হোয়াইটওয়াশের পর লিটন বললেন, ‘আমরা ঘুরে দাঁড়াব’
Published: 2nd, June 2025 GMT
প্রথম তিন ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই পরাজয়। শেষ ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যেকোনো হারই কষ্টদায়ক, তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের এমন পরাজয় সবকিছুকেই ছাপিয়ে গেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারার পর এবার পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ। সাম্প্রতিক ছয়টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র জয়; বাকি পাঁচটিতেই হার।
এমন কঠিন সময়েই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন লিটন দাস। আর নেতৃত্বের শুরুতেই বড় ধাক্কা খেলেন তিনি। পাকিস্তানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সঙ্গে দিয়েছেন ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের সূচি চূড়ান্ত, সব ম্যাচ মিরপুরে
‘ফিয়ারলেস, নট কেয়ারলেস ক্রিকেট’, পাকিস্তান অধিনায়কের সতর্কবার্তা
“বাংলাদেশি সমর্থকদের কাছে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমরা একটি ম্যাচও জিততে পারিনি। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াব,” — বলেন লিটন।
দলের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে ক্রিকেটারদের বারবার করা একই ভুলকেই দেখছেন লিটন দাস। তার মতে, খেলোয়াড়রা এখনও নিজেদের ভুল থেকে বের হতে পারছে না।
“অবশ্যই হতাশ। আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং ও ফিল্ডিংও ছিল হতাশাজনক। সম্ভবত, আজকের ম্যাচে এই উইকেটে আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি।”
“এই উইকেটটি খুব ভালো। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে কীভাবে বল করতে হবে, সেটা আমাদের শিখতে হবে। প্রতিটি ব্যাটসম্যানের আলাদা শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। আমাদের এসব বিষয়ে চিন্তা করতে হবে এবং সে অনুযায়ী বোলিং পরিকল্পনা করতে হবে,” — যোগ করেন লিটন দাস।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৪২ বছর পর নিউ জিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল্যান্ড
১৯৮৩ সাল আবার মনে করাল ইংল্যান্ড। নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে সেবার ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। ৪২ বছর পর একই অভিজ্ঞতা হলো এবার তাদের।
আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা নিউ জিল্যান্ড এবার আরো চেপে ধরেছিল ইংল্যান্ডকে। তবুও লড়াই করে ওয়েলিংটনে অতিথিরা ২২২ রানের পুঁজি পায়। হোয়াইটওয়াশের মিশনে থাকা নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। লো স্কোরিং ম্যাচ জমে উঠে। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৪ ওভারে হাতে ২ উইকেট রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। ১৯৮৩ সালের পর প্রথম নিউ জিল্যান্ড ইংল্যান্ডকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ড চরম বিপর্যয়ে পড়ে। ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। ১০২ রানে তাদের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান জস বাটলার (৩৮) আউট হন। তখন ধারণা করা হচ্ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাবে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
কিন্তু সেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ব্রাইডন চার্স ও জেমি ওভারটন। দুজন ৫৮ রানের জুটি গড়েন। যেখানে ব্রাইডন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়ে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি আসে তাদের ব্যাটেই।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওভারটন আউট হন ৪১তম ওভারে। ৬২ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এর আগে জেমি স্মিথ (৫), বেন ডাকেট (৮), জো রুট (২) ও হ্যারি ব্রুক (৬) দ্রুত আউট হন। দলের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন পাঁচ নম্বরে নামা জ্যাকব মিচেল। তবুও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
নিউ জিল্যান্ডের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। ৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন ব্লায়ার টিকনার। ৩ উইকেট পেয়েছেন জ্যাকব টাফি। ২টি পেয়েছেন জ্যাক ফলকস।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৮ রান পায় কিউইরা। ডেভন কনওয়ে ৩৪ ও রাচীন রাভিন্দ্রা ৪৬ রান করেন। এরপর ছন্দ হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ডার্ল মিচেলের অনবদ্য ৪৪ ও শেষ দিকে মিচেল স্টানারের ২৭ রানে নিউ জিল্যান্ড লড়াইয়ে ফেরে। শেষ দিকে জ্যাক ফলকসের ১৪ ও ব্লায়ার টিকনারের ১৮ রানে নিউ জিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়।
ইংলিশদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও স্যাম কারান।
এই সিরিজে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং একটুও ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে ২২৩ ও দ্বিতীয়টিতে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায়। নিউ জিল্যান্ড জয় পায় যথাক্রমে ৪ ও ৫ উইকেটে। শেষ ম্যাচে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়লেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড।
বল হাতে ৪ উইকেট ও ব্যাটিংয়ে ১৮ রান করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন টিকনার। ১৭৮ রান করে সিরিজ সেরা ডার্ল মিচেল।
ঢাকা/ইয়াসিন