নির্বাচন ভারতের এজেন্ডা, এমনটা প্রচার করা বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ‘নিজেদের প্রয়োজনে আমাদের বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন দরকার।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রথম নির্বাহী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ‘অবিলম্বে বিচার–সংস্কার–নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করো’ শীর্ষক আলোচনা হয়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শেখ হাসিনা সরকার যে ফ্যাসিস্ট রোলার চালিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে দেশে ঐক্য গড়ে উঠেছে। সেখানে নির্বাচন ভারতের এজেন্ডা, এমন কথা বলে জনগণের ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে ভারতের পারপাস সার্ভ করা হচ্ছে। এমন প্রচার ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করতে সাহায্য করবে।

সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, যাঁরা শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন, এখন তাঁরা নতুন বন্দোবস্ত করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ফ্যাসিজমের থেকে যাওয়া শিকড়ে পানি ঢেলে তাঁরা আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছেন।

গণ–অভ্যুত্থানে পক্ষের শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্যে ফাটল ধরেছে বলে মন্তব্য করেন সাইফুল হক। তিনি বলেন, কোনো অভ্যুত্থানের প্রথম সারির নেতারা এতটা বিতর্কিত হননি, যতটা এখন হচ্ছেন। তরুণেরা অনাকাঙ্ক্ষিত কাজে জড়িত হয়ে পড়েছেন, যা লজ্জাজনক।

একটি দল ছাড়া কেউ ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না, প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্য উল্টোভাবে সত্য বলে মন্তব্য করেন সাইফুল হক। তিনি বলেন, জাপানে প্রধান উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন, সেটা তথ্যভিত্তিক নয়।

সভায় আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা প্রমুখ। সভার শুরুতে আবদুস সালাম স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এক সীমানায় দেশি-বিদেশি ১১৭ জাতের আমের সমাহার

মিছরির মতো মিষ্টি বলে আমের নাম মিছরিকান্ত, এমনটা শোনেননি কেউ। তবে মিছরির মতো মিষ্টি না হলেও আমটি মিষ্টি ও সুস্বাদু। আবার বৃন্দাবন থেকে এসেছে বলে নাম হয়েছে বৃন্দাবনী, এমনটাও জানা নেই কারও। তবে দু-চার কেজি পাকা বৃন্দাবনী আম ঘরে থাকলে জানান দেবে, ঘরে আম আছে। মনমাতানো সুগন্ধে ভরে উঠবে ঘর। শুধু সুগন্ধেই নয়, স্বাদেও অতুলনীয় এই বৃন্দাবনী।

ঠিক গোলাপের মতো সুগন্ধ না হলেও সুগন্ধি ও সুস্বাদু একটি আমের নাম হচ্ছে গোলাপবাস ও অন্য একটির নাম হচ্ছে গোলাপখাস। আরও আছে কোহিতুর, গোরজিৎ, কুয়াপাহাড়ি, কালুয়া, ধলুয়া, দুধসর, দুধিয়া, কালীভোগসহ বাহারি সব নামের হরেক রকমের আম। আর এসব আমের একসঙ্গে দেখা মিলবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের বাগানে। সেখানে এক সীমানার মধ্যে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১১৭ জাতের আমগাছ আছে। গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাতি, ল্যাংড়া, ফজলি ও হালের আম্রপালির মতো বাণিজ্যিক ও প্রচলিত জাতগুলোর ভিড়ে এখনো টিকে আছে বিলুপ্তপ্রায় আমগাছগুলো।

হর্টিকালচার সেন্টারের ২০ বছরের পুরোনো কর্মচারী আবদুর রহিম। তিনি বাগানের প্রায় ৬০ জাতের আম চিনতে পারেন। তিনি বলেন, রানীপছন্দ, কিষানভোগ, দাড়ভাঙা, ভাদুরী, জাদুভোগ, আলমশাহি, গোলাপবাস, কোহিতুর, দুধসর, দুধিয়া, রাধাসুন্দরী, কুয়াপাহাড়ি, ধলুয়া, কালুয়া, সিন্ধু, সরিখাস, ভাসতারা, শাটিয়ার ক্যাড়া, চৈতী, সুবর্ণা, কাজলা, বান্দিগোড়, জোড়সা, গোরজিৎসহ কিছু সুস্বাদু জাতের আম আছে বাগানে। এর বাইরে আরও অনেক জাতের আম রয়েছে। গাছগুলোর অনেকটাই শত বছরের বেশি বয়সী। ডালপালা দুর্বল হতে শুরু করেছে। একসময় ঝড়-বাদলে পড়ে যাবে।

সূর্য ডিম জাতের আমের দেখা পাওয়া যাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গুলশানে এমটিবি-প্রথমা প্রকাশন বইমেলা শুরু, চলবে তিন দিন
  • তিতুমীর কলেজ: হলের অধিকাংশ আসন ছাত্রদলের দখলে
  • এক সীমানায় দেশি-বিদেশি ১১৭ জাতের আমের সমাহার