দুই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে বেরিয়ে মায়ের জানাজায় যুবলীগ নেতা
Published: 24th, June 2025 GMT
দুই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে দাফন শেষে আবারও তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বেলা তিনটার দিকে কুষ্টিয়ার একটি হাসপাতালে বার্ধক্যের কারণে মারা যান আনোয়ার হোসেনের মা আনোয়ারা খাতুন। পরে পরিবারের লোকজন প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলে জেলা প্রশাসন তাঁকে দুই ঘণ্টার জন্য মুক্তি দেয়। পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে তাঁকে গ্রামের বাড়ি উপজেলার মিনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা ও দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের কয়েকজন জানান, মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়ার সময় আনোয়ার হোসেনের এক হাতে হাতকড়া ছিল। এ সময় তাঁকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, গাংনী উপজেলার হলপাড়ার মাসুম খন্দকার নামের এক ব্যক্তি গত ১৩ এপ্রিল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার ২ নম্বর আসামি আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে ২৩ এপ্রিল মেহেরপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধী নাশকতা ও শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনার অভিযোগে আনোয়ারসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগের ৮২ নেতা-কর্মীকে ওই মামলায় আসামি করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন হাসনাত: দুদক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি পোস্ট দৃষ্টি গোচর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। সংস্থাটি বলছে, পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই দুদকের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন।এ বিষয়ে সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, একটি প্রতারক দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। এর সঙ্গে দুদকের কর্মকর্তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
মঙ্গলবার দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দুদক ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং প্রতারক চক্রের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগেও দুদক প্রতারণা রোধে সবাইকে সতর্ক করে আসছে। যা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুদককে দোষারোপ করে, যার ফলে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, প্রতারণামূলক ফোন কল, বার্তা বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে কারও কাছ থেকে টাকা চাওয়া হলে কিংবা কোনো প্রতারণা বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ নম্বরে জানানোর অথবা নিকটস্থ দুদক কার্যালয় বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।