নতুন আইনে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে জোরপূর্বক ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি ‘যুদ্ধাপরাধ’ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে ইসরায়েলি সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক নির্দেশনার মাধ্যমে, যেখানে বলা হয়েছে—দক্ষিণ হেব্রনের মাসাফার ইয়াত্তা এলাকায় ফিলিস্তিনিদের দেওয়া সব নির্মাণ ও পরিকল্পনা অনুমোদন বাতিল করতে হবে, কারণ ওই এলাকা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজন। খবর আলজাজিরার। 

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “গত কয়েক মাসে ইসরায়েল ব্যাপকভাবে বাড়িঘর ধ্বংস, নির্বিচার গ্রেপ্তার, মানবাধিকার কর্মীদের নির্যাতন ও চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এর সবকিছুই মাসাফার ইয়াত্তার ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।” 

সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, আশপাশের অবৈধ ইহুদিরা প্রতিদিন ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর হামলা, হুমকি ও হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে। নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও এসব আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মতে, এভাবে কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনিকে জোর করে উচ্ছেদ করার সম্ভাবনা রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে গুরুতর অপরাধ।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাবি ক্যাম্পাস সংস্কার ও রাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস সংস্কার ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি ফলক চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

এদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হন। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলটি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

সমাবেশে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ ফয়সালের সঞ্চালনায় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মেহেদী হাসান, রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান নাজির বক্তব্য দেন। 

সমাবেশে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘গত একত্রিশ বছর ধরে ক্যাম্পাসে রাকসু নির্বাচনের মত একটা সম্মানজনক ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। বর্তমান প্রশাসন শুধু কথা দেওয়ার রাজনীতি করছে। যত কথাই বর্তমান প্রশাসন দিয়েছে তার একটাও তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা আওয়ামী লীগের মতো কথা দেওয়ার সাংস্কৃতি বন্ধ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা প্রচ্ছন্ন শক্তি রাকসু নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। এরা কোনো নির্দিষ্ট দলের বা মতের নয়। ক্যাম্পাসে এমনও শিক্ষক রয়েছে; যারা চায় না তাদের পাশে এসে ছাত্ররা বসুক। এজন্য তারা রাকসু নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে চায়। তাদেরকে আমরা চিনে রাখছি। রাকসু নির্বাচন যদি না হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান নাজির বলেন, ‘আপনারা জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী প্রশাসন। ফ্যাসিস্টদের সরিয়ে আমরাই আপনাদের এই চেয়ারে বসিয়েছি। আপনারা দুই হাজার শহীদের রক্তের ওপর বসে আছেন। কিন্তু আপনাদের আচরণ সেই ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের মতোই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা চাই, আপনারা ছাত্রবান্ধব প্রশাসন হন। এটা না হলে ছাত্ররা ফ্যাসিস্টদের যেভাবে সরিয়েছে, আপনাদের সরাতে দুবার ভাববে না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ