উত্তর গাজায় ত্রাণের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল
Published: 26th, June 2025 GMT
ইসরায়েল উত্তর গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার ত্রাণবাহী ট্রাকে মুখোশধারী ব্যক্তিদের ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যাদের হাতে রাইফেল ও লাঠি ছিল। ইসরায়েলের দাবি, হামাস ত্রাণ চুরি করছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বুধবার রাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের সাথে এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি সেনাবাহিনীকে দুই দিনের মধ্যে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে হামাস ত্রাণের নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারে।
তবে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ত্রাণের কোনো ট্রাক লুট করেনি।
গাজার প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী উপজাতীয় বিষয়ক উচ্চ কমিশন জানিয়েছে, ‘কেবলমাত্র উপজাতীয় প্রচেষ্টার মাধ্যমে’ পরিচালিত সাহায্য সুরক্ষা প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে ট্রাকগুলো সুরক্ষিত করা হয়েছে। হামাস এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি।
ফিলিস্তিনি বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্য পরিচালিত ছায়া সংস্থার পরিচালক আমজাদ আল-শাওয়া বলেছেন, বুধবার গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে সুরক্ষিত ত্রাণ দুর্বল পরিবারগুলোর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রায় দুই বছরের সামরিক অভিযানের ফলে গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর খাদ্য এবং অন্যান্য মৌলিক সরবরাহের তীব্র ঘাটতির মধ্যে রয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেননি ১৭ শিক্ষার্থী
প্রবেশপত্র না পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি জামালপুর পৌর এলাকার দড়িপাড়ায় প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৭ শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষা না দিতে পেরে কলেজটির সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুধবার রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে প্রবেশপত্র না পেয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে হট্টগোল শুরু করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এক পর্যায়ে কলেজের সাইনবোর্ড খুলে ফটকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান অধ্যক্ষসহ প্রতিষ্ঠানটির লোকজন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ অতিরিক্ত টাকা নিলেও রেজিস্ট্রশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ১০ জন, মানবিকের চারজন ও ব্যবসায়ী শিক্ষার তিনজন শিক্ষার্থী রয়েছে।
অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম আত্মগোপনে থাকায় তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁর ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বছর জামালপুর জেলায় ৫২টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৫৭৫ শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অংশ নিয়েছে।