সংরক্ষিত চামড়া কিছুদিন পর আরও বেশি দরে বিক্রি হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
Published: 10th, June 2025 GMT
বিগত বছরের তুলনায় এবার চামড়া উপযুক্ত দামে কেনাবেচা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জয়পুরহাট শহরের আরাফাত নগর এলাকার চামড়ার গুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘চামড়াশিল্পের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। চামড়া সংরক্ষণের জন্য সরকার সাড়ে সাত লাখ টন লবণ বিনা মূল্যে বিতরণ করেছে। এ ছাড়া সরকার ৮৬ হাজার কসাইকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আমরা কাঁচা চামড়া রপ্তানি তিন মাসের জন্য ওপেন করে দিয়েছি। লবণযুক্ত চামড়ার নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়েছে। পচা চামড়া কম দামে বিক্রি হয়েছে। সংরক্ষিত চামড়া কিছুদিন পর সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে আরও বেশি দরে বিক্রি হবে।’
এ সময় জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফরোজা আকতার চৌধুরী, পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, ইউএনও রাশেদুল ইসলাম, জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল হাকিম মণ্ডল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার আহ্বায়ক হাসিবুল হক, জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
চামড়া ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য উপদেষ্টার কাছে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এরপর বাণিজ্য উপদেষ্টা শহরের বাইরে পাকার মাথায় অবস্থিত আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া মারকাজুল উলুম মাদ্রাসার চামড়ার গুদামে গিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন।
মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আসআদুল্লাহ বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে বলেন, ‘আমরা সরকার থেকে বিনা মূল্যে লবণ পেয়েছি। আমরা চামড়া সংরক্ষণ করেছি। সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে আরও দর পাব বলে আশা করছি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট স রক ষ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্নমত
ইসরায়েল গত সপ্তাহে ইরানে নজিরবিহীন হামলা শুরুর সময় দাবি করেছিল, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে। যেকোনো সময় এ অস্ত্র তৈরি করে ফেলবে তারা। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকাতেই দেশটিতে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
তবে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। মার্কিন গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির মতো অবস্থায় নেই। শুধু তাই নয়, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে তেহরানের অন্তত তিন বছর লাগবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এসব তথ্য দিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ট্রাম্প প্রশাসনের চারজন কর্মকর্তা।
ট্রাম্প প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অবশ্য এ বিষয়ে বলেন, ইরান বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার ঠিক আগের ধাপে রয়েছে। যদি তারা একটি (পারমাণবিক অস্ত্র) তৈরি করতে চায়, তাহলে এর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই তাদের কাছে রয়েছে।
সেই চার কর্মকর্তার একজনের মতে, ইরানে টানা পাঁচ দিন ধরে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর মার্কিন গোয়েন্দারা এখন ধারণা করছেন, ইসরায়েল সম্ভবত ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাকে মাত্র কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে দিতে পেরেছে।
অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে হয়। এ জন্য দরকার পড়ে সেন্ট্রিফিউজের। ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় সেই সেন্ট্রিফিউজ আছে। ইসরায়েলের হামলায় নাতাঞ্জের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু দেশটির সুরক্ষিত আরেকটি পারমাণবিক স্থাপনা ফরদো এখনো অক্ষত।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় অস্ত্র না দিলে ও আকাশপথে হামলা চালাতে সহায়তা না করলে ফরদোর ক্ষতি করার মতো সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই।
ইরানের ফরদো পারমাণবিক কেন্দ্র