ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় যারা, কবে কে কার মুখোমুখি
Published: 27th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাজিমাত করেছে ব্রাজিল থেকে অংশ নেওয়া চার ক্লাব। পালমেইরাস ও ফ্লামেঙ্গো গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ চারে পা রেখেছে। ফ্লুমিনেন্স ও বোটাফোগো গ্রুপের রানার্স আপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে গেছে।
তবে ব্রাজিলের চার ক্লাবই শেষ ষোলোয় পড়েছে কঠিন পরীক্ষার মুখে। যেমন ফ্লামেঙ্গোকে খেলতে হবে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। বোটাফোগো ও পালমেইরাস একে অপরের মুখোমুখি হবে। সেখান থেকে একদলের বিদায় নিতে হবে। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলতে হবে ফ্লুমিনেন্সের।
ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে চমক দিয়েছে স্বাগতিক ক্লাব ইন্টার মায়ামি ও মেক্সিকান ক্লাব মন্টেরি। সৌদি প্রো লিগের একমাত্র ক্লাব হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপে এসে শেষ ষোলোয় গেছে আল হিলাল। তাদের গ্রুপ থেকে ইউরোপের সলসবার্গ বিদায় নিয়েছে।
এর বাইরে ইউরোপের প্রভাবশালী রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানসিটি, চেলসি, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, বেনফিকা ও জুভেন্টাস শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে। গ্রুপ পর্বে একমাত্র ক্লাব হিসেবে তিন ম্যাচেই জয় পেয়েছে ম্যানসিটি। তারা কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে আল হিলালকে পেয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদকে খেলতে হবে জুভেন্টাসের বিপক্ষে।
শেষ ষোলোয় জায়গা পাওয়া দল: গ্রুপ ‘এ’: পালমেইরাস, ইন্টার মায়ামি।
গ্রুপ ‘বি’: পিএসজি, বোটাফোগো।
গ্রুপ ‘সি’: বেনফিকা, বায়ার্ন।
গ্রুড ‘ডি’: ফ্লামেঙ্গো, চেলসি।
গ্রুপ ‘ই’: ইন্টার মিলান, মন্টেরি।
গ্রুপ ‘এফ’: ডর্টমুন্ড, ফ্লুমিন্সে।
গ্রুপ ‘জি’: ম্যানসিটি, জুভেন্টাস।
গ্রুপ ‘এইচ’: রিয়াল মাদ্রিদ, আল হিলাল।
শেষ ষোলোয় কে, কবে, কখন, কার মুখোমুখি: (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী)
২৮ জুন: পালমেইরাস বনাম বোটাফোগো (রাত ১০টা)।
বেনফিকা বনাম চেলসি (রাত ২টা)।
২৯ জুন: পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি (রাত ১০টা)।
ফ্লামেঙ্গো বনাম বায়ার্ন (রাত ২টা)।
৩০ জুন: ইন্টার মিলান বনাম ফ্লুমিনেন্স (রাত ১টা)।
১ জুলাই: ম্যানসিটি বনাম আল হিলাল (সকাল ৭টা)।
১ জুলাই: রিয়াল বনাম জুভেন্টাস (রাত ১টা)।
২ জুলাই: ডর্টমুন্ড বনাম মন্টেরি (সকাল ৭টা)।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প ক ল ব ব শ বক প ইন ট র ম আল হ ল ল
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের প্যানেলকে ‘ভাড়াটিয়া’ আখ্যা দিয়ে একাংশের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ছাত্রঅধিকার পরিষদ যৌথভাবে ঘোষিত প্যানেলকে কেন্দ্র করে তীব্র বিরোধ দেখা দিয়েছে। ঘোষিত প্যানেলকে ‘ভাড়াটিয়া’ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ নামের সমন্বিত প্যানেল ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
বিচারকের ছেলে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ
নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে আশুগঞ্জ সার কারখানায় সমাবেশ
এ সময় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ শাখা ছাত্রদলের বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্যানেল ঘোষণার পরই ১৮তম ব্যাচের ৩০–৩৫ জনের একটি গ্রুপ স্লোগান দিতে শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তারা ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘আঠারো আঠারো’, ‘গর্জে উঠো আঠারো’, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে আঠারো’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে প্যানেল ঘোষণার প্রতিবাদ জানান। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
তাদের অভিযোগ, ঘোষিত প্যানেলটি ছাত্রদলের প্রকৃত কর্মীদের বাদ দিয়ে ‘ভাড়াটিয়া’ দিয়ে সাজানো হয়েছে।
বিক্ষোভরত নেতাকর্মীরা দাবি করেন, জকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে যদি ১৮ ব্যাচের কেউ স্থান পায়, তাহলে তাকে অবশ্যই ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হতে হবে এবং ব্যাচটি থেকে পাঁচজনকে স্থান দিতে হবে। অন্যথায় প্যানেল ঘোষণা হওয়ার আগে প্রতিটি মনোনীত প্রার্থীর সাংগঠনিক পরিচয় স্পষ্ট করে জানাতে হবে।
এসব দাবি না মানা হলে ‘ঐক্যবদ্ধ ১৮ ব্যাচ’ নামে আলাদা এক্সক্লুসিভ প্যানেল ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে ঘোষিত সমন্বিত প্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব (সহ-সভাপতি), শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খাদিজাতুল কুবরা (সাধারণ সম্পাদক) এবং আহ্বায়ক সদস্য বিএম আতিকুর রমান তানজিল (সহ-সাধারণ সম্পাদক)।
প্যানেলের অন্যান্য সম্পাদক পদে রয়েছেন—মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক অনিক কুমার দাস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নুসরাত চৌধুরী জাফরিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. মাশফিকুল ইসলাম রাইন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শাওন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস, আন্তর্জাতিক সম্পাদক অপু মুন্সী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক তাকরিম আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক মো. কামরুল হাসান নাফিজ, পরিবহন সম্পাদক মাহিদ হাসান, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক মো. আনন বিন রহমান এবং পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক রিয়াসাল রাকিব।
নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন—ইমরান হাসান ইমন, সাদমান সাম্য, সুলতান মাহমুদ শুভ, মনিরুজ্জামান মনির, তৌহিদুল ইসলাম তানিম ও মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ। আরও একজন নির্বাহী সদস্যের নাম পরে জানানো হবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী