টেকনাফে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার সংঘর্ষে তরুণ নিহত, আহত ৩
Published: 29th, June 2025 GMT
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়ার মাথাভাঙ্গা এলাকায় একটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অটোরিকশার দুই যাত্রীসহ তিনজন। আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণের নাম মোহাম্মদ পারভেজ মোশারফ (১৯)। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামার সাইডপাড়ার বাসিন্দা আবুল ফয়েজের ছেলে। আহত ব্যক্তিদের নাম তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি। তাঁদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিকশায় পাঁচ ও মোটরসাইকেলে দুজন ছিলেন। বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হওয়া সড়কে দুটি যানবাহনই দ্রুতগতিতে চলছিল। বাহারছড়ার মাথাভাঙ্গা এলাকায় আসার পর দুটি যানবাহনের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী তরুণ পারভেজ মারা যান। এ ছাড়া মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী ও অটোরিকশার দুই যাত্রী আহত হন।
টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক শুভ রঞ্জন সাহা দুর্ঘটনার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পুতিনকে কেন গ্রেপ্তার করা হবে না
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সে সময় পুতিনকে একজন ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়সংগত। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য কোনো দেশ নয়।
২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, ওই সংবিধির আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কখনো ওই চুক্তিকে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করার জন্য অনুসমর্থনের জন্য পদক্ষেপ নেয়নি।
বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরের দুই বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সম্পৃক্ততার অবসান ঘটান। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।
সে কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যকারিতা আমেরিকার মাটিতে নেই।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন প্রকাশ্যে আইসিসির প্রতি বৈরিতা করছে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত এই আদালতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন, এমন অভিযোগের তদন্ত করায় আইসিসির ওই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
আইসিসির এখতিয়ারের এই ঘাটতিই পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আজকের বৈঠকের স্থান হিসেবে আলাস্কাকে বেছে নেওয়ার একটি কারণ হতে পারে।
অবশ্য আইসিসির স্বাক্ষরকারী দেশ মঙ্গোলিয়ায় ২০২৩ সালের আগস্টে সফর করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সে সময় তাঁকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের অনুরোধ করা হলেও তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল দেশটি। সে জন্য মঙ্গোলিয়াকে কোনো পরিণতি ভোগ করতে হয়নি।
শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন কেবল ততটাই কার্যকর হয়, যতটা দেশগুলোর সরকার এবং তাদের নেতারা কার্যকর করতে চান। আর এই ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং এই সাক্ষাৎ তাঁর পছন্দ মতো করতে তাঁকে আটকানোর মতো কিছুই নেই।