সবার মনোযোগ মঞ্চে, যেখানে চলছে ‘মোবাইল টেস্টিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার’ নিয়ে আলোচনা। সারাবিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে। মোবাইল টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাচ্ছে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার।
অ্যাপ ডেভেলপারদের দক্ষতা ও বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে রাজধানীতে ড্রয়েডকন বাংলাদেশের
উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এতে মোবাইল টেস্টিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ছাড়াও অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা, কটলিন মাল্টিপ্ল্যাটফর্ম ও ইঞ্জিনিয়ারিং নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলেন বক্তারা। 
অন্যদিকে, জেটব্রেইনস, নেটিভওয়েবস, ওল্ট, ব্রেইন স্টেশন ২৩, চেক, পাঠাও ও জেলেফের মতো দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষক, প্রযুক্তিবিদ, প্রোগ্রামাররা এতে অংশ নিয়েছেন।
ড্রয়েডকনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে যারা কাজ করে বা কাজ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য এমন সম্মেলন সময়োপযোগী। আগ্রহীরা এতে অ্যান্ড্রয়েডের অনেক বিষয়ে বিশদ ধারণা পেয়েছেন, যা আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। নিজেদের পরবর্তী অ্যান্ড্রয়েড ক্যারিয়ারে এমন সম্মেলন কাজে আসবে। বৈশ্বিক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপকেন্দ্রিক বাজারের আকার বছরের পর বছর প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। বাংলাদেশে অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করছে এমন সংখ্যা তেমন বাড়েনি। যারা দেশে অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য এমন সম্মেলন দারুণ কাজের।
জানা গেছে, সারাবিশ্বে ২০২৪ সালে ১৩ হাজার ৭০০ কোটি অ্যাপ ও গেম ডাউনলোড হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এ বাজারের আর্থিক মূল্য ৬২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বিশ্বজুড়ে অ্যাপ ডেভেলপারের সংখ্যা 
৫৯ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপারের সংখ্যা বৈশ্বিক তুলনায় এখনও 
অনেক পিছিয়ে।
অস্ট্রিয়ার নেটিভ ওয়েবসের জ্যেষ্ঠ অ্যান্ড্রয়েড প্রকৌশলী মহি-উস-সুন্নাত বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের নবীন ডেভেলপাররা অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হোক। বিশ্বের অন্যসব দেশের তুলনায় আমাদের দেশে উল্লেখযোগ্য অ্যাপ ডেভেলপার নেই, বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার। আমরা নবীন ডেভেলপার ও ভবিষ্যতে যারা অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়বেন, 
তাদের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করব।
প্রসঙ্গত, ঢাকায় সর্বশেষ ২০১৭ সালে ড্রয়েডকন সম্মেলন হয়। চলতি বছর বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্যসব শহর লন্ডন, বার্লিন, সানফ্রান্সিসকো ও 
নাইরোবির মতো শহরে ড্রয়েডকন
সম্মেলন হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র ব যবহ র এমন স

এছাড়াও পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে পাঁচ উপদেষ্টা, শিমুলিয়া ঘাটে হবে কনটেইনার পোর্ট

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর মালিকানাধীন ২৯ দশমিক ৩১ একর জমিতে ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫৬ কোটি টাকা।

গতকাল রোববার শিমুলিয়া এলাকায় ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার বন্দর নির্মাণে অর্থায়নের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদ্বারিত্বে পর্যটন যেটি হবে, তা উন্মুক্ত থাকবে। কেউ চাইলে বিনিয়োগ করতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা করছি। তবে এটি কবে হবে বলা মুশকিল। বিআইডব্লিউটিএর সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসন এটি বাস্তবায়ন করবে।’
এর আগে দুপুরে ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে পাঁচ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা হয়। এতে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, পরিকল্পনায় রিভার মিউজিয়াম, নদীর পাড়ে ইকো রিসোর্ট, সুইমিং পুল, কিডস জোন, শিমুলিয়া ঘাটের পুরোনো ঐতিহ্য রক্ষায় নদীতীরে একটি ফেরিঘাট পুনস্থাপনের প্রস্তাব রয়েছে।

পুরো এলাকা চারটি জোনে ভাগ করা হবে। এ-জোনে থাকবে মোংলা বন্দরের আদলে ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল ও বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব আইটি ভবন, বি-জোনে ট্রাক পার্কিং এরিয়া, সি-জোনে প্রশাসনিক অঞ্চল এবং ডি-জোনে ফেরিঘাটের জন্য বাস পার্কিং ছাড়াও থাকবে ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি, ওয়াকওয়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ