কোমল পানীয় বিক্রয় কর্মীসহ নানা পেশার লোক নিয়ে গড়া ক্লাব বিশ্বকাপের এই দলটি
Published: 14th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সকালে শুরু হচ্ছে নতুন সংস্করণের ক্লাব বিশ্বকাপ। যেখানে বিশ্বের নানা প্রান্তের ৩২টি ক্লাব লড়াই করবে শিরোপার জন্য। তবে ফুটবলপ্রেমীদের বেশির ভাগেরই চোখ থাকবে তারকাবহুল ক্লাবগুলোর প্রতি। লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং আর্লিং হলান্ডদের মতো তারকারাই থাকবেন আকর্ষণের কেন্দ্রে।
তবে এত তারকার ভিড়েও আলাদাভাবে নজর কেড়েছে নিউজিল্যান্ডের একটি ক্লাব। অপেশাদার সে ক্লাবটির নাম অকল্যান্ড সিটি। ওশেনিয়া অঞ্চলের এ ক্লাবটি গড়া একদল অপেশাদার ফুটবলার নিয়ে। যাঁরা আগামী কদিন ভিন্ন এক আবহে বিশ্বের ফুটবল পরাশক্তিগুলোর বিপক্ষে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণের জন্য মাঠে নামবেন।
অকল্যান্ড সিটির প্রতিষ্ঠা ও বিকাশ নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডের নর্থ শোর উপশহর ঘিরে। এই ক্লাবটি যেসব ফুটবলারদের নিয়ে গড়া হয়েছে তাদের কেউ পূর্ণকালীন অন্য কাজ করেন কিংবা পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দলে কোমল পানীয় বিক্রেতা ও রিয়েল এস্টেট এজেন্টসহ বিভিন্ন পেশায় যুক্ত খেলোয়াড়েরাও আছেন।
দলের খেলোয়াড়দের অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টিই মূলত ক্লাবের অর্থনৈতিক অবস্থাকে তুলে ধরছে। অনেক ইউরোপীয় পরাশক্তির মতো অকল্যান্ড সিটির বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধাসম্পন্ন অনুশীলন কেন্দ্র নেই। দলের খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই অনুশীলন ও শরীরচর্চার কাজ ক্লাবের বাইরে করেন। বলা যায়, ন্যূনতম সুযোগ ও সীমিত সম্পদ নিয়েই বিশ্ব মঞ্চে অনেকটা নাটকীয়ভাবে আবির্ভূত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের এই ক্লাবটি।
আরও পড়ুন৩৭ পেরোনো মেসি এবার ৪৭তম ট্রফির খোঁজে ৭ ঘণ্টা আগেগত বছর ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে অকল্যান্ড সিটি। ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে তারা মুখোমুখি হবে ৩৪ বারের জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ, পর্তুগালের অন্যতম সফল ক্লাব বেনফিকা ও আর্জেন্টিনার সবচেয়ে সফল ক্লাব বোকা জুনিয়রসের। বিখ্যাত এসব ক্লাবকে চমকে দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন বুনছে এখন অকল্যান্ড সিটি।
সিএনএন স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দলের অধিনায়ক মারিও ইলিচ জানিয়েছেন, অকল্যান্ড সিটির ঐতিহাসিক অগ্রগতির পেছনে ভূমিকা রেখেছে ফুটবলের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা। ইলিচ বলেছেন, ‘লোকজন বলে পেশাদার খেলোয়াড়রা অনেক পরিশ্রম করে, যা সত্য। কিন্তু আমরা দুটো, এমনকি কেউ কেউ তিনটি কাজ করেও বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে খেলার চেষ্টা করছি।’
অকল্যান্ড অধিনায়ক ইলিচ কোমল পানীয় বিক্রয় প্রতিনিধি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প অকল য ন ড স ট ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫