এখন সন্ধ্যার আকাশ বেশ আলোকিত থাকে। আর তাই মধ্যরাত পেরিয়ে ভোর পর্যন্ত বাংলাদেশের আকাশে বেশ চমক দেখা যাচ্ছে। এ সময় যাঁরা আকাশ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এক অসাধারণ সময় বলা যায়। এই মাসে যেমন পূর্ণিমা ও অমাবস্যার চক্র রয়েছে, তেমনি বেশ কিছু উজ্জ্বল তারা, তারামণ্ডল আর গ্রহ দৃশ্যমান হবে আকাশে।

গ্রহের আনাগোনা

জুন মাসের পুরো সময়টায় ঢাকার আকাশে বেশ কয়েকটি গ্রহের উপস্থিতি দেখা যাবে। ১২ জুন শুক্র গ্রহ অ্যাপহেলিয়ন অবস্থানে থাকবে। এই অবস্থান মানে সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে মঙ্গলগ্রহ। ২২ জুন চাঁদের সঙ্গে শুক্র গ্রহের একটি সুন্দর সংযুক্তি দেখা যাবে। শনিগ্রহ মাসের বাকিটা সময় ভোরের আকাশে দৃশ্যমান থাকবে। ১৯ জুন চাঁদ, শনি ও নেপচুন গ্রহের নিকটবর্তী অবস্থান দেখা যাবে। একই দিন চাঁদের সঙ্গে শনি গ্রহের সংযুক্তি দেখা যাবে। ভোরের আকাশে এই দৃশ্য ভালোভাবে দেখার সুযোগ মিলবে।

মঙ্গলগ্রহ জুন মাসের শেষ দিকে ভোরের আকাশে দৃশ্যমান হবে। ৩০ জুন চাঁদ ও মঙ্গলের একটি সংযুক্তি ও নিকটবর্তী অবস্থান দেখা যাবে। বৃহস্পতি গ্রহ ২৪ জুন সৌর সংযুক্তিতে থাকবে বলে দৃশ্যমান হবে না। তবে মাসের শেষে ক্ষীণ উপস্থিতি লক্ষ করা যাবে। বুধ গ্রহকে মাসের শেষ সপ্তাহে সন্ধ্যার আকাশে দেখা যাবে। ২৭ জুন চাঁদ ও বুধের সংযুক্তির দৃশ্য দেখা যেতে পারে।

তারার খোঁজ খবর

জুন মাসে বেশ কিছু তারামণ্ডল ও মহাজাগতিক দৃশ্য খালি চোখে বা ছোট টেলিস্কোপে দেখা যাবে। মেসিয়ার ৯২ গ্লোবুলার ক্লাস্টারটি ১১ জুন ভালোভাবে দেখা যাবে। এটি হারকিউলিস তারামণ্ডলে অবস্থিত। এনজিসি ৬৩৮৮ ও এনজিসি ৬৩৯৭ গ্লোবুলার ক্লাস্টার ১৫ ও ১৬ জুন ভালোভাবে দেখা যাবে। বাটারফ্লাই ক্লাস্টার নামে পরিচিতি এম ৬ তারকাপুঞ্জ দেখা যাবে ১৬ জুন। এটি বৃশ্চিক তারামণ্ডলে অবস্থিত ও প্রজাপতির ডানার মতো দেখতে। আইসি ৪৬৬৫ তারকাপুঞ্জ দেখা যাবে ১৮ জুন। টলেমি ক্লাস্টার হিসেবে আলোচিত এম ৭ তারকাপুঞ্জ ২০ জুন ভালোভাবে দেখা যাবে। এটি বৃশ্চিক তারামণ্ডলে অবস্থিত। লেগুন নেবুলা হিসেবে পরিচিতি এম৮ তারকাপুঞ্জ ২২ জুন দেখা যাবে। এটি ধনু তারামণ্ডলে অবস্থিত।

উল্কা বৃষ্টির খোঁজ

জুন মাসে দুটি উল্কা বৃষ্টিও দেখা যাবে। যদিও তীব্রতা কম হতে পারে। ১০ জুন ভোরের আকাশে কিছুটা এরিটিড উল্কা বৃষ্টি ও ২৭ জুন জুন বুটিড উল্কা বৃষ্টি দেখা যাবে।

চন্দ্র চক্র

১১ জুন আকাশে যে চাঁদ দেখা যাবে তাকে শৌখিন জ্যোতির্বিদেরা স্ট্রবেরি মুন বলে থাকেন। এদিন চাঁদ কিছুটা বড় ও লাল বা কমলা আভা যুক্ত হবে। ১১ জুন পূর্ণিমা ও ২৫ জুন অমাবস্যা হবে। ১৯ জুন চাঁদ শেষ কোয়ার্টারে প্রবেশ করবে। ২৩ জুন চাঁদ পেরিজিতে (পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে) ও ২৫ জুন পেরিহেলিয়নে (সূর্যের সবচেয়ে কাছে) থাকবে।

সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন, অ্যাস্ট্রোনমি, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ, ইন দ্য স্কাই ও স্কাই ম্যাপস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত রক প ঞ জ অবস থ ত অবস থ ন গ রহ র

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ