ওটিটিতে ১০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে আশফাক নিপুনের প্রশ্ন
Published: 3rd, June 2025 GMT
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার বিকেল ৩টায় তিনি এই বাজেট উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে ওটিটিতে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে অনলাইনে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখার জন্য দর্শকদের ব্যয় বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন।
আশফাক নিপুন ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে সরাসরি ওটিটি সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ও আচরণ সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টার কোনো হালনাগাদ তথ্য আছে কি? তিনি জানেন কি আমাদের কনটেন্টের বড় একটা অংশ দর্শক পাইরেসির মাধ্যমে দেখেন? এই পাইরেসির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের ব্যর্থতা কি তারা বোঝেন?’
নিপুণ আরও লিখেছেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন শিল্পকে কর রেয়াত দিয়ে উৎসাহিত করা হয়। অথচ মাত্র ৫ বছর আগে যাত্রা শুরু করা আমাদের ওটিটি শিল্পের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হলো। এর প্রভাব পড়বে নির্মাণ ব্যয়, কনটেন্টের মান এবং বৈধ সাবস্ক্রিপশন নিতেও মানুষ নিরুৎসাহিত হবে। বরং পাইরেসির দিকেই ঝুঁকবে অনেকে। ফলে বৈধ ব্যবসা সংকুচিত হবে, সবার ক্ষতিই হবে। শুল্ক বসিয়ে পাইরেসিকেই যেন উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। পুরো কাঠামোর সংস্কার না করে এমন সিদ্ধান্ত খুবই দুঃখজনক।
নিপুণের পোস্টটি শেয়ার করে নির্মাতা আদনান আল রাজীব বলেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে অনেক শিল্পী দেশত্যাগ করবেন। বিদেশে গিয়ে স্থায়ী হতে বাধ্য হবেন।
উল্লেখ্য, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম গত কয়েক বছরে দেশের তরুণ নির্মাতা ও দর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এখন এই খাতে বাড়তি শুল্ক আরোপ শিল্পের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আশফ ক ন প ন
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬০০ ছাড়াল
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (৪ জুন) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৪০ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৪ হাজার ৬০৭ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ নগরীতে আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৪১ জনে পৌঁছেছে।
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
আরো পড়ুন:
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি গায়ানা, যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ত্রাণ বিতরণের সময় ফিলিস্তিনিদের হত্যা: স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
দীর্ঘ ১৫ মাস ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ঢাকা/ফিরোজ