সাইফ, কাজল, অজয়ের পর মণিও দীপিকার পাশে
Published: 3rd, June 2025 GMT
দীপিকা পাড়ুকোন ও ‘অ্যানিমেল’ পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার মধ্যে বিরোধের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, পরিচালক তাঁর ‘স্পিরিট’ ছবির জন্য দীপিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সদ্য মা হওয়া এই অভিনেত্রী পরিচালকের সামনে তাঁর কিছু দাবি তুলে ধরেছিলেন, যার মধ্যে ছিল প্রতিদিন মাত্র আট ঘণ্টা শিফট, ২০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক, সিনেমার লাভের অংশ এবং তেলুগুতে সংলাপ না বলা। পরে তাঁর জায়গায় তৃপ্তি দিমরিকে নেওয়া হয়। এখন জনপ্রিয় পরিচালক মণি রত্নম এই পুরো বিতর্কে দীপিকাকে সমর্থন করেছেন। তিনি দীপিকার দাবিকে সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন।
দীপিকার দাবি করা আট ঘণ্টার শিফট নিয়ে আগেই তাঁকে সমর্থন করেছেন কাজল, অজয় দেবগন, সাইফ আলী খান, রাধিকা আপ্তেরা। এবার অভিনেত্রীর প্রস্তাবে সায় দিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন মণিরত্নম।
সম্প্রতি ‘থাঠ লাইফ’ প্রচারে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণিরত্নম বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা ন্যায্য দাবি। আমার আনন্দ হচ্ছে যে দীপিকা অন্তত এমন দাবি রাখার জায়গায় পৌঁছেছেন। একজন পরিচালক হিসেবে আমার মনে হয়, অভিনেতাদের এই দাবিগুলো বিবেচনা করা দরকার। এমন প্রস্তাব দেওয়াটা তো অনৈতিক নয়; বরং অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত এবং এগুলো মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে।’
মণিরত্নম। এএনআই.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে ট্রেন, ছোট্ট আরিফুলের কষ্ট
চট্টগ্রাম নগরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আমিরুল ইসলামের বাড়ি চাঁদপুরে। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি কাটাতে আজ বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি যাচ্ছিলেন। বেলা আড়াইটায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান। চাঁদপুরগামী বিশেষ ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন। ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল বেলা ৩টা ২০ মিনিটে। অথচ এটি ছেড়েছে ৪ টা ১২ মিনিটে, প্রায় ১ ঘণ্টা দেরিতে।
বিকেল ৪টার দিকে আমিরুল ইসলাম ট্রেনের একটি বগিতে দাঁড়িয়ে ১৭ মাস বয়সী ছেলে আরিফুল ইসলামকে বাতাস করছিলেন। তাঁর একমাত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে ট্রেনের আসনে বসতে পেরেছেন স্ত্রী। আমিরুল ইসলাম আসন পাননি। ছেলেকে বাতাস করতে করতে এই বাবা বলেন, বগিতে ফ্যান নেই। গরমে ছেলেটা কাহিল হয়ে পড়েছে। ঠিক সময়ে ট্রেন ছাড়লে এত ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
শুধু আমিরুল নয়, দেরিতে ট্রেন ছাড়ার কারণে তার মতো অনেক শিশুকেই ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেল। ট্রেনটির সব বগিতেই গাদাগাদি করে ঘরমুখী যাত্রীরা উঠেছিলেন।
স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ আরাফাত। তিনি চট্টগ্রামের একটি শিপিং প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। থাকেন নগরের ইপিজেড এলাকায়। তাঁর বাড়িও চাঁদপুর সদরে। আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, ঝক্কিঝামেলা এড়াতে ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্টেশনে এসে ভোগান্তি পোহাতে হলো।
স্টেশনে কথা হয় মোজাম্মেল হকের সঙ্গে। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। তাঁর মেয়ের বয়স ৩ বছর। মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী সালমা হক বেশ ভোগান্তিতেই পড়েছিলেন। কোনোভাবেই মেয়েকে ট্রেনের ভেতর রাখা যাচ্ছিল না। পরে কোলে নিয়ে বাবা দাঁড়িয়ে ছিলেন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ফ্যানের নিচে।
চাঁদপুরগামী বিশেষ ট্রেনের প্রতিটি বগিই ছিল যাত্রীতে ঠাসা। আজ বিকেলে চারটায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে