ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ: আমির খসরু
Published: 26th, June 2025 GMT
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। এতে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হওয়ায় স্বস্তি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয় বৈঠকে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এর আগে আমির খসরুর সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
আমির খসরু বলেন,‘ সবার আগে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারি হতে যাচ্ছে, এজন্য সবার একটা স্বস্তি ও সন্তুষ্টি আছে। আশা রয়েছে, দ্রুত নির্বাচনের দিকে গিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাবে দেশ। কারণ অনেক কিছু অপেক্ষা করছে একটা নির্বাচিত সরকারের ওপর; তাদের কর্মকাণ্ড, আগামী দিনে কি হবে। স্বল্পমেয়াদি দীর্ঘমেয়াদি অনেক সিদ্ধান্ত আছে। যেগুলো একটি নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সবাই স্বস্তিবোধ করে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমিকদের যে সমস্যা আছে, আপনারা জানেন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিন্তু সব সময় শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর আগামী সংসদকে তারা সহযোগিতা করতে চাচ্ছে। সংসদের কার্যক্রমকে যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনা করা যায়, বাংলাদেশের বিচারবিভাগের স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনার বিষয়টা আলেচনায় উঠে আসছে।’
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের আগামীদিনের উন্নয়নের সঙ্গে তারা (ইইউ) সহযোগী হতে চায়। আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অংশীদার হতে চায়। আর বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে তাদের চিন্তা বহুলাংশে মিল আছে। এটাতে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ১৬০ বাংলাদেশি
আগামী ২০ আগস্ট লিবিয়ার গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৬০ বাংলাদেশি অভিবাসী দেশে ফিরছেন।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান নিরাপত্তাহীনতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকে কাজের সুযোগ না পাওয়ায় লিবিয়া ছেড়ে নিরাপদে দেশে ফিরে আসতে আগ্রহী হয়েছেন অনেকে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের সমন্বয়ে পরিচালিত মানবিক প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় তাদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ত্রিপোলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।
গত ৭ আগস্ট লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার আইওএম'র ভারপ্রাপ্ত চিফ অব মিশনের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন, সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত আইওএম'র কাছে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশি অভিবাসীদের দ্রুত নিবন্ধন এবং পর্যায়ক্রমে তাদের প্রত্যাবাসনের আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে ত্রিপোলী, মিসরাতা, বেনগাজীসহ লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন।
আইওএম'র কর্মকর্তারা জানান, তারা বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। যদিও বর্তমানে ফ্লাইটের সংখ্যা সীমিত, তবে ভবিষ্যতে তা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় আগামী ২০ আগস্ট বেনগাজী থেকে একটি প্রত্যাবাসন ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ফ্লাইটে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৬০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিবন্ধন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে একমত হয় এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঢাকা/হাসান/ইভা