মোটরসাইকেল ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাগজপত্র দেখার নামে মোটরসাইকেল ধরার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। কী কী কাগজ লাগবে তা প্রস্তুত করার পর মোটরসাইকেল বিক্রি করার নিয়ম করা হোক!
ড্রাইভিং লাইসেন্সেও সেভাবে কড়াকড়ি করা হোক। অথচ বেশির ভাগই টাকা দিয়ে এই লাইসেন্স নেয়।
একটি লিখিত পরীক্ষা নিয়ে আর সামান্য আঁকাবাঁকা পথে চালাতে দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়! কিন্তু দরকার ছিল কয়েক দিনের প্রশিক্ষণের। সেটা কোনো ক্যাম্প বা ট্রেনিং সেন্টারে হতে পারে। যেখানে হাতেকলমে নিরাপদ ড্রাইভিং ও ট্রাফিক আইন শেখানো হবে। এ ক্যাম্প হতে পারে তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে। যারা ভালো পারবেন তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করে তিন দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। যারা অদক্ষ তাদের সময় লম্বা করতে হবে। অর্থাৎ লাইসেন্স ইস্যু করা হবে দক্ষতার ভিত্তিতে। সরকারি ফি ব্যতীত বাড়তি টাকা যাতে কেউ আদায় করতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হব।
দক্ষতা আর আইন মানা হচ্ছে মূল কথা। তা না হলে এই লাইসেন্স নেওয়া মানে টাকা খরচ করে সনদ কিনে নেওয়ার মতোই। এ ছাড়া দালালের সহায়তায় লাইসেন্স নেওয়ার কথাও লোকমুখে শোনা যায়। এসব অসাধু পন্থা প্রকাশ্যেই চলে!
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য এত জায়গায় দৌড়াতে হবে কেন? দক্ষতার ভিত্তিতে উপজেলা বা ইউনিয়ন/ওয়ার্ড পর্যায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে ব্যবহারকারীদের ভোগান্তি কমবে।
কাজী সুলতানুল আরেফিন:
ছাগলনাইয়া, ফেনী
arefin.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিরামিক শিল্পে কর কমানোর চেষ্টা করব: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, একটি কমপ্লায়েন্ট, প্রতিযোগিতামূলক ও উদ্ভাবনী শিল্প তৈরি করুন। সরকার করহার কমানোর চেষ্টা করবে। দেশ আর আগের অবস্থানে ফিরে যাবে না।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে এমন যুক্তি তুলে ধরুন, যা বিশ্বাসযোগ্য ও ন্যায্য। সরকার হিসেবে আপনাদের কথা শোনার জন্য আমরা বাধ্য। কারণ, আমরা আপনাদেরই ব্যবসা করার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করি।’
আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চতুর্থবারের মতো আয়োজিত সিরামিক এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ, ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিএমইএ সভাপতি মইনুল ইসলাম, মেলা কমিটির চেয়ারম্যান ও বিসিএমইএর সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দীন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. মামুনুর রশীদ, বিসিএমইএর সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দীন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আজকে একটি গণমাধ্যমে দেখলাম বাংলাদেশে বর্তমানে খেলাপি ঋণ প্রায় ৩৫ শতাংশ। যা বিশ্বে সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন, তিউনিসিয়া, লেবাননের চেয়ে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি। বিগত সরকার দারিদ্র্য এমনভাবে বসিয়ে দিয়েছে যে অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে অন্তর্বর্তী সরকার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছে।’
শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, বিসিএমইএ সম্ভবত গ্যাস সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগেছে। বিসিএমইএর সভাপতি জানান আগের থেকে পরিস্থিতি ভালো। যদি ওনার কারখানায় গ্যাসের অবস্থা ভালো থাকে, তাহলে এই খাতে সবার ক্ষেত্রেও ভালো থাকার কথা।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ) সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, সিরামিক সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে এগিয়ে আসছে। ইতালিতে তাদের বর্তমান সিরামিক বাজার প্রায় ১ বিলিয়ন ইউরো, যা তারা ২ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত করার কথা বলছে। তারা সিরামিক শিল্পের জন্য করহার ৫০ শতাংশ কমিয়েছে। বাংলাদেশও এমন চিন্তা করতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ বলেন, সিরামিক শিল্প একটি অপ্রচলিত রপ্তানি খাত হিসেবে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে। গত বছর সিরামিক শিল্পের রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার।
ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো বলেন, বাংলাদেশের শিল্প মূলত তৈরি পোশাকশিল্পনির্ভর, সেখানে সিরামিক একটি গুরুত্বপূর্ণ নতুন বৈচিত্র্য সৃষ্টি করেছে। যা অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দৃষ্টান্ত।