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। ‘তারা প্রিয় স্বদেশ’, ‘এফ ৭১ গেরিলা’, ‘বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম’, ‘প্রজন্ম ৭১’, ‘শেখ হাসিনা’সহ বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের সদস্য। একটি গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে জানতে পেরেছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বসুন্ধরায় ওই গোপন সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১২ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একটি বাসা থেকে যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা-পুলিশ। ওই দিন একই এলাকার একটি বাসা থেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী শামীমা নাসরিনকে (শম্পা) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বামী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। দুজনকে গ্রেপ্তারের পর ১৩ জুলাই ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, সোহেল রানা ও শম্পাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য যাচাই করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিককে হেফাজতে নেওয়া হয়।
মেজর সাদিক নামের একজন আওয়ামী লীগের লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে—এমন সংবাদের বিষয়ে আজ সেনা সদরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকেরা। জবাবে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেজর সাদিকের বিষয়ে আমরা অবগত। তাঁর বিষয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বলতে পারব।’
ওই ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, এ রকম ঘটনা জানার পরে সেনাবাহিনীর হেফাজতেই তিনি আছেন। তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে নিঃসন্দেহে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সেনাবাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা এবং গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন বলেছেন, মেজর সাদিকের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংগঠিত করে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ভাটারা থানা এলাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই-ব্লকের ৭ নম্বর রোডের কে বি কনভেনশন সেন্টারের দ্বিতীয় তলা ভাড়া নেওয়া হয়। মেজর সাদিক সেদিন সরকার উৎখাতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।
বসুন্ধরার ওই কনভেনশন হলের ব্যবস্থাপক মুজাহিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডিবি সূত্র জানিয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, তিনি পরিকল্পিতভাবে সারা দিন কনভেনশন হলের সব সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিলেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, সেখানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীসহ সমবেতদের নাশকতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আরও অন্তত চারটি প্রশিক্ষণ হয়েছিল। তবে সবগুলো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত সম্পৃক্ত ডিবির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা, উপস্থিতি যাচাই করা হচ্ছে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য গ্রেপ্তার অন্যদেরও রিমান্ডে এনে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গোপন এই ষড়যন্ত্রে যাঁরা জড়িত ছিলেন, সবাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।