জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা
Published: 25th, June 2025 GMT
জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বুধবার (২৫ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাৎ বাংলাদেশে তার চার বছরের কূটনৈতিক কর্মজীবনের শেষ কার্যক্রম।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত ট্রস্টারকে তার দায়িত্ব সফলভাবে শেষ করার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্ক জোরদারে তার অবদানের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জার্মানি আমাদের উন্নয়ন যাত্রার নির্ভরযোগ্য অংশীদার।”
আরো পড়ুন:
স্কাউটিংয়ের অভিজ্ঞতায় ভবিষ্যতের পৃথিবী রচনায় এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান
বিবিসিকে অধ্যাপক ইউনূস
আওয়ামী লীগ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার বাংলাদেশে তার সময়কাল সম্পর্কে আবেগভরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আমার কর্মজীবনে অনেক আকর্ষণীয় পোস্টিং ছিল, তবে বাংলাদেশ সত্যিই অনন্য। বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তা ছিল অভূতপূর্ব, আমি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি।”
তিনি আরো বলেন, “বিনিয়োগ সম্মেলন ছিল একটি ভালো উদ্যোগ। আমি বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা জানাই এবং আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া সফল হবে। পাশাপাশি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও আমি আশাবাদী।”
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জার্মানির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “ইউরোপে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে জার্মানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশটি যে অব্যাহত উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়।”
তিনি বিশেষভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য জার্মানির মানবিক সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “সংকটময় মুহূর্তে বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আপনার দেশের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনার বিদায়ের পরও আমরা আপনার মতামত শুনতে চাই তা ইতিবাচক হোক অথবা সমালোচনামূলক।কারণ আপনার অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাকে বাংলাদেশের একজন সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করি।”
সাক্ষাৎকালে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো.
ঢাকা/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য আপন র ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রাম, আবেদন শেষ ২৬ আগস্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে জুলাই ২০২৫ সেমিস্টারে প্রফেশনাল মাস্টার্স ইন ইনফরমেশন অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি (PMICS) প্রোগ্রামে ভর্তিতে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য১. এটি ৩৬ ক্রেডিট ঘণ্টা।
২. ক্লাসের সময়: শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং অন্যান্য দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্লাস।
৩. এটি তিন সেমিস্টারের প্রোগ্রাম।
ভর্তির যোগ্যতা১. সিএসই/সিএস/আইটি/এসই/সিআইটি/আইসিটি/ইসিই/ইটিই/ইইই ইত্যাদি আইটি/আইসিটি-সম্পর্কিত বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন থাকতে হবে।
২. সিজিপিএ কমপক্ষে ২.৫০ সহ স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। সিজিপিএ–২.৫০ নিচে থাকলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
৩. চাকরিজীবীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
৪. দেশি–বিদেশি সব শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন। বিদেশি ডিগ্রির ক্ষেত্রে এ অনুষদের অফিস থেকে সমতা নিরূপণ করতে হবে।
৫. তথ্য যাচাই শেষ হলে ভর্তি পরীক্ষার ফি তিন হাজার টাকা দিয়ে অনলাইনে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনজাপানি ভাষা শিক্ষা কোর্স, ভর্তি ফি মাত্র এক হাজার টাকা০৯ আগস্ট ২০২৫ভর্তির বিস্তারিত তথ্য১. আবেদনপত্র জমার শেষ তারিখ: ২৬ আগস্ট ২০২৫।
২. ভর্তি পরীক্ষার তারিখ: ২৯ আগস্ট ২০২৫ শুক্রবার, সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম, জিপিএ–২.৫ হলেই আবেদন০৯ আগস্ট ২০২৫৩. পরীক্ষার ফল প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুপুর ১২ টায়।
৪. ক্লাস শুরুর সম্ভাব্য তারিখ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
* অনলাইনে আবেদনের জন্য ভিজিট করুন: https://pmics.cse.du.ac.bd/
* বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: www.pmics.cse.du.ac.bd
আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যের চেভেনিং বৃত্তি, ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিতে পড়তে চাইলে করুন আবেদন১০ আগস্ট ২০২৫