৩০ জুন পর্যন্ত রাতের আকাশে যেসব গ্রহ ও মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা যাবে
Published: 10th, June 2025 GMT
এখন সন্ধ্যার আকাশ বেশ আলোকিত থাকে। আর তাই মধ্যরাত পেরিয়ে ভোর পর্যন্ত বাংলাদেশের আকাশে বেশ চমক দেখা যাচ্ছে। এ সময় যাঁরা আকাশ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এক অসাধারণ সময় বলা যায়। এই মাসে যেমন পূর্ণিমা ও অমাবস্যার চক্র রয়েছে, তেমনি বেশ কিছু উজ্জ্বল তারা, তারামণ্ডল আর গ্রহ দৃশ্যমান হবে আকাশে।
গ্রহের আনাগোনাজুন মাসের পুরো সময়টায় ঢাকার আকাশে বেশ কয়েকটি গ্রহের উপস্থিতি দেখা যাবে। ১২ জুন শুক্র গ্রহ অ্যাপহেলিয়ন অবস্থানে থাকবে। এই অবস্থান মানে সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে মঙ্গলগ্রহ। ২২ জুন চাঁদের সঙ্গে শুক্র গ্রহের একটি সুন্দর সংযুক্তি দেখা যাবে। শনিগ্রহ মাসের বাকিটা সময় ভোরের আকাশে দৃশ্যমান থাকবে। ১৯ জুন চাঁদ, শনি ও নেপচুন গ্রহের নিকটবর্তী অবস্থান দেখা যাবে। একই দিন চাঁদের সঙ্গে শনি গ্রহের সংযুক্তি দেখা যাবে। ভোরের আকাশে এই দৃশ্য ভালোভাবে দেখার সুযোগ মিলবে।
মঙ্গলগ্রহ জুন মাসের শেষ দিকে ভোরের আকাশে দৃশ্যমান হবে। ৩০ জুন চাঁদ ও মঙ্গলের একটি সংযুক্তি ও নিকটবর্তী অবস্থান দেখা যাবে। বৃহস্পতি গ্রহ ২৪ জুন সৌর সংযুক্তিতে থাকবে বলে দৃশ্যমান হবে না। তবে মাসের শেষে ক্ষীণ উপস্থিতি লক্ষ করা যাবে। বুধ গ্রহকে মাসের শেষ সপ্তাহে সন্ধ্যার আকাশে দেখা যাবে। ২৭ জুন চাঁদ ও বুধের সংযুক্তির দৃশ্য দেখা যেতে পারে।
তারার খোঁজ খবরজুন মাসে বেশ কিছু তারামণ্ডল ও মহাজাগতিক দৃশ্য খালি চোখে বা ছোট টেলিস্কোপে দেখা যাবে। মেসিয়ার ৯২ গ্লোবুলার ক্লাস্টারটি ১১ জুন ভালোভাবে দেখা যাবে। এটি হারকিউলিস তারামণ্ডলে অবস্থিত। এনজিসি ৬৩৮৮ ও এনজিসি ৬৩৯৭ গ্লোবুলার ক্লাস্টার ১৫ ও ১৬ জুন ভালোভাবে দেখা যাবে। বাটারফ্লাই ক্লাস্টার নামে পরিচিতি এম ৬ তারকাপুঞ্জ দেখা যাবে ১৬ জুন। এটি বৃশ্চিক তারামণ্ডলে অবস্থিত ও প্রজাপতির ডানার মতো দেখতে। আইসি ৪৬৬৫ তারকাপুঞ্জ দেখা যাবে ১৮ জুন। টলেমি ক্লাস্টার হিসেবে আলোচিত এম ৭ তারকাপুঞ্জ ২০ জুন ভালোভাবে দেখা যাবে। এটি বৃশ্চিক তারামণ্ডলে অবস্থিত। লেগুন নেবুলা হিসেবে পরিচিতি এম৮ তারকাপুঞ্জ ২২ জুন দেখা যাবে। এটি ধনু তারামণ্ডলে অবস্থিত।
উল্কা বৃষ্টির খোঁজজুন মাসে দুটি উল্কা বৃষ্টিও দেখা যাবে। যদিও তীব্রতা কম হতে পারে। ১০ জুন ভোরের আকাশে কিছুটা এরিটিড উল্কা বৃষ্টি ও ২৭ জুন জুন বুটিড উল্কা বৃষ্টি দেখা যাবে।
চন্দ্র চক্র১১ জুন আকাশে যে চাঁদ দেখা যাবে তাকে শৌখিন জ্যোতির্বিদেরা স্ট্রবেরি মুন বলে থাকেন। এদিন চাঁদ কিছুটা বড় ও লাল বা কমলা আভা যুক্ত হবে। ১১ জুন পূর্ণিমা ও ২৫ জুন অমাবস্যা হবে। ১৯ জুন চাঁদ শেষ কোয়ার্টারে প্রবেশ করবে। ২৩ জুন চাঁদ পেরিজিতে (পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে) ও ২৫ জুন পেরিহেলিয়নে (সূর্যের সবচেয়ে কাছে) থাকবে।
সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন, অ্যাস্ট্রোনমি, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ, ইন দ্য স্কাই ও স্কাই ম্যাপস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত রক প ঞ জ অবস থ ত অবস থ ন গ রহ র
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে জুনেল মিয়া: পুলিশ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার স্কুলছাত্রী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে হত্যাকাণ্ডে জড়িত জুনেল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর তার জবানবন্দীতে বেরিয়ে আসে মূল তথ্য। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জুনেল জানান, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ক্ষোভের মাথায় ওই ছাত্রীকে হত্যা করেন তিনি।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রিমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।
পুলিশ জানায়, কুলাউড়া উপজেলার দাউদপুর গ্রামের নিকটবর্তী সিংগুর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যায় ওই শিক্ষার্থী। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তার অর্ধগলিত লাশ গ্রামের একটি ছড়া থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ঘটনা তদন্তকালে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের প্রতিবেশী জুনেলকে আটক করা হয়। রোববার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জুনেল জানান, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ক্ষোভের মাথায় ওই ছাত্রীকে হত্যা করেন তিনি।
আসামির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ১২ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীর গতিরোধ করেন জুনেল। এ সময় সে চিৎকার করলে ক্ষিপ্ত জুনেল তার গলা চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর লাশ স্থানীয় কিরিম শাহ মাজারের অদূরে জঙ্গলের নিকটবর্তী ছড়ার (খাল) পাড়ে ফেলে আসেন তিনি।
নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তর জন্য মৌলভীবাজার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় নিহতের মায়ের করা পূর্বের অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) নোবেল চাকমা, কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আপছার, পরিদর্শক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ।