মেসির শরীরে যত ট্যাটু, কোনটার কী মানে
Published: 24th, June 2025 GMT
শরীরে ট্যাটু ছাড়া এখন কোনো ফুটবলার আছে নাকি—এ প্রশ্ন এখন উঠতে পারে। ফুটবলারদের ট্যাটুপ্রীতি বা উল্কি করানোর প্রতি টান আসলে নতুন কিছু নয়। ব্যতিক্রমও আছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর যেমন ট্যাটুপ্রীতি নেই। তাঁর শরীরে কোনো ট্যাটু নেই। তবে ট্যাটু করানো ফুটবলারের সংখ্যাই হয়তো বেশি হবে। আর দিন দিন এ ব্যাপারটা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে ট্যাটু যেন এখন ফুটবলারদের শরীরের ইউনিফর্ম। লিওনেল মেসিই–বা বাদ যাবেন কেন; তাঁর হাত, বুক, পিঠ পা—সব জায়গাতেই তো ট্যাটু। আজ মেসির ৩৮তম জন্মদিনে আসুন তাঁর ট্যাটুগুলো সমন্ধে জেনে নেওয়া যাক—
সংবাদমাধ্যমে এর আগে জানা গিয়েছিল, মেসির শরীরে মোট ১৮টি ট্যাটু। তবে সংখ্যাটা একদম সঠিক না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, কিছু ট্যাটু নতুন করে করিয়েছেন মেসি। কিছু আবার নতুন ট্যাটুতে ঢেকেও ফেলেছেন। যদিও প্রতিটি ট্যাটুই অর্থবোধক। অর্থাৎ এমনিতেই করাননি, তাঁর প্রতিটি ট্যাটুর পেছনে অর্থ আছে।
মেসির কাছে পরিবার সবার আগে। তাঁর শরীরে প্রথম ট্যাটুটি তাঁর মায়ের প্রতিকৃতি, যেটা তিনি করিয়েছিলেন ২০১১ সালে। মা সেলিয়া কুচিত্তিনির প্রতিকৃতির এই ট্যাটুটি মেসির বাঁ কাঁধের পেছনে। আজ এত বড় অ্যাথলেট হয়ে ওঠার পেছনে যাঁর অবদান অনস্বীকার্য, তাঁকে ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েই এই ট্যাটুটি করান মেসি।
আরও পড়ুনমেসির ৩৮তম জন্মদিনে জেনে নিন তাঁর ৩৮ রেকর্ড২৪ জুন ২০২৩এক বছর পর প্রথমবারের মতো বাবা হন মেসি। নিজের বাঁ পায়ের পেছনে সেই সন্তানের দুই হাতের ট্যাটু করান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। পরে দুটি হাতের মাঝে হৃদয়ের ট্যাটু এঁকে তাতে সন্তানের নামটিও লেখেন—থিয়াগো। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ডিয়েগো ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের ট্যাটু মনে করে কেউ যেন ভুল না করে, সে জন্য সন্তানের নামও ট্যাটু করান মেসি। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় সন্তান মাতেওর ট্যাটুও করান মেসি, সেটা তাঁর বাঁ হাতে।
এ তো গেল মা এবং সন্তানদের জন্য ট্যাটু। বউ আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর জন্যও তিনটি ট্যাটু করিয়েছেন মেসি। তাঁর ডান হাতের মাংশপেশিতে রোকুজ্জোর চোখের ট্যাটু করানো আছে। আছে চুমু খাওয়ার ভঙ্গিতে রোকুজ্জোর ঠোঁটের ট্যাটুও। দুজনের যৌথ ট্যাটুও আছে। রোকুজ্জোর শরীরে আছে রানির মুকুটের ট্যাটু আর মেসির শরীরে রাজার মুকুটের।
মেসির বাঁ কাঁধের পেছনে তাঁর মায়ের প্রতিকৃতির ট্যাটু.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিবির খসড়া ভোটার তালিকায় কারা আছেন, কারা নেই
বিসিবির নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা ছিল গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর। অনেক ঘটনার পর সেটি অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে আজ সন্ধ্যায়। খসড়া ভোটার তালিকা এক দিন দেরিতে প্রকাশ করায় নির্বাচনী তফসিলও সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিসিবির নির্বাচন হবে পূর্বনির্ধারিত ৬ অক্টোবরই।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন। ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাউন্সিলর মিলিয়ে নির্বাচনে মোট ১৯২ জন ভোটার থাকার কথা থাকলেও খসড়া ভোটার তালিকায় সিলেট, নরসিংদী, নওগাঁ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে কারও নাম নেই। এ ছাড়া তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেটের অনিয়ম নিয়ে দুদকের তদন্তে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সুপারিশ থাকায় বাদ দেওয়া হয়েছে ১৫টি ক্লাবকে। ক্লাবগুলো হলো এক্সিওম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমি, মোহাম্মদপুর ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমি, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, ওল্ড ঢাকা ক্রিকেটার্স, ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমি, বনানী ক্রিকেট ক্লাব, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমি, ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব, প্যাসিফিক ক্রিকেট ক্লাব, স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব ও আলফা স্পোর্টিং ক্লাব।
কাউন্সিলর হয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন