নকআউট পর্বে উঠতে ইন্টার মিলানের সঙ্গে ড্র করলেই চলত রিভার প্লেটের। কিন্তু বাংলাদেশ সময় আজ সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টাইন ক্লাবটি। আর তাতে নিশ্চিত হলো, নতুন কাঠামোর এবারের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে থাকছে না কোনো আর্জেন্টাইন ক্লাব। রিভার প্লেটের আগে বিদায় নিয়েছে দেশটির আরেক প্রতিনিধি বোকা জুনিয়র্স।

আর্জেন্টিনার সব ক্লাব বিদায় নিলেও প্রতিবেশী ব্রাজিলের চারটি ক্লাবই উঠে গেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। শেষ ষোলোতে পালমেইরাস ও বোতাফোগো মুখোমুখি হওয়ায় নিশ্চিত হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের কোনো না কোনো ক্লাব থাকছেই। পালমেইরাস ও বোতাফোগো ছাড়া ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো ও ফ্লুমিনেন্সও উঠেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে।

ইতালিয়ান পরাশক্তি ইন্টারের কাছে হেরে বিদায় নেওয়া রিভার প্লেট গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ‘ই’ গ্রুপে শীর্ষেই ছিল। ২ ম্যাচে ১টি করে জয় ও ড্র নিয়ে ৪ পয়েন্ট পেয়ে গোল ব্যবধানে ইন্টারের ওপরে ছিল আর্জেন্টাইন ক্লাবটি। আজ একই সময়ে অনুষ্ঠিত গ্রুপের অন্য ম্যাচে মেক্সিকান ক্লাব মন্তেরেই জাপানের উরাওয়া রেড ডায়মন্ডসকে ৪-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে উঠেছে শেষ ষোলোতে। তৃতীয় ম্যাচে এসে পাওয়া প্রথম জয়ের পর মন্তেরেই গ্রুপ পর্ব শেষ করল ৫ পয়েন্ট নিয়ে। ইন্টারের পয়েন্ট ৭, রিভার প্লেটের পয়েন্ট ৪, উরাওয়া ফিরেছে খালি হাতেই।

ইন্টার মিলানের হয়ে অভিষেকেই গোল পেয়েছেন ১৯ বছর বয়সী স্ট্রাইকার ফ্রানচেস্কো পিও পেসপসিতো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ইন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাজিলের ৪টি ক্লাবই নকআউটে, আর্জেন্টিনার সব ক্লাবই গ্রুপপর্বে বি

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ-২০২৫ এ দক্ষিণ আমেরিকার দুই ফুটবল পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স যেন দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে। যেখানে ব্রাজিলের চারটি ক্লাব— ফ্ল্যামেঙ্গো, পালমেইরাস, বোতাফোগো ও ফ্লুমিনেন্স; দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে। সেখানে আর্জেন্টিনার দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব বোকা জুনিয়র্স ও রিভার প্লেট গ্রুপপর্বেই বিদায় নিয়েছে।

শেষ ষোলোতে পালমেইরাস ও বোতাফোগো মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে অন্তত একটি ব্রাজিলিয়ান ক্লাব কোয়ার্টার ফাইনালে নিশ্চিত। অন্যদিকে ফ্ল্যামেঙ্গো খেলবে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। আর ফ্লুমিনেন্স লড়বে ইন্টার মিলানের সঙ্গে।

চলুন ক্লাবগুলোর গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্সে চোখ বুলানো যাক—

আরো পড়ুন:

শেষ নয়, আল-নাসরে নতুন অধ্যায়ের শুরু রোনালদোর

কষ্টের জয়ে শেষ ষোলোতে ইন্টার, বরুসিয়াও নকআউট পর্বে

ব্রাজিলের চার ক্লাব: দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা

১. ফ্ল্যামেঙ্গো (গ্রুপ ডি):
ম্যাচ ১: ফ্ল্যামেঙ্গো ৩–১ চেলসি।
ম্যাচ ২: ফ্ল্যামেঙ্গো ২–০ এস্পেরঁস (তিউনিসিয়া)।  
ম্যাচ ৩: ফ্ল্যামেঙ্গো ১–১ এলএএফসি।
পয়েন্ট টেবিল: ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।  
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: জর্জিয়ান ডি আরাস্কায়েতা (২টি ম্যাচে ম্যাচসেরা)।

২. পালমেইরাস (গ্রুপ এ):
ম্যাচ ১: পালমেইরাস ০–০ পোর্তো। 
ম্যাচ ২: পালমেইরাস ২–০ আল আহলি।  
ম্যাচ ৩: পালমেইরাস ২–২ ইন্টার মায়ামি।
পয়েন্ট টেবিল: ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।  
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: “মেসিনহো” নামে পরিচিত তরুণ এস্তেভাও উইলিয়ান (১টি ম্যাচে ম্যাচসেরা)।

৩. বোতাফোগো (গ্রুপ বি):
ম্যাচ ১: বোতাফোগো ২–১ সিয়াটল সাউন্ডার্স।
ম্যাচ ২: বোতাফোগো ১–০ পিএসজি।  
ম্যাচ ৩: বোতাফোগো ০–১ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ  
পয়েন্ট টেবিল: ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার-আপ।  
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: ইগর জেসুস (২টি ম্যাচে ম্যাচসেরা)।

৪. ফ্লুমিনেন্স (গ্রুপ এফ):
ম্যাচ ১: ফ্লুমিনেন্স ১–১ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
ম্যাচ ২: ফ্লুমিনেন্স ২–০ উলসান এইচডি।
ম্যাচ ৩: ফ্লুমিনেন্স ১–০ মামেলোডি সানডাউন্স।  
পয়েন্ট টেবিল: ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।  
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: জন আরিয়াস (ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যাচসেরা)।

আর্জেন্টিনার দুই ক্লাব: হতাশাজনক বিদায়

১. রিভার প্লেট (গ্রুপ ই):
ম্যাচ ১: রিভার প্লেট ১–১ উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস।
ম্যাচ ২: রিভার প্লেট ০–২ মন্টেররে।
ম্যাচ ৩: রিভার প্লেট ০–২ ইন্টার মিলান। 
পয়েন্ট টেবিল: ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে চতুর্থ।

২. বোকা জুনিয়র্স (গ্রুপ সি):
ম্যাচ ১: বোকা জুনিয়র্স ০–৩ বায়ার্ন মিউনিখ।
ম্যাচ ২: বোকা জুনিয়র্স ১–১ বেনফিকা।
ম্যাচ ৩: বোকা জুনিয়র্স ০–১ অকল্যান্ড সিটি।  
পয়েন্ট টেবিল: ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয়।  

ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো সম্মিলিতভাবে ১৪ গোল করেছে, খেয়েছে মাত্র ৪টি এবং কেউই হারেনি গ্রুপপর্বে। আর্জেন্টিনার ক্লাবগুলো মাত্র ২ গোল করেছে, খেয়েছে ৭টি এবং কেউ-ই জয় পায়নি। এই পারফরম্যান্স প্রমাণ করে, দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলে ব্রাজিলের আধিপত্য এখনো অটুট এবং তারা ইউরোপীয় জায়ান্টদের জন্যও বড় হুমকি হয়ে উঠছে।

ক্লাব বিশ্বকাপে ভালো করার পেছনের কারণ:
ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো তাদের মিড-সিজন ফর্ম ও উচ্চ তাপমাত্রায় খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছে। যেখানে ইউরোপীয় ও আর্জেন্টাইন ক্লাবগুলো ছিল অফ-সিজনে। এখন দেখার বিষয় নকআউটপর্বে তারা কেমন কী করে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাজিলের ৪টি ক্লাবই নকআউটে, আর্জেন্টিনার সব ক্লাবই গ্রুপপর্বে বি
  • কষ্টের জয়ে শেষ ষোলোতে ইন্টার, বরুসিয়াও নকআউট পর্বে
  • চেলসিকে পেছনে ফেলে গ্রুপসেরা ব্রাজিলিয়ান ক্লাব, নকআউটে পেল বায়ার্নকে
  • শেষটা জিতেও অ্যাটলেটিকোর বিদায়, ঘুরে দাঁড়িয়ে নকআউট পর্বে পিএসজি
  • না জিতেও ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে মায়ামি